অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তুদের জন্য ৩০০ মিলিয়ন ডলার প্রয়োজন হলেও জাতিসংঘের গঠন করা তহবিলে জমা পড়েছে কেবল ১০৭ মিলিয়ন ডলার। জাতিসংঘ মহাসচিবের সতর্কতা সত্ত্বেও এই তহবিল ঘিরে খুব একটা আগ্রহ দেখাননি দাতারা।
দ্য ইউনাইটেড নেশনস রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্কস এজেন্সি (ইউএনআরডব্লিওএ)-এর কমিশনার জেনারেল ফিলিপ লাজারিনি বলেন, ‘সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৭০০টিরও বেশি স্কুল এবং ১৪০টি ক্লিনিক খোলা রাখার জন্য প্রয়োজনীয় তহবিলের চেয়ে কম অর্থ জমা পড়েছে শুক্রবার।’
এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘প্রয়োজনীয় তহবিল সংগ্রহের জন্য আমরা আমাদের অংশীদারদের সঙ্গে ক্লান্তিহীন কাজ চালিয়ে যাবো।’
বছরের শুরুতে সিরিয়া, লেবানন, ইসরায়েল-অধিকৃত পশ্চিম তীর এবং পূর্ব জেরুজালেম, গাজা উপত্যকা এবং জর্ডানজুড়ে কর্মসূচি, অপারেশন এবং জরুরি প্রতিক্রিয়ার জন্য ১.৬ বিলিয়ন ডলারের আবেদন করেছিল ইউএনআরডব্লিওএ। এর মূল বাজেটের জন্য প্রায় ৮৫০ মিলিয়ন ডলার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে; যার মধ্যে স্কুল এবং স্বাস্থ্য ক্লিনিক পরিচালনার বিষয়টি যুক্ত আছে।
ইউএনআরডব্লিউএ-এর মতে, দাতারা ৮১২.৩ মিলিয়ন ডলারের ঘোষণা দিলেও শুক্রবার দিয়েছেন কেবল ১০৭.২ মিলিয়ন ডলার।
লাজারিনি বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, বছরের শেষ পর্যন্ত সব পরিষেবা চালু রাখতে আমাদের ১৫০ মিলিয়ন ডলার এবং ২০২৪ সাল শুরু করতে অতিরিক্ত ৫০ মিলিয়ন ডলার প্রয়োজন।
তিনি বলেন, ‘গাজায় খাদ্য সরবরাহ চালু রাখতে আমাদের ৭৫ মিলিয়ন ডলার এবং সিরিয়া ও লেবাননে নগদ বিতরণ কর্মসূচির জন্য প্রায় ৩০ মিলিয়ন ডলার প্রয়োজন।’
১৯৪৮ সালে ইসরায়েল রাষ্ট্রের সৃষ্টির পর লাখ লাখ ফিলিস্তিনির শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, সামাজিক পরিষেবার জন্য ইউএনআরডব্লিউএ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তবে গত ১০ বছর ধরে সংস্থাটি আর্থিক অস্বচ্ছলতায় ধুঁকছে, যা বর্তমানে চরম আকার ধারণ করেছে। সূত্র: আরব নিউজ
Leave a Reply