অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : বাংলাদেশের কারাগারগুলোতে শূন্যপদে ৪৮ জন চিকিৎসক নিয়োগের নির্দেশনা বাস্তবায়ন না করার ব্যাখ্যা দিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে (ডিজি) তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ২৪ জানুয়ারি তাকে সশরীরে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলী সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন এডভোকেট জে আর খান রবিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
এডভোকেট জে আর খান রবিন বলেন, গত ১৩ ডিসেম্বর হাইকোর্ট কারাগারগুলোতে শূন্যপদে ৪৮ জন চিকিৎসক নিয়োগ দেয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। ৭ জানুয়ারির মধ্যে নিয়োগ দিতে বলেছিলেন। কিন্তু এখনও শূন্যপদে নিয়োগ দেয়া হয়নি। এ কারণে তলব করে আদেশ দিয়েছেন।
দেশের কারাগারগুলোতে শূন্যপদে ৪৮ জন চিকিৎসক নিয়োগে গত ১৩ ডিসেম্বর নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। স্বাস্থ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব ও কারা কর্তৃপক্ষকে ৭ জানুয়ারির মধ্যে এই আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়।
এডভোকেট জে আর খান রবিন বলেন, কারা কর্তৃপক্ষ প্রতিবেদন দাখিল করে বলেছে যে, কারাগারগুলোতে ৯৩ জন চিকিৎসক নিয়োগ ও সংযুক্ত করা হয়েছে। ৪৮টি পদ শূন্য রয়েছে। শূন্যপদে নিয়োগের জন্য সময় প্রয়োজন। পরে আদালত ৮ জানুয়ারির মধ্যে শূন্যপদে নিয়োগের নির্দেশ দেন। গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর প্রতিবেদন দিয়ে জানানো হয়, দেশের ৬৮টি কারাগারে ১১২ জন চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ১৪১টি পদের মধ্যে এই ১১২ পদে চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। বাকি শূন্যপদে দ্রুত নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এর আগে ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে প্রতিবেদন দিয়ে জানানো হয়, দেশের ৬৮টি কারাগারে ১৪১টি পদের বিপরীতে চিকিৎসক রয়েছে মাত্র ১০ জন। ওই প্রতিবেদন দেখে হাইকোর্ট কারাগারগুলোতে চিকিৎসক নিয়োগের নির্দেশ দেন।
এডভোকেট জে আর খান রবিন জানান, ২০১৯ সালের ২৩ জুন এক আদেশে আদালত সারাদেশের সব কারাগারে বন্দিদের ধারণক্ষমতা, বন্দি ও চিকিৎসকের সংখ্যা এবং চিকিৎসকের শূন্যপদের তালিকা দাখিলের নির্দেশ দিয়ে রুল জারি করেন। ওই নির্দেশ অনুসারে কারা মহাপরিদর্শক ব্রি. জে. একেএম মোস্তফা কামাল পাশার পক্ষে ডেপুটি জেলার মুমিনুল ইসলাম একটি প্রতিবেদন দেন।
এ বিষয়ে রুল শুনানির ধারাবাহিকতায় সারা দেশের কারাগারগুলোতে শূন্যপদে চিকিৎসক নিয়োগের নির্দেশ দেন আদালত।