অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : গত কয়েকদিন ধরে গোপালগঞ্জসহ দেশজুড়ে বইয়ে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। এতে অতিষ্ট মানুষ থেকে শুরু করে প্রাণীকুলও। বৃষ্টি না হওয়ায় এ দুর্ভোগ বেড়েছে কয়েকগুন। প্রতিদিনই ৩৭ থেকে ৪০.৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠা-নাম করছে তাপমাত্রা।
তীব্র এই তাপপ্রবাহের কারণে মাঠে কাজ করা দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে কৃষক ও দিনমজুরদের। হাসফাস করছে প্রাণীকূল। এরই জেরে প্রকৃতি রুক্ষ হয়ে পড়ায় দুর্ভোগ বেড়েছে বহুগুন। তাই বৃষ্টির আশায় গোপালগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আয়োজন করা হয় ইস্তিসকার নামাজের।
আজ সকাল ১০টায় ইমাম পরিষদের উদ্যোগে গোপালগঞ্জ শহরের পৌর ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত ইস্তিসকার নামাজে অংশ নিতে হাজির হয় কয়েক হাজার নানা বয়সের মুসল্লি। নামাজে ইমামতি করেন গোপালগঞ্জ কেন্দ্রীয় কোর্ট মসজিদের ইমাম মাওলানা শেখ হাফিজুর রহমান। এসময় নিজ নিজ পাপ আর ভুল-ত্রুটির জন্য মহান সৃস্টিকর্তার কাছে মাফ চেয়ে বিশ্বের সকল মুসলিমদের শান্তিকামনা করে বৃষ্টির জন্য দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
এদিকে বৃষ্টির জন্য ইস্তিসকার নামাজ আদায় করা হয়েছে চাঁদপুরে। আজ সকালে চাঁদপুর শহরের হাসান আলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নামাজ ও দোয়ার আয়োজন করা হয়। নামাজে ইমামতি করেন চাঁদপুর সদরের শাহতলী জিলানী চিশতী কলেজের সহকারী অধ্যাপক ও দারুস সালাম জামে মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা সোহাইল আহমেদ চিশতী।
নোয়াখালীতেও বৃষ্টির জন্য ইস্তিসকার নামাজ আদায় করেছে জেলার ধর্মপ্রাণ মানুষ। নামাজ শেষে বিশেষ মোনাজাতে বৃষ্টি চেয়ে দোয়া করেছেন তারা। এ সময় দুটি উপজেলায় নামাজে অংশ নেন ৫শতাধিক মুসল্লি। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় জেলার কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট ইসলামিয়া কামিল মাদরাসা ও চাটখিল কামিল মাদরাসা মাঠ এবং বেগমগঞ্জের চৌমুহনী সেনের পোল পৌরসভা গেইট ঈদগাহে এ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি ও মোনাজাত পরিচালনা করেন যথাক্রমে বসুরহাট ইসলামিয়া কামিল মাদরাসার আরবি বিভাগের অধ্যাপক মাওলানা মাকসুদুর রহমান ও চাটখিল আলিম মাদরাসার সাবেক অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুর জব্বার।
জেলা ইমাম ও মুয়াজ্জিন পরিষদের উদ্যোগে টাঙ্গাইল ঈদগায় বৃষ্টির জন্য খোলা আকাশের নিচে ইস্তিসকার নামাজ আদায় করা হয়েছে আজ। নামাজ শেষে বৃষ্টির জন্য বিশেষ মোনাজাত করেন মুসলি¬রা। সকাল ১০ টায় কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত নামাজে ইমামতি করেন শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের খতিব, জেলা ইমাম ও মুয়াজ্জিন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুল¬াহ আল মামুন।
Leave a Reply