অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ভারতের ঝাড়খন্ডে নির্মাণাধীন আদানির বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে আগামী মার্চ মাস থেকে দেশে বিদ্যুৎ আসবে। শুধুমাত্র এই কেন্দ্রের বিদ্যুৎ আনার জন্য নির্মাণ করা হয়েছে একটি আলাদা সঞ্চালন লাইন। চাপাইনবাবগঞ্জ ও বগুড়ায় তৈরি দুইটি সাবস্টেশন ও অন্যান্য সঞ্চালন কাজ নির্মাণ করেছে পাওয়ার গ্রীড কোম্পানি লিমিটেড (পিজিসিবি)। ১৬শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিট থেকে ৭৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আসবে শুরুতে। এতে করে গ্রীষ্মের বিদ্যুতের চাহিদা অনেকটাই পূরণ হবে বলে দাবি করছেন সংশ্লিষ্টরা।
মঙ্গলবার বিদ্যুৎ বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতের ঝাড়খন্ডে সরেজমিন পরিদর্শন শেষে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, ভারতের ঝাডখন্ডে নির্মাণাধীন আদানীর বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে মার্চ থেকে বিদ্যুৎ বাংলাদেশে আসবে। ভারত থেকে এই বিদ্যুৎ বাংলাদেশে নেয়ার জন্য আলাদা সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করা হয়েছে। আমরা আশা করছি মার্চের মাঝামঝি সময় থেকেই বিদ্যুৎ আমদানি করা সম্ভব হবে। তিনি বলেন, প্রথম ইউনিট থেকে ৭৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রথম দিকে পাওয়া যাবে। কিন্তু আগামী গ্রীষ্মের চাহিদা পূরণে আরও বিদ্যুৎ প্রয়োজন। তাই আমরা জ্বালানির বিকল্প উৎসও খুজছি। সাশ্যয়ী মূল্যে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছি।
বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ৫ নভেম্বর বিদ্যুৎ বিভাগ ও ভারতের আদানী পাওয়ার লিমিটেডের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় আদানী পাওয়ার লিমিটেড ভারতের ঝাড়খন্ডে ১৬০০ (২*৮০০) মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করছে। বিদ্যুৎ জ্বালানি দ্রুত সরবরাহ আইনে সমঝোতার মাধ্যমে কেনা হচ্ছে এই বিদ্যুৎ। ঝাড়খন্ড থেকে বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত প্রায় ১০৬ কিলোমিটার ও বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে জাতীয় গ্রিড পর্যন্ত প্রায় ৩০ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইনের কমিশনিং সম্পন্ন হয়েছে। ইতোমধ্যে গত ১০ ডিসেম্বর থেকে পরীক্ষামূলকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহও শুরু করেছে আদানি। এখন ২০০ মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ আসছে।
পরিদর্শনকালে অন্যন্যের মাঝে বিদ্যুৎ সচিব মো: হাবিবুর রহমান ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রকৌঃ মোঃ মাহবুবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply