অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : জাতিসংঘের ফিলিস্তিন বিষয়ক শরণার্থী সংস্থা- ইউএনআরডাব্লিউএ বা আনরোয়ার বেশ কয়েকজন কর্মীকে ছাটাই করার যে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ইরান। তেহরান বলেছে, গাজা উপত্যকার নিরীহ মানুষের ওপর যে অমানবিক আগ্রাসন চলছে তাকে বৈধতা দেয়ার লক্ষ্যে আনরোয়ার কর্মীদের বিরুদ্ধে ভুয়া অভিযোগ তোলা হচ্ছে।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানয়ানি গতকাল (রোববার) এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা এবং অধিকৃত পশ্চিম তীরে সক্রিয় মানবিক ত্রাণ সংস্থাগুলির উপর ইসরাইল যেসব বিধিনিষেধ আরোপ করে রেখেছে তার ন্যায্যতা প্রমাণের জন্য তেল আবিব এই অভিযোগ তুলেছে। তিনি বলেন, অক্টোবরের শুরু থেকে আনরোয়ার মতো আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের অন্তত ১৫০ সদস্যকে হত্যা করে যে নজিরবিহীন ও জঘন্য অপরাধ ইসরাইল করেছে তা থেকেও বিশ্ব জনমতকে দূরে সরিয়ে রাখতে চায় তেল আবিব।
সম্প্রতি ইসরাইল অভিযোগ করেছে, গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকা থেকে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনগুলো ইসরাইলে প্রবেশ করে যে অভিযান চালিয়েছিল তাতে আনরোয়ার বেশ কয়েকজন সদস্য অংশগ্রহণ করেছেন। এই অভিযোগ প্রকাশিত হওয়ার পর আনরোয়া কর্তৃপক্ষ কয়েকজন কর্মীকে ছাঁটাই করেছে। এরপর আমেরিকা, ব্রিটেন ও ফ্রান্সসহ অন্তত ১০টি পশ্চিমা দেশ আনরোয়াকে অর্থসাহায্য বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
জাতিসংঘের এই সংস্থাটি বলেছে, তাদের হাতে যে অর্থ আছে তা দিয়ে ফেব্রুয়ারির শেষ পর্যন্ত গাজার জনগণকে সাহায্য করা সম্ভব হবে। জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসসহ এই সংস্থার শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা আনরোয়ার প্রতি পশ্চিমা দেশগুলোর আর্থিক সাহায্য বন্ধ করে দেয়ার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তারা এ সিদ্ধান্ত বাতিল করার জন্য সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
Leave a Reply