ইহুদিবাদী যুদ্ধবাজ প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু
অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের কাছ থেকে ইসরাইলি বন্দিদের মুক্ত করতে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে বলে খবর দিয়েছেন ইহুদিবাদী যুদ্ধবাজ প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি শনিবার রাতে টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক বক্তব্যে চলমান গাজা যুদ্ধকে ইসরাইলের ‘অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই’ বলে উল্লেখ করেন।
নেতানিয়াহু বলেন, যত চাপ আসুক এবং যত ক্ষয়ক্ষতিই হোক না কেন এ যুদ্ধে ইসরাইলকে জিততেই হবে। তিনি আরো বলেন, গাজা উপত্যকাকে ইসরাইলি নিরাপত্তা বাহিনীর অধীনে এনে বেসামরিকীকরণ করতে হবে।
হামাসের হাতে যখন একশ জনের বেশি ইসরাইলি বন্দি আটক রয়েছে এবং এদের মধ্যে তিনজন ইসরাইলি সেনাদের হাতেই নিহত হয়েছে তখন এ বক্তব্য দিলেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী। ভুলক্রমে ইসরাইলি সেনাদের গুলিতে তিন বন্দি নিহত হওয়ার পর যুদ্ধ না করে বরং আলোচনার মাধ্যমে বাকি বন্দিদের মুক্ত করে আনার জন্য তেল আবিবের ওপর অভ্যন্তরীণ চাপ প্রবল থেকে প্রবলতর হচ্ছে।
ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, সেনা অভিযানের মাধ্যমে চাপ সৃষ্টির মাধ্যমেই নভেম্বরে কিছু বন্দিকে মুক্ত করে আনা সম্ভব হয়েছিল; যদিও হামাস বলেছে, চাপের কারণে নয় তারা বরং ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তির বিনিময়ে স্বেচ্ছায় ইসরাইলি নারী ও শিশুদের মুক্তি দিয়েছে। নেতানিয়াহু আরো দাবি করেন, এবারও চাপ সৃষ্টির মাধ্যমেই বাকি বন্দিদের মুক্ত করে আনা হবে।
এর আগে শনিবার কাতার জানায়, হামাসের হাতে আটক বন্দিদের মুক্ত করার ব্যাপারে নতুন করে আলোচনা চলছে। একইদিন ইসরাইলি গণমাধ্যমগুলো জানায়, নরওয়েতে কাতারের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এ ব্যাপারে আলোচনা করার জন্য ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের প্রধান অসলো গেছেন। কাতারের মধ্যস্থতায় গতমাসে গাজায় এক সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
এদিকে, টেলিভিশনে নেতানিয়াহুর বক্তব্য প্রচারিত হওয়ার পর গতরাতে হামাস এক বিবৃতিতে বলেছে, “আমরা আমাদের আগের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে বলতে চাই, আমাদের জনগণের ওপর আগ্রাসন স্থায়ীভাবে বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত বন্দি বিনিময়ের ব্যাপারে কোনো আলোচনা হবে না।” বিবৃতিতে বলা হয়, “আমাদের এ নীতি-অবস্থানের কথা আমরা সকল মধ্যস্থতাকারীকে জানিয়ে দিয়েছি।”
Leave a Reply