অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : নানামুখী চাপে থাকা জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির জন্য নতুন আতঙ্ক উঠেছে নতুন দুই রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি বিএনএম এবং তৃণমূল বিএনপি। এ মাসেই দল দুটিতে বিএনপির বেশ কয়েক ডজন সিনিয়র নেতা যোগ দিতে পারেন। এমন খবর চাউর হওয়ায় বিএনপিতে অস্থিরতা বাড়ছে।
ওয়ান ইলেভেনের পর দুর্নীতির তকমা, সংস্কারের নামে দ্বিধাবিভক্তি, তারেক রহমানের দেশত্যাগে ফুটে ওঠে বিএনপির সাংগঠনিক দুর্বলতা।
২০০৮ এর নির্বাচনে ভরাডুবির পর ১৪তে আন্দোলনের নামে জ্বালাও-পোড়াও কারণে জনগণ মুখ ফিরিয়ে নেয়। এবারের আন্দোলনে জনসাধারণের সাড়া নেই বলে বিএনপির নেতারাই আফসোস করছেন।
এরমাঝে বিএনপির দুই সাবেক নেতা শমসের মবিন চৌধুরী এবং তৈমুর আলম খন্দকারের তৃণমূল বিএনপির হাল ধরায় বিব্রত বিএনপি নেতৃত্ব। তৃণমূল বিএনপির নাম এবং নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত প্রতীক সোনালি আশে বিএনপির গাত্রদাহ।
তৃণমূল বিএনপিতে আরও বেশ কয়েকজন সিনিয়র বিএনপি নেতা যোগ দিয়ে আগামী নির্বাচনে লড়বেন বলে জোড় আলোচনা চলছে।
তৃণমূল বিএনপি মহাসচিব তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, “আমি যে ধারায় রাজনীতি করে এসেছি, যেটা বিশ্বাস করি জাতীয়তাবাদের রাজনীতি, ধর্মীয় মূল্যবোধ-স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করি, খেটে খাওয়া মানুষে এবং মানবতায় বিশ্বাস করি। এগুলো যেখানে আছে সেখানেই আমাকে যেতে হবে। এতো বছরেও যে অভ্যাস পরিবর্তন করতে পারিনি, পুলিশের মার খেয়ে অনেকবার জেলে খেটে, এতো অত্যাচার-নির্যাতিত হওয়ার পরও যে অভ্যাস পরিবর্তন হয়নি সে অভ্যাস কিভাবে পরিবর্তন করি। এখন কথা বলার জন্য আমার একটা প্লাটফর্ম দরকার, সেজন্যই তৃণমূলকে খুঁজে নিয়েছি।”
নিবন্ধন পেয়ে রাজনীতিতে আর এক চমক হয়ে এসেছে সাবেক বিএনপি নেতাদের দল বিএনএম। এখানেও ভিড়ছেন বেশ কয়েকজন বিএনপি নেতা। এই আলোচনাও চলছে রাজনৈতিক অঙ্গনে।
বিএনএম যুগ্ম আহ্বায়ক ও মুখপাত্র ব্যারিস্টার এম সারোয়ার হোসেন বলেন, “অনেকেই আসবেন। আমরা বিশ্বাস করি যারা দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ দেখতে চায়, যারা দুর্বৃাত্তয়নমুক্ত বাংলাদেশ দেখতে চায়, যারা গণতান্ত্রিক সুশাসন ন্যায়বিচারের বাংলাদেশ দেখতে চায়, যারা এই বাংলাদেশকে তাদের পরবর্তী জেনারেশনের জন্য নিরাপদ বাংলাদেশ বানাতে চায় তাদের জন্য বিএনএম।”
নতুন এই দুই রাজনৈতিক দল প্রকাশ্যেই বিএনপির প্রতি তাদের রাগ, অনুরাগ, বঞ্চনা এবং অভিমানের কথা বলছেন প্রকাশ্যেই।
Leave a Reply