অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ২০২১ সালে মিয়ানমার সামরিক গঠনের পর থেকে দেশটিতে আফিম চাষ বেড়েছে। মিয়ানমার আফিম সার্ভে ২০২২ প্রকাশনা নিয়ে বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) ইউনওডিসি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ২০২২ এর ফল থেকে দেখা গেছে, মিয়ানমারের আফিম অর্থনীতির সম্প্রসারণ দেখা গেছে। খবর আল-জাজিরার।
ইউনাইটেড অফিস অন ড্রাগস অ্যান্ড ক্রাইম (ইউএনওডিসি) এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিয়ানমারে আফিমের চাষ ৩৩ শতাংশ বেড়েছে। জাতিসংঘের তথ্য জানিয়েছে, ২০২২ সালে আফিমের সম্ভাব্য ফলন ৮৮ শতাংশ বেড়েছে। গত বছর ৪০ হাজার হেক্টরের বেশি জমিতে আফিম চাষ হয়।
এর সম্ভাব্য ফলন ৭৯০ মেট্রিক টন। আফিম উচ্চ আসক্তিযুক্ত মাদক, যা থেকে প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে হেরোইন তৈরি হয়। ইউনওডিসির রিজিওনাল রিপ্রেজেন্টেটিভ জেরেমি ডগলাস জানান, সামরিক বাহিনী মিয়ানমারে ক্ষমতা নেওয়ার পর অর্থনৈতিক নিরাপত্তা ও শাসন ব্যাহত হওয়ার কারণে আফিম চাষ বেড়েছে।
তিনি জানান, উত্তরাঞ্চলীয় শানের সংঘাত প্রবণ এলাকাসহ সীমান্তের অন্যান্য রাজ্যের গ্রামাঞ্চলের কৃষকদের আফিম চাষে ফিরে যাওয়া ছাড়া কোনো বিকল্প ছিল না। থাইল্যান্ড, লাওস ও মিয়ানমার যেখানে মিলিত হয়েছে। এই জঙ্গল অঞ্চল গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গল নামে পরিচিত।
দীর্ঘদিন ধরে এটি মাদক কারবারের জন্য লাভজনক অঞ্চল হিসেবে পরিচিত। মিয়ানমারে চলতি প্রবণতা বলে দিয়েছে, অঞ্চলটি মাদকের বৈশ্বিক বাজারের সঙ্গে পুনরায় যুক্ত হতে যাচ্ছে।
Leave a Reply