অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ইরানের প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রায়িসি বলেছেন, গাজা উপত্যকার নিরীহ জনগণের ওপর ইহুদিবাদী ইসরাইলি অপরাধযজ্ঞের অন্যতম প্রধান সহযোগী আমেরিকা এই অবরুদ্ধ উপত্যকার ভবিষ্যত নির্ধারণে কোনো ভূমিকা পালনের অধিকার রাখে না। তিনি গতকাল (রোববার) তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগানের সঙ্গে এক ফোনালাপে এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ‘গাজার অধিবাসীদের হত্যাকারী’ এবং এই উপত্যকার ভবিষ্যত নির্ধারণ প্রশ্নে মার্কিন সরকারকে ভূমিকা রাখতে সুযোগ দেয়ার অর্থ হবে ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে আমেরিকাকে অপরাধযজ্ঞ চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেয়া।
প্রেসিডেন্ট রায়িসি বলেন, গাজাবাসীর জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী প্রক্রিয়ায় কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করার অধিকার মার্কিনীদের নেই বরং তারা এ ধরনের কিছু করতে গেলে তা ব্যর্থ হতে বাধ্য। তিনি বলেন, গাজাবাসী তাদের উপত্যকা শাসন করার জন্য হামাসকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে। নিজেদের ভবিষ্যত প্রশ্নেও যেকোনো সিদ্ধান্ত তারাই নেবে।
গাজা উপত্যকার ওপর ইহুদিবাদী ইসরাইল গত ৭ অক্টোবর থেকে টানা ৪৮ দিন ভয়াবহ বোমাবর্ষণ ও পাশবিক হামলা চালিয়েছে; যদিও সেখানে বর্তমানে সাময়িক যুদ্ধবিরতি চলছে। হামলার শুরুতে এবং এর পরও ওয়াশিংটন ও তেল আবিব বারবার বলেছে, চলমান আগ্রাসনে হামাসকে ধ্বংস করে ফেলা হবে এবং এরপর গাজা উপত্যকায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ইসরাইলি সেনা মোতায়েন থাকবে। সেইসঙ্গে গাজা উপত্যকার শাসনভার কার হাতে দেয়া যাবে তা নিয়েও মার্কিন কর্মকর্তাদের বক্তব্য দিতে দেখা গেছে।
তুর্কি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফোনালাপে ইরানের প্রেসিডেন্ট দু’দেশের মধ্যকার সম্পর্ককে বন্ধুত্বপূর্ণ, ঐতিহাসিক ও সুপ্রতিবেশীসুলভ বলে মন্তব্য করেন। এ সময় তেহরান-আঙ্কারা সম্পর্ককে ‘অনুকূল ও গঠনমূলক’ বলে আখ্যা দেন এরদোগান। তিনি এ সম্পর্ককে ‘সেরা ও ব্যতিক্রমী’ পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান। তুর্কি প্রেসিডেন্ট দু’দেশের কৌশলগত সহযোগিতা বিষয়ক সুপ্রিম কাউন্সিলের বৈঠক আয়োজনে আঙ্কারার প্রস্তুতি ঘোষণা করেন।