অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির তথ্যচিত্রটি ভারতে নিষিদ্ধ করার মাধ্যমে দেশটির সরকার নির্বুদ্ধিতার পরিচয় দিয়েছে। ডয়চে ভেলের টকশো ‘খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়’ তে যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন অতিথিরা।
এ বিষয়ে রাজনীতি বিশ্লেষক রন্তিদেব সেনগুপ্ত জানান, কোনো সরকারের মাঝে যখন স্বৈরাচারী মনোভাব যখন প্রকট হয়ে যায়, তখনই গণমাধ্যমের ওপর আঘাত আসে।’
তিনি মনে করেন, তথ্যচিত্রটি নিষিদ্ধ করে ভারত সরকার বোকামির পরিচয় দিয়েছে। রন্তিদেব জানান, যিনি আই নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন তিনি রাজনৈতিকভাবে পরিপক্ব নয়। ব্যান যদি না করতো, তাহলে এত বিতর্ক হত না। বিদেশমন্ত্রীকে বিবৃতি দিতে হত না।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় সাংবাদিক ও লেখক দীপ্তেন্দ্র রায় চৌধুরী। তিনিও মনে করেন, সরকার এই তথ্যচিত্র নিষিদ্ধ করে ‘মূর্খতার’ পরিচয় দিয়েছে।
২০০২ সালে গুজরাটে হিন্দু ও মুসলিম দাঙ্গা হয়। সে সময় এক থেকে দুই হাজার মানুষ মারা যান, যেখানে মুসলিমরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ। গুজরাট দাঙ্গার সময় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তথ্যচিত্রে দাঙ্গার সময় পুলিশের নীরব ভূমিকার জন্য মোদিকে দায়ী করা হয়।
দীপেন্দ্র জানান, ভারতে সবসময়ই দাঙ্গা হয়েছে। দাঙ্গার সময় পুলিশের ভূমিকাও সবসময় এমন ছিল। ২০০২ সালে ১৯৬৯ সালের মতোই দাঙ্গার হয়েছিল। পুলিশ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখেছে। এটা ভারতবর্ষে অনেকবারই ঘটেছে।
রন্তিদেব জানান, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপায়ীর সংশয় হয়েছিল যে গুজরাটে রাজধর্ম পালিত হয়নি। ভারতের মুসলিমরা কতটা নিরাপদে আছেন এমন প্রশ্নের জবাবে দুই অতিথি জানান, সাধারণ মানুষ বিভক্তি চায় না। রাজনৈতিক ও নানা সুবিধা নিতে সুবিধাবাদী গোষ্ঠী এই দাঙ্গা বাধান। তারা ধর্মকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করে দুই পক্ষের মধ্যে বিবাদ তৈরি করেন।
দীপ্তেন্দ্র জানান, অনেক ক্ষেত্রেই মুসলমানরা আগে হামলা করেন। তারপর হিন্দুরা ফের আক্রমণ করেন। এতে যারা মারা যান তার ৯০ ভাগই মুসলমান। পেছন থেকে দুই পক্ষকেই এভাবে লেলিয়ে দেয় স্বার্থান্বেষী মহল।
ভারত হিন্দুত্ববাদী রাষ্ট্র হয়ে যাচ্ছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে দীপেন্দ্র জানান, ভারত অনেক আগে থেকেই হিন্দুত্ববাদী রাষ্ট্র। আর রন্তিদেব এ বিষয়ে জানান, ভারতে গণতন্ত্র খুব গভীর। এত সহজে এই রাষ্ট্র হিন্দুত্ববাদী হবে না।
Leave a Reply