অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : সুইডেন সরকারের অনুমতি নিয়ে এবং দেশটির পুলিশি নিরাপত্তায় পবিত্র কুরআন অবমাননার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ইরান। তেহরান বলেছে, এটি সুইডেনে মুসলমানদের বিরুদ্ধে ‘ঘৃণা-উন্মাদনা’ ও সহিংসতার সুস্পষ্ট উদাহরণ।
রাসমুস পালুদান নামের একজন উগ্র ডানপন্থি সুইডিশ রাজনীতিবিদ স্টকহোমস্থ তুর্কি দূতাবাসের সামনে গতকাল (শনিবার) পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, পবিত্র কুরআনের একটি কপিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় সুইডিশ পুলিশ তাকে নিরাপত্তা দিয়েছে। এর আগে পালুদান এই জঘন্য কর্মের জন্য সুইডিশ সরকারের অনুমতি গ্রহণ করে।
ন্যক্কারজনক এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানয়ানি বলেছেন, “বিশ্বের দেড়শ কোটি মুসলমানের পবিত্র ধর্মগ্রন্থের অবমাননার পুনরাবৃত্তি গোটা মুসলিম উম্মাহর বিরুদ্ধে ‘ঘৃণা-উন্মাদনা’ ও সহিংসতার সুস্পষ্ট উদাহরণ।এর সঙ্গে মত প্রকাশ ও বাক স্বাধীনতার কোনো সম্পর্ক নেই।”
কানয়ানি গতকাল (শনিবার) তেহরানে আরো বলেন, দুঃখজনকভাবে কিছু ইউরোপীয় দেশে মত প্রকাশের মিথ্যা স্বাধীনতার নামে একের পর এক ইসলামি মূল্যবোধ ও পবিত্রতার অবমাননা করা হচ্ছে। ইরানের এই মুখপাত্র ইসলাম অবমাননাকর এ ধরনের কর্মকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি রোধ করার পাশাপাশি যারা এ জঘন্য কাজ করেছে তাদেরকে শাস্তি দেয়ার জন্য স্টকহোমের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
এর আগে গত বছরের এপ্রিলে ৪১ বছর বয়সি এই উগ্র রাজনীতিবিদ পবিত্র রমজান মাসে ‘কুরআন জ্বালানোর সফর’ নামে একটি কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল। সুইডেনের মুসলিম অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে পবিত্র কুরআন অবমাননার ওই পরিকল্পনা ঘোষণা করার পর দেশটির মুসলমানরা তীব্র ক্ষোভে ফেটে পড়েন এবং দেশব্যাপী ব্যাপক সহিংসতা হয়। সুইডেন সরকার শেষ পর্যন্ত পালুদানকে এই জঘন্য কর্মের জন্য দেয়া অনুমতি বাতিল করতে বাধ্য হয়।
Leave a Reply