স্টাফ রিপোর্টার : ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার ফতেপুর সরকারি বাওড়ের একতারপুর অংশ থেকে রাতের অন্ধকারে ক্ষমতাসীন দলের ছত্রছায়ায় প্রসাশনের নাম ভাঙ্গীয়ে ভেকুম্যাশিন দিয়ে মাটি কাটার মহাউৎসব এলাকাবাসীর প্রতিরোধের মুখে বন্ধ হয়ে গেছে। তবে আবারও শুরু করতে পারে ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় কয়েকজন নেতা বলে মনে করেন এলাকাবাসী।
একতারপুর গ্রামের শহীদুল ইসলাম জানান, একতারপুর গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক ইউপি সদস্য লেন্টু মেম্বারসহ কয়েকজন ফতেপুর সরকারি বাওড়ের একতারপুর অংশ থেকে রাতের বেলা ভেকুম্যাশিন দিয়ে মাটি কাটে বিক্রি করে আসছিলো। শুক্রবার রাতে আবারও লেন্টু মেম্বার রাতে বেলায় ভেকুম্যাশিন বাওড়ে নামালে আমিসহ এলাকার শত শত মানুষ মাটি বহনকারী ৮টি ট্র্যাক্টরসহ ভেকুম্যাশিনটি আমরা ঘিরে ফেলি। তখন লেন্টু মেম্বার আমাকে বলে আমি উপজেলা প্রসাশনের সব কর্মকর্তাদের অনুমতি নিয়েই মাটি কাটতে এসেছি। বাধা দিলে পুলিশ দিয়ে আমি তুলে নিয়ে যাবো।
একতারপুর বাওড় পারের সাদেক আলী, মনিনুর রহমান জানান, শুধু আমি না এলাকার কেউই লেন্টু মেম্বারের বিরুদ্ধে কথা বলতে সাহস পায়না। কিন্তু আজ আমরা নিরুপায় হয়েই আমাদের রাস্তা রক্ষার জন্য মাটি বহনকারী ট্র্যাক্টরসহ ভেকুম্যাশিনটি ঘিরে রেখেছি। তারপরও আমাদেরকে লেন্টু মেম্বার তার বাহীনি দিয়ে সায়েস্থা করবে বলে হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছে।
একতারপুর গ্রামের লেন্টু মেম্বার জানান, আমি বাওড় থেকে মাটি কাটছি তাতে তো বাওড়ের জন্য লাভই হচ্ছে। তাছাড়া আমি প্রসাশনের অনুমতি নিয়েই মাটি কাটছি। এখন বন্ধ হলে কি হবে, যতো বাধায় আসুক না কেন আমি মাটি কাটবই।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাজ্জাদুল ইসলাম সাজ্জাদ জানান, কেউ যদি আওয়ামী লীগের নাম ভাঙ্গীয়ে এসব কাজ করে তাহলে তার শাস্তি হওয়া দরকার।
মহেশপুর থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) মাহাবুবুর রহমান বলেন প্রথম কথা আমি লেন্টু মেম্বারকে চিনি না বা এখনও আমি তাকে দেখিনি। যদি কেউ পুলিশের নাম ব্যবহার করে মাটি কেটে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) শরীফ শাওন জানান, আমি কাউকে মাটি টাকার অনুমতি দিতে পারিনা। যদি কেউ আমার নাম ব্যবহার করে থাকে তাহলে মাটি কাটা অবস্থায় আমাকে জানালে আমি আইনগত ব্যবস্থা নেব।
Leave a Reply