অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : বিএনপি-জামাত জোটের কঠোর সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বিএনপি নেতারাই দুর্নীতি করে পালিয়ে যায়। ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে তারেক জিয়া আর কখনও রাজনীতি করবে না বলে মুচলেকা দিয়ে পালিয়ে গিয়েছিল। কোকোর মাধ্যমে যে টাকা তারা পাচার করেছিল, তার ৪০ কোটি টাকা সরকার পরে ফেরত নিয়ে এসেছে। তারা এক হাজার ৮০০ বাস, ৩৩টি সরকারি অফিস, লঞ্চসহ অসংখ্য মানুষকে আন্দোলনের নামে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। সাধারণ মানুষসহ পুলিশকেও তারা নির্মমভাবে পিটিয়েছে। তারেক রহমান এতটা লুটপাট করেছে যে বিদেশের মাটিতেও আয়েশি জীবনযাপন করছে।’
রবিবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুর ৩টায় রাজশাহীর মাদ্রাসা মাঠে (বর্তমান হাজী মুহম্মদ মহসিন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ) আওয়ামী লীগের জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ দেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তা করে যেতে পারেননি। কারণ তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল। আমি ও আমার বোন দেশের বাইরে ছয় বছর রিফিউজি (শরণার্থী) হিসেবে থেকেছি। এরপর তারেক জিয়ার বাধা-বিপত্তি মোকাবিলা করে দেশে ফিরে মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ শুরু করি।’
তিনি বলেন, ‘১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগ সরকার দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে। মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ শুরু করে। রাজশাহী এক সময় উপেক্ষিত ছিল। রাজশাহীর মানুষের জন্য অনেক পদক্ষেপ নিয়েছি। বঙ্গবন্ধুর তৈরি করা রাজশাহীর রেশম-চিনি-পাট শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো ৭৫ পরবর্তী সরকার ধ্বংস করে দিয়েছে। সেগুলোকে পুনর্গঠনে কাজ করে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ সরকার।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজ বিএনপি বলে, আওয়ামী লীগ পালাবার জায়গা পাবে না। পালায় কে? আওয়ামী লীগ কখনও পালায় না। জিয়াউর রহমান আমাকে দেশে আসার জন্য বাধা দিয়েছিল। আমি জোর করে দেশে ফিরে এসেছিলাম। দেশে ফিরে এসেছি বাংলার মানুষের কথা চিন্তা করে। জনগণের ভাগ্য বদলের জন্য। আওয়ামী লীগ কখনও পালায় না; সাধারণ মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০০১ থেকে ২০০৬ সালে তাদের অস্ত্রের মহড়া জনগণ দেখেছে। এ কারণে দেশে ইমার্জেন্সি ডিক্লারেশন হয়। কিন্তু আওয়ামী লীগ যে ওয়াদা দেয় তা, বাস্তবায়ন করে।’ এ সময় বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের চিত্র তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। শেষে হাত উঁচিয়ে নৌকা মার্কায় ভোট চেয়ে ওয়াদা করান প্রধানমন্ত্রী।
রাজশাহী মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ আলী কামাল। জনসভায় বক্তব্য রাখেন, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন ও জাহাঙ্গীর কবির নানক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, রেল মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নুরুল ইসলাম ঠান্ডু, বেগম আখতার জাহান প্রমুখ।
Leave a Reply