অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে কোনো ধরনের মতৈক্য ছাড়াই শেষ হলো জি- ২০ জোটভুক্ত দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলন। ভারতে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে বিনাশর্তে ইউক্রেন থেকে রুশ সেনা প্রত্যাহারের সম্মিলিত বিবৃতিতে সই করতে অস্বীকৃতি জানায় রাশিয়া ও চীন। ফলে এ বিষয়ে কোনো ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি।
কাতারভিত্তক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্মেলনে জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভকে বলেন, এ যুদ্ধ ও আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন বন্ধ করুন। ইউক্রেনের শহর ও বেসামরিক নাগরিকদের ওপর বোমাবর্ষণ থেকে বিরত থাকুন।
জবাবে ল্যাভরভ বলেন, পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলো ভণ্ডামি করছে। কারণ তারা বছরের পর বছর ধরে ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহ করে আসছে। আর রাশিয়ার অন্য দেশের অস্ত্র সরবরাহের মিথ্যা অভিযোগ তুলছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রকাশিত বিবিৃতি অনুসারে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন সম্মেলনে বেশিরভাগ সময় কাটিয়েছেন জ্বালানি ও খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টি জোরদারে যুক্তরাষ্ট্রের প্রচেষ্টার বর্ণনা দিয়ে। তবে বৈঠকে তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার যুদ্ধ অসম ও তা কোনোভাবেই চলতে পারে না।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রামানিয়াম জয়শঙ্কর বলেন, একেক দেশ একেক মত পোষণ করায় ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে জোটভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে যে মতানৈক্য ছিল, তা দূর করা সম্ভব হয়নি। তবে অন্যান্য বেশ কয়েকটি বিষয়ে মতৈক্য অর্জন করা গেছে।
তিনি আরও বলেন, বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির জোটের সদস্য দেশগুলো স্বল্পোন্নত দেশগুলোর উদ্বেগের সঙ্গে জড়িত বেশিরভাগ বিষয়ে একমত হয়েছে। এসব বিষয়ের মধ্যে রয়েছে খাদ্য-জ্বালানি নিরাপত্তা বাড়ানো, জলবায়ু পরিবর্তন রোধ, লিঙ্গ বৈষম্য ও সন্ত্রাসবাদ দূরীকরণ ইত্যাদি।
সম্মেলেনে উপস্থিত পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের উদ্দেশে এক ভিডিওবার্তায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, বর্তমান উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে খাদ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তা, জলবায়ু পরিবর্তন ও ঋণ সংক্রান্ত চুক্তিগুলোকে উপেক্ষা করা যাবে না। সূত্র: আল–জাজিরা
Leave a Reply