অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে কৃষি উৎপাদন ব্যবস্থার রূপান্তরে ১০ লাখের বেশি ক্ষুদ্র কৃষকের সুবিধায় ৩৫ মিলিয়ন ইউএস ডলারের একটি প্রকল্প চালু করেছে কৃষি মন্ত্রণালয় ও আইফিডিসি।
বৃহস্পতিবার (২২ জুন) ঢাকার বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) মিলনায়তনে ‘ফিড দ্য ফিউচার বাংলাদেশ ক্লাইমেট স্মার্ট অ্যাগ্রিকালচার অ্যাক্টিভিটি (সিএসএ)’ শীর্ষক পাঁচ বছর (২০২৩-২০২৮) মেয়াদি প্রকল্পটির উদ্বোধন করা হয়।
৩৫ মিলিয়ন ইউএস ডলারের (প্রায় ৩৮৯ কোটি টাকা) ব্যতিক্রমী এই প্রকল্পে অর্থায়ন করছে যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা- ইউএসএআইডি। আর প্রকল্পটির বাস্তবায়ন করছে কৃষি মন্ত্রণালয় ও যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ফার্টিলাইজার ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (আইএফডিসি)।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তার এবং আইফিডিসির প্রেসিডেন্ট ও সিইও হেংক ফান রেইন। ইউএসএআইডির ইকোনমিক গ্রোথ অফিসের পরিচালক মুহাম্মদ খান বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ারের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সিএসএ অ্যাক্টিভিটি চিফ অব পার্টি ইশরাত জাহান।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এমন সময়ে এই প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছে যখন জলবায়ু পরিবর্তনসহ অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে বাংলাদেশের কৃষি খাত। করোনাভাইরাস মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সরবরাহ ব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে আগের তুলনায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। সুনির্দিষ্ট করে বললে, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার ক্ষুদ্র কৃষকরা অধিক মাত্রায় ঝুঁকি মোকাবিলা করছেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, সিএসএ কৃষক, খামার ও সরকারি অংশীদারদের সহযোগিতা করতে চাইছে। যেন ক্লাইমেট-স্মার্ট কৃষি প্রযুক্তিগুলোর ব্যবহার, অনুশীলন, আরও সহনশীল এবং অন্তর্ভূক্তিমূলক খাদ্য ও কৃষি উৎপাদন ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের ক্ষুদ্র কৃষকদের উৎপাদনক্ষমতা বাড়ানো যায়।
অনুষ্ঠানে আরও জানানো হয়, এ প্রকল্প শেষে সর্বমোট ৩ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ইউএস ডলারের লাভ হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। যা মোট বিনিয়োগ ৩৫ মিলিয়ন ইউএস ডলারের ৯৩ গুণ। এতে উপকৃত হবেন নয় লাখ কৃষক।
সিএসএ অ্যাক্টিভিটির হিসাবে, এ প্রকল্পের মাধ্যমে ৬ লাখ ১ লাখ ৫৫০ মেট্রিক টন সার ও ৪২৪ মিলিয়ন ইউএস ডলারের সারের ভর্তুকি সাশ্রয় হবে। পাশাপাশি ক্রমবর্ধমান হারে ৯ দশমিক ৫৩ মিলিয়ন মেট্রিক টন ফসল উৎপাদন হবে।
Leave a Reply