অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : চলতি বছরের প্রথম কোয়ার্টারে দেশে মোট শ্রমশক্তি ৭ কোটি ৩৬ লাখ ৯০ হাজার বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। এর মধ্যে পুরুষ ৪৮.২৫ শতাংশ এবং মহিলা ২৫.৪৪ শতাংশ।
মঙ্গলবার (২ মে) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে ত্রৈমাসিক শ্রমশক্তি জরিপ-২০২৩ এর প্রথম কোয়ার্টারের (জানুয়ারি-মার্চ) প্রাপ্ত গুরুত্বপূর্ণ সূচকগুলোর ফল সম্পর্কিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, বিশেষভাবে অতিথি ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিবিএস মহাপরিচালক মো. মতিউর রহমান।
প্রতিবেদন উপস্থাপনে প্রকল্প পরিচালক আজিজা রহমান বলেন, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মাধ্যমে পরিচালিত জরিপগুলোর মধ্যে শ্রমশক্তি জরিপ একটি গুরুত্বপূর্ণ জরিপ। সর্বশেষ ২০২২ সালে এ জরিপটি পরিচালিত হয় যার প্রভিশনাল রিপোর্ট এরইমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে। বর্তমানে ২০২৩ সালের শ্রমশক্তি জরিপ দেশব্যাপী পরিচালিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, শ্রমশক্তি জরিপের তথ্য সংগ্রহের জন্য পুরো বাংলাদেশে ১ হাজার ২৮৪টি পিএসইউ এবং প্রতিটি পিএসইউ’তে ২৪টি খানা দ্বৈবচয়নের মাধ্যমে নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতি কোয়ার্টারে ৩০ হাজার ৮১৬টি খানা থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এভাবে এক বছরে তিন মাস ধরে চারটি কোয়ার্টার সম্পন্ন করা হবে।
পিডি জানান, ত্রৈমাসিক শ্রমশক্তি জরিপ ২০২৩ এর ১ম ত্রৈমাসিকের ফল অনুযায়ী মোট শ্রমশক্তিতে নিয়োজিত জনগোষ্ঠী ৭৩.৬৯ মিলিয়ন (পুরুষ ৪৮.২৫ মিলিয়ন, মহিলা ২৫.৪৪ মিলিয়ন)। এছাড়াও কর্মে নিয়োজিত জনগোষ্ঠী বর্তমানে ৭১.১০ মিলিয়ন (পুরুষ ৪৬.৫৪ মিলিয়ন, মহিলা ২৪.৫৬ মিলিয়ন)।
ত্রৈমাসিক শ্রমশক্তি জরিপ ২০২৩ এর ১ম ত্রৈমাসিকের (জানুয়ারি-মার্চ) ফল অনুযায়ী, বেকার জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ২.৫৯ মিলিয়ন (পুরুষ ১.৭১ মিলিয়ন, মহিলা ০.৮৮ মিলিয়ন)। শ্রমশক্তির বাইরে অবস্থিত জনগোষ্ঠী ৪৬.৩৯ মিলিয়ন (পুরুষ ১১.১৯ মিলিয়ন, মহিলা ৩৫.২০ মিলিয়ন)। এছাড়াও শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণের হার ৬১.৩৭ শতাংশ।
অর্থনৈতিক খাত অনুযায়ী কৃষিতে নিয়োজিত জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ৩১.৯৪ মিলিয়ন, শিল্পখাতে ১২.২৫ মিলিয়ন এবং সেবায় ২৬.৯১ মিলিয়ন। শ্রমশক্তি জরিপ ২০২৩ এর ১ম ত্রৈমাসিক যুব শ্রমশক্তি ২৭.৩৮ মিলিয়ন (পুরুষ ১৪.০৩ মিলিয়ন, মহিলা ১৩.৩৫ মিলিয়ন)।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, এ জরিপের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি ও নির্বাচনী ইশতেহার ২০১৮, টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট এসডিজি এবং পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়নে অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
Leave a Reply