21 Nov 2024, 04:42 pm

আন্তঃদেশীয় বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতিতে শেষ হলো কমনওয়েলথ ট্রেড ইনভেস্টমেন্ট ফোরাম

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : আন্তঃদেশীয় বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতিতে ঢাকায় শেষ হলো দুই দিনের আন্তর্জাতিক সম্মেলন, কমনওয়েলথ ট্রেড এন্ড ইনভেস্টমেন্ট ফোরাম। বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে সম্মেলনের সমাপনী দিনে বিনিয়োগ, ব্যাংকিং, প্রযুক্তি, ক্যামেরুনের অর্থনীতি,ঔষুধশিল্প ও জনস্বাস্থ্য, এসএমই,, সবুজ অর্থায়ন, পর্যটন এবং আন্তর্জাতিক সাপ্লাই চেইন নিয়ে নয়টি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।

কমনওয়েলথ এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কাউন্সিলের (সিডব্লিউইআইসি) সহযোগিতায় বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো সম্মেলনের আয়োজন করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল বুধবার কমনওয়েলথ ট্রেড এন্ড ইনভেস্টমেন্ট ফোরামের উদ্বোধন করেছেন। সমাপনী দিনে বিভিন্ন অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান, পররাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদূর রঊফ তালুকদার এবং বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ।

সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, টোগো সরকারের বিনিয়োগ মন্ত্রী রোজ কাই মিভেডোর, টুভালুর উপ-প্রধানমন্ত্রী কিশানা তৌসি, উগান্ডার মন্ত্রী ফ্রান্সিস মিবিসা, বিডা নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া, বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন এবং সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাশরুর আরেফিন।

বাংলাদেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নের অর্থনৈতিক সুফল অর্জনে কমনওয়েলথ দেশগুলো থেকে বিনিয়োগ চান পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান। বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনায় মন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, বাংলাদেশে ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে বিশেষ করে ঔষুধ শিল্পে এই সম্ভাবনা রয়েছে। আমাদের পূজির প্রয়োজন রয়েছে। আপনারা আসুন বিনিয়োগ করুন। আমাদের আইন অনুযায়ী ব্যবসা করুন।

ক্যামেরুনে বিনিয়োগ সম্ভাবনা নিয়ে সেমিনারে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, আমরা এই সরকারের মেয়াদকালেই ‘লুক আফ্রিকা নামে একটা পলিসি আরোপ করেছি যার মাধ্যমে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে নতুন করে আমাদের অ্যাম্বাসি খোলা হয়েছে। তিনি বলেন, আপনারা খেয়াল করবেন বাংলাদেশ এবং ক্যামেরুনের মধ্যে বিভিন্ন মিল রয়েছে। আমাদের রপ্তানি খুবই অল্প, আমদানি প্রায় ১৬০ মিলিয়ন ডলারের মতো, আমরা এখন সেখানকার ভেইকেলটা ব্যবহার করতে চাই।

আরেকটি আলোচনায়, পেপারলেস আর্থিক সেবা প্রদানের মাধ্যমে ডিজিটাল ব্যাংক আর্থিকখাতের ঝুঁকি কমাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার।
গভর্নর বলেন, প্রচলিত ব্যাংকে লোন দেয়ার ক্ষেত্রে কাগজপত্র যাচাই করা সময় সাপেক্ষ এবং ঝুঁকিপুর্ন হয় অনেকক্ষেত্রে। ডিজিটাল ব্যাংকে ক্রেডিট রেটিং ভার্চুয়াল হবে বলে সেখনে কোন ঝুঁকি থাকবে না। গ্রাহকের ডিজিটাল লেনদেনই তার আর্থিক সক্ষমতার প্রমান হিসেবে বিবেচিত হবে।

মরিশাস স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের সিইও আবরার এ আনোয়ার বলেন, বিশ্বব্যাপি আর্থিক অন্তর্ভূক্তির জন্য এখন ‘ব্যাংকিং এজএ সার্ভিস’ ধারনার প্রসার লাভ করেছে। যেখানে স্টার্টআপ এবং অন্যান্য প্রযুক্তিভিত্তিক প্লাটফর্মের গ্রাহকের পরিচয় যাচাই করে সেবা প্রদান করছে। আরো উপস্থিত ছিলেন, পিডাব্লিউসি বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মামুন রশীদ, ক্রাউন এজেন্ট ব্যাংকের কর্মকর্তা স্টিভেন মার্শেল, চার্লটনের পার্টনার জুলিয়া চার্লটন, ব্যাংকট্রাস্টের নির্বাহী পরিচালক আইসিল কাগলায়ান।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা), পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং জেডআই ফাউন্ডেশন সম্মেলনের অংশীদার। দুই দিনব্যাপী সম্মেলনে কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর ১৩ জন মন্ত্রীসহ ৩০০ জনের বেশি আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি অংশ নিয়েছেন। কমনওয়েলথ নামে পরিচিত কমনওয়েলথ অফ নেশনস ৫৬ টি সদস্য রাষ্ট্রের একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা, যার বেশিরভাগই ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের প্রাক্তন অঞ্চল।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *