27 Apr 2024, 01:30 am

বৈশ্বিক বাজারে নিত্যপণ্যের দাম কমলেও দেশে এখনই তার প্রভাব পড়বে না : পরিকল্পনামন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : বৈশ্বিক বাজারে নিত্যপণ্যের দাম কমলেও দেশে এখনই তার প্রভাব পড়ছে না বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। পাশাপাশি মূল্যস্ফীতি কবে কমবে সে বিষয়ে কিছু বলতে পারবেন না বলেও জানান মন্ত্রী।

তিনি বলেন, আমরা অনেক পণ্যের দাম দুই মাস আগে পেমেন্ট করেছি। এছাড়া ডলারের দাম এখনো কমেনি। ফলে দেশে নিত্যপণ্যের দাম কমতে সময় লাগবে।

মঙ্গলবার (৬ জুন) শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভা শেষে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

বৈশ্বিক বাজারে কমলেও আমাদের দেশে নিত্যপণ্যের দাম কমছে না কেন- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বিদেশে কমলেও রাতারাতি দেশে প্রভাব পড়ে না। আমরা অনেক পণ্যের দাম দুই মাস আগে পেমেন্ট করেছি। সেগুলো এখনো হাতে পায়নি। এছাড়া ডলারের দাম এখনো কমেনি। ডলার দিয়েই আমাদের পণ্য আমদানি করতে হয়।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) বলেছে, জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধির বিরূপ প্রভাবের কারণে চলতি অর্থবছরের মে মাসে সাধারণ মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ হয়েছে, যা ১২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে ২০১১ সালের মে মাসে মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক ২ শতাংশ।

বাড়তি মূল্যস্ফীতি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে এম এ মান্নান বলেন, আশা করেছিলাম মূল্যস্ফীতি কমবে। কিন্তু কমেনি, বরং আরও বেড়েছে। এটা দুঃখজনক। বিশাল লোডশেডিং আমাদের জন্য গ্রহণযোগ্য নয়। দুই সপ্তাহে পরে লোডশেডিং কমবে, তবে মূল্যস্ফীতি কবে কমবে বলতে পারবো না। মূল্যস্ফীতি কমানোর জন্য আমরা নানা কৌশল নিচ্ছি।

নতুন প্রস্তাবিত বাজেটে মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশ ধরা হয়েছে। এটা সম্ভব নয় দাবি করে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশে নামানোর কথা বলা হয়েছে, যা সম্ভব নয়। তবে মূল্যস্ফীতি কমাতে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। মালামাল স্টক (পণ্য মজুত) করতে হবে। ইউরোপীয় ইউনিয়নে নিত্যপণ্যের দাম কমছে, আমরাও পারবো। তবে ৬ শতাংশে নামতে পারবো না, চেষ্টা করবো কমানোর। বাজারকে মসৃণ করবো।

ডলার ছাড়াও অন্য মুদ্রায় বাণিজ্য করবো জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, নানা মুদ্রায় ব্যবসা-বাণিজ্য করবো। সরকার অন্যান্য পণ্য আমদানিতে যাবে। পেঁয়াজ আমদানি করছি, এখন দাম কমছে। দরকার হয় অন্য পণ্যও আমদানি করবো।

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) আজকের বৈঠকে প্রায় ১১ হাজার ৩৮৭ কোটি ৯১ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৮টি প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৭ হাজার ৪৪০ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। এছাড়া বৈদেশিক অর্থায়ন ৩ হাজার ৮৬১ কোটি ৭২ লাখ এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৮০ কোটি ৮ লাখ টাকা।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

  • Visits Today: 16886
  • Total Visits: 654633
  • Total Visitors: 2
  • Total Countries: 1122

আজকের বাংলা তারিখ

  • আজ শনিবার, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং
  • ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (গ্রীষ্মকাল)
  • ১৭ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরী
  • এখন সময়, রাত ১:৩০

Archives

MonTueWedThuFriSatSun
2930     
       
  12345
2728     
       
     12
3456789
10111213141516
17181920212223
31      
  12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
27282930   
       

https://youtu.be/dhqhRb9y018