অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : অর্থনৈতিকভাবে ভারত মহাসাগরকে কিভাবে কাজে লাগানো যায়, তার কৌশল খুঁজতে ঢাকায় বসছে ইন্ডিয়ান ওশেন কনফারেন্স। সম্মেলনের শিরোনাম করা হয়েছে, ‘পিস, পোসপারিটি, পার্টনারশীপ ফর এ রিজিলিয়েন্স ফিচার’। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ সম্মেলনে এসব জানানো হয়েছে।
আগামী ১২ মে থেকে ১৩ মে ঢাকায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে এই সম্মেলনের ষষ্ঠ আসর বসছে। সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ভূ-রাজনৈতিক ও ভূ-অর্থনৈতিকভাবে গুরত্বপূর্ণ ভৌগলিক অবস্থানে ভারত মহাসাগর। বিশ্ব বাণিজ্যে পণ্যে কন্টেইনার পরিবহনে শতকরা ৮০ ভাগ হয় এই করিডোরে। এরইমধ্যে ভারত মহাসাগরীয় কৌশল বা আইপিএস’র রুপরেখা স্পষ্ট করেছে বাংলাদেশ।
মহাসাগরটির সঠিক শান্তিপূর্ণ ও অর্থনৈতিক বিকাশের কৌশল খুঁজতে ঢাকায় বসছেন ২৫টি দেশের প্রতিনিধিরা। সম্মেলনে মরিশাসের রাষ্ট্রপতি, মালদ্বীপের উপরাষ্ট্রপতি, ভারত, ভুটান, নেপাল, বাহরাইন ও সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, সিশেলস, শ্রীলঙ্কা ও মাদাগাস্কারের মন্ত্রী পর্যায়ের প্রতিনিধি, শ্রীলঙ্কা, জাপান, কম্বোডিয়া, অস্ট্রেলিয়া ও আরব আমিরাত থেকে প্রতিমন্ত্রী, সোমালিয়া ও ভিয়েতনাম থেকে উপমন্ত্রী এবং ফিলিপাইন, আমেরিকা, ইরান, কুয়েত, ওমান, থাইল্যান্ড ও জার্মানি থেকে উচ্চ পর্যায়ের সরকারি প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন বলেন, “সম্মেলনটি মূলত ভারত মহাসাগরের উপকূলবর্তী দেশসমূহে এ আয়োজন করা হলেও এতে পরিবর্তিত বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ও প্রাসঙ্গিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।”
ভারত মহাসাগর কেন্দ্রিক রিজিওনাল কানেকটিভিটি হাব হিসেবে গড়ে তুলতে সবার ঐক্যমতে পৌছানোর কোন বিকল্প নেই। থাকতে হবে সবার সক্রিয় সহযোগিতা। ভারতের সঙ্গে ৫৩টি অভিন্ন নদীর পানি বন্টনের আলোচনাও স্থান পাবে।
একই অঞ্চলের দেশ হলেও প্রতিবেশি মিয়ানমার এই সম্মেলনের কোন আমন্ত্রণ পায়নি। একমাত্র রোহিঙ্গা সংকট ছাড়া দেশটির সঙ্গে বড় ধরনের কোন সংকট নেই জানানো হলো সংবাদ সম্মেলনে।
দুই দিনব্যাপি সম্মেলনের প্রতিদিন চারটি সেশনের পুঙ্খানুপুঙ্ভাবে ভারত মহাসাগরের নানান বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।
Leave a Reply