ফারুক আহমেদ, মাগুরা জেলা প্রতিনিধি : মাগুরার সদর উপজেলার রাঘবদাইড় ইউনিয়নের হুদা বেরইল গ্রামের সাগরিকা খাতুন (২৫), পিং-রবিউল ইসলাম বাড়িতে গত ইং ২১-০৬-২০২৪ শুক্রবার ভোর ৫ টার সময় হতে ৬ টা পর্যন্ত সাগরিকা খাতুনদের বাড়িতে মোঃ পিকুল (৩০) ও মোঃ মুকুল মোল্যা (৩৬) উভয়পিং-তালেব মোল্যা, রফিক মোল্যা (৩৭) পিং-তালেব মোল্যা, আকিদুল (৩০) সাদ্দাম মোল্যা (২৮), আব্দুল্লাহ (২০) আছাদ মোল্যা (৩২) সর্বপিং-শাহাদৎ মোল্যা, ছত্তার মোল্যা (৪৫) পিং-মমরেজ মোল্যা, আনারুল মোল্যা (৩৫) পিং-ওহাব মোল্যা, শের আলী (২২) পিং-আনারুল মোল্যা, রিয়াদ মোল্যা (২২) পিং-পিকুল মোল্যা, আনার মোল্যা (৫০) পিং-ছিরা মোল্যা, রুহান মোল্যা (২০) পিং-মুকুল মোল্যা, মন্টু মোল্যা (৫০) পিং-মোঃ মুজা মোল্যা, মফিজ মোল্যা (৩৫) পিং-মন্টু মোল্যা, মহর মোল্যা (৬০) পিং-কন্টে মোল্যা, ছিহাদ (৩৫) পিং-মুকা মোল্যা, লিমন (২৫) পিং-জাহিদ মোল্যা, হাছিব (২৬) পিং-ছোলু মোল্যা, রুবেল (২৮) পিং-কুদ্দুস মোল্যা, তালেব (৬০) পিং-পাছু মোল্যা, রিফাদ (২১) পিং-রফিক মোল্যা, শাহাদৎ (৬০) পিং-মৃত-ওমর মোল্যা, আজাদ (৩৫) পিং-যুকা মোল্যা সর্ব গ্রাম -হুদা বেরইল (বেঙ্গা বেরইল) সহ আরো অনেকে লুটপাট ও হামলা চালায়।
স্বাক্ষী: ফুলমতি বেগম স্বামী -রবিউল ইসলা, বুলবুলি
স্বামী মকলেস মোল্যা, রুনা স্বামী – জিয়াউর রহমান
সুমাইয়া স্বামী- জাবের মোল্যা, সর্ব গ্রাম- হুদা বেরইল (বেঙ্গা বেরইল)।
বৃহস্পতিবার ২৭ জুন দুপুর ১২ টার সময়ে সাগরিকা খাতুন জানান, তার পিতা একজন বড় ধরনের গরু ব্যবসায়ী। গত ইং ২০ জুন দুপুরের দিকে উভয়পক্ষের মধ্যে প্রচন্ড কাইজা হয়। তার পিতা রবিউল কোপ খেয়ে মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি হয়। একজন নিরীহ লোক কাইজা দেখতে এসে কে বা কাহার দ্বারা আঘাত প্রাপ্ত হয়ে মারা যায়। মৃত ব্যক্তিকে সন্ত্রাসপক্ষ তাদের লোক বলে প্রচার করে এলাকায় লুটপাট, ভাংচুর করার ষড়যন্ত্র করে। উক্ত ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে ঘটনার দিন ও সময়ে সমস্ত সন্ত্রাসী কায়দায় লোকজনের হাতে কুড়াল, দা, হাম্বুর ইত্যাদী অস্ত্র সহকারে এলাকায় শক্তি প্রদর্শন করে মহড়া দিয়ে ত্রাস সৃষ্টি করতে করতে এবং আমাদের মনে আতংক সৃষ্টি করে অনাধিকার আমাদের বাড়ীর সামনে এসে শাহাদাৎ এর হুকুমে সমস্ত লোকজন হুংকার দিয়ে আমাদের বাড়ীর দুইটা গেট হাতুড়, কুড়াল দিয়া ভাংচুর করে ১,৫০,০০০/- টাকার ক্ষতি করে বাড়ীর ভিতর প্রবেশ করে আমাদের দক্ষিন পোতার ওয়াল করা টিনের ঘরের দরজা, জানালা, টিন এবং ঘরের ভিতর থাকা দুইটা মোটর সাইকেল (হিরো হোন্ডা, পালসার) সোকেচ ভাংচুর করে ৪ লক্ষ টাকার ক্ষতি করে। অতঃপর লোকজন আমাদের ঘরের মধ্যে থাকা সাব বাক্স ধরাধরি করিয়া ঘরের বাহিরে নিয়ে যায়। যাহার ভিতর নগদ ৭ লক্ষ টাকা ৪ ভরি স্বর্ন অলংকার মূল্য ৫ লক্ষ টাকা, শাড়ি কাপড় সহ ব্যবহারিক উন্নত মানের জিনিসপত্র মূল্য ২ লক্ষ টাকা ছিল। উক্ত বাক্স ত্রাস সৃষ্টিকারী লোকজন ধরাধরি করে শাহাদাতের বাড়ীতে রেখে আসে। অতঃপর সন্ত্রাসী লোকজন আমাদের গোয়াল ঘর হইতে ৪ টা এড়ে গরু একটি বকনা গরু মূল্য ৪ লক্ষ টাকা নিয়ে যায়। অতঃপর অন্যান্য লোকজন বাড়ীর ভিতর থাকা মটর, পলকাটা মেশিন, পাওয়ার টিলার, টলি মূল্য ২,৫০,০০০/- টাকা লুট করে নিয়ে যায়। অতঃপর সকল সন্ত্রাসী লোকজন আমাদের ঘরে থাকা ফ্রিজ, ৫০ মন ধান, ৫ মন চাল মূল্য ১,২০,০০০/- টাকা লুট করে নিয়ে যায়। সন্ত্রাসী ত্রাস সৃষ্টিকারী লোকজনের কাজে আমরা বাধা দিতে গেলে তাদের তান্ডবে বাধা দিতে পারিনি। ত্রাসকৃত লোকজন লুট কৃত সকল মালামাল, গরু ইত্যাদি শাহাদৎ, পিকুল, ছত্তার, মন্টুর বাড়ীতে উঠাই। এরা ইচ্ছাকৃত ভাবে ঘটনা ঘটাইয়াছে এটা সাগরিকা খাতুনের পরিবারের দাবি।
তবে লুটপাট অভিযুক্ত লোকজন জানান, রবিউলরা নিজেরাই নিজেদের বাড়ি ঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে।
Leave a Reply