ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : অশান্ত জনপদ শৈলকুপা উপজেলার হাকিমপুর ইউনিয়নে আবারও দাঙ্গা হাঙ্গামা আর অস্ত্রের ঝনঝনানী শুরু হয়েছে। ভেঙে পড়েছে আইনশৃংখলা পরিস্থিতি। এরই ধানাবাহিকতায় একজন নির্বাচিত চেয়ারম্যান ইকু শিকদারের উপর দিনে দুপুরে সশস্ত্র হামলার ঘটনা ঘটেছে। আর এই হামলার ঘটনায় সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন উপজেলার বিপ্রবগদিয়া গ্রামের বহু অপকর্মের হোতা সাচ্চু মাষ্টার এবং তার পুত্র তৌফিকসহ একটি সংঘবদ্ধ চিহ্নিত সস্ত্রাসী বাহিনী।
হামলার শিকার চেয়ারম্যান ইকু শিকদার জানান গত ২৬ জুন দুপুরে ইউনিয়ন অফিস থেকে বাসায় ফেরার পথে সাধুহাটি বাজারে আগে থেকেই ওৎ পেতে থাকা সাচ্চু মাষ্টার এর ছেলে তৌফিক এবং মামলার আসামী শফিকুল সহ একটি সশস্র বাহিনী হঠাৎ করে তার উপর হামলা করে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে এবং জীবন বাঁচাতে তিনি দৌড়ে পার্শ্ববর্তি এক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ঢুকে আত্মরক্ষা করেন।
এ সময় চেয়ারম্যানকে রক্ষায় আশ-পাশের লোকজন এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। তবে হামলাকারী শফিকুল নামের একজনকে স্থানীয় জনতা ধরে গণধোলায় দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।
এ বিষয়ে হাকিমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও শৈলকূপা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকু শিকদার আরো বলেন আমার বাবা সোনা শিকদার নিষ্ঠার সাথে রাজনীতি করেছেন। তিনি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে হাকিমপুর ইউনিয়ন বাসীকে সেবা দিয়েছেন এমনকি শৈলকূপা উপজেলা বাসীকেও আমার বাবা- মা সেবা দিয়েছেন। আমি আমার বাবা-মা এবং ভাই এর আদর্শ বুকে ধারণ করে জনমানুষের সেবা দিয়ে যাচ্ছি।
তিনি বলেন সম্প্রতি উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শৈলকূপার সব ইউনিয়নে হামলা-মামলা ভাংচুর লুটপাট হয়েছে। অনেক গ্রামের মানুষ বাড়ি ছাড়া হয়েছে তবে আমার ইউনিয়নের মানুষ নিরাপদে ছিল। আর এই সুযোগে হঠাৎ করে বিপ্রবগদিয়া গ্রামের সাচ্চু মাষ্টার উপজেলা নির্বাচনের পর গ্রামে এসে চিহ্নিত সন্ত্রাসী বাহিনীর সহায়তায় আমার ইউনিয়ন কে অশান্ত করার চেষ্টা করছে।
তিনি ঘটনার বিষয়ে গত ২৬ জুন সন্ধ্যায় উপজেলার সাধুহাটি বাজারে ইউনিয়ন অফিসের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। সেখানে তিনি কান্না জড়িত কন্ঠে নিজের জিীবনের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ঐ দিন বেলা ১ টার দিকে বোর্ড অফিস থেকে বাসায় ফেরার পথে আমার পিছন থেকে সাচ্চু মাষ্টারের ক্যাডার বাহিনী হামলা চালায়। সাধুহাটিতে হাটেরদিন হওয়ায় সাধারণ মানুষের সহায়তায় আমি জীবন নিয়ে ফিরতে পেরেছি , না হলে আমাকে হয়তো লাশ হয়ে ফিরতে হতো।
এদিকে ইকু শিকারের উপর এমন হামলার ঘটনায় ফুঁসে উঠেছে শৈলকুপাবাসী। তারা প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছেন যারা শান্ত ইউনিয়ন বাসীকে অশান্ত করতে চায় তাদেরকে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দিতে হবে। তা না হলে এর প্রতিবাদে এলাকার মানুষ রাস্তায় নামতে বাধ্য হবে।
এ বিষয়ে শৈলকূপা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম জানান ইকু শিকদার একজন জনপ্রিয় চেয়ারম্যান তার উপর হামলা খুবই দুঃখজনক। হামলার ঘটনায় শৈলকূপা থানায় একটি এজাহার দায়ের করা হয়েছে। এজাহারভুক্ত একজন গ্রেফতার আছে। পলাতক বাকী আসামিদের গ্রেফতারের জোর চেষ্টা চলছে। তিনি সকলকে শান্ত থাকার আহবান জানান।
Leave a Reply