28 Feb 2025, 09:01 am

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : প্রতি বছর কার কত ভূমি উন্নয়ন কর, সেটার তালিকা তৈরি করে সহকারী কমিশনারের (ভূমি) (এসিল্যান্ড) কাছে পাঠাবেন ইউনিয়ন ভূমি সহাকারী কর্মকর্তা। সেই তালিকা নোটিশ বোর্ডে টাঙিয়ে দেবেন সহকারী কমিশনার (ভূমি)। এ বিষয়ে যদি কারও আপত্তি থাকে, সে বিষয়ে এসিল্যান্ড ও জেলা কালেক্টরের কাছে আপত্তি দায়ের করতে পারবেন। পরে তা ১৫ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করবেন জেলা কালেক্টর। এমন বিধান রেখে ‘ভূমি উন্নয়ন কর আইন, ২০২৩’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

পরে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মো. মাহমুদুল হোসাইন খান।

এখন বাংলা ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ভূমি উন্নয়ন কর আদায় করা হয় জানিয়ে সচিব বলেন, নতুন আইন অনুযায়ী জুলাই থেকে জুন মেয়াদে ভূমি উন্নয়ন কর আদায় করা হবে। আর্থিক বছরের সঙ্গে এটি সম্পৃক্ত করা হয়েছে। আগে ১ বৈশাখ থেকে ৩০ চৈত্র পর্যন্ত সময়ের জন্য ভূমি উন্নয়ন করা দিতে হতো। এখন সেটা হবে ১ জুলাই থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত।

খসড়া আইন অনুযায়ী এখন থেকে ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে ভূমি উন্নয়ন কর আদায় করা হবে বলেও জানান তিনি। গেজেট প্রজ্ঞাপন দিয়ে বিশেষ সময়ে যেমন করোনা মহামারি, দুর্বিপাক ইত্যাদি সময়ে ভূমি উন্নয়ন কর কমানোর সুযোগ খসড়া আইনে রাখা রয়েছে।

মো. মাহমুদুল হোসাইন বলেন, কোনো ভূমির মালিক যদি একসঙ্গে তিনবছর ভূমি উন্নয়ন কর না দিয়ে থাকেন তাহলে প্রথম বছর থেকে তৃতীয় বছর পর্যন্ত সোয়া ৬ শতাংশ হারে জরিমানাসহ কর আদায় করতে হবে।

তিনি বলেন, ভূমি উন্নয়ন কর ব্যবহারভিত্তিক হবে। আগের ২৫ বিঘা পর্যন্ত ভূমি উন্নয়ন কর মওকুফ ছিল, এখনও সেটা বলবৎ আছে। কেউ যদি ২৫ বিঘার বেশি জমির মালিক হয়ে থাকেন, তাহলে পুরোটারই ভূমি উন্নয়ন কর দিতে হবে।

 

‘কার কত ভূমি উন্নয়ন কর’ নোটিশ বোর্ডে টাঙিয়ে দেবেন এসিল্যান্ড ; মন্ত্রীসভায় সিদ্ধান্ত

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : নির্বাচনে গণমাধ্যমকর্মী ও পর্যবেক্ষকদের বাধা দিলে ২ থেকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়ার বিধান রেখে ‘জনপ্রতিনিধিত্ব (সংশোধন) আইন, ২০২৩’-এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

পরে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মাহমুদুল হোসাইন খান এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘এটাতে কিছু সংশোধনী প্রস্তাব করা হয়েছিল। আগে যেমন ছিল- যেদিন মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হবে, তার সাতদিন আগে যেকোনো ইউলিটি বিল জমা দিতে হতো। না হলে মনোনয়নপত্র বাতিল বলে গণ্য হতো। এখন মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার আগের দিন পর্যন্ত বিল জমা দেওয়া যাবে।’

‘মনোনয়নপত্রের সঙ্গে টিআইএন সার্টিফিকেট সংযুক্ত করতে হবে ও কত টাকা আয়কর জমা দিয়েছে, সেটা রশিদ অনুযায়ী সাবমিট করতে হবে। এটা আগে ছিল না। এ দুটি অংশ যোগ করা হয়েছে।’

সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে মো. মাহমুদুল হোসাইন খান বলেন, ‘আপনারা যারা গণমাধ্যমকর্মী ও পর্যবেক্ষক, আপনাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য এখানে একটা বিধান রাখা হয়েছে। যদি কেউ গণমাধ্যমকর্মী ও পর্যবেক্ষকদের আইনানুগ কাজে বাধা দেয়, সেক্ষেত্রে দুই থেকে সাত বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।’

উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘ধরুন আপনি ক্যামেরা নিয়ে গেলেন, হয়তো অনেক সময় হতে পারে মনোমালিন্য হলে আপনি বেরিয়ে যান (ভোট কেন্দ্র থেকে), ইত্যাদি ইত্যাদি (বেরিয়ে যেতে বলা হলো)।  আপনার যদি বৈধভাবে প্রবেশ করার অধিকার থাকে কিন্তু তারপরও বলপ্রয়োগ করে আপনাকে বের করে দেওয়া হলো, ক্যামেরা ভেঙে ফেলল ইত্যাদি অনেক কিছুই হতে পারে। সেক্ষেত্রে দুই থেকে সাত বছর পর্যন্ত সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে।’

মো. মাহমুদুল হোসাইন খান বলেন, ‘এটার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, এখনো ফাইনাল করা হয়নি। আরও কিছু কারেকশন আছে। আরও কিছু মতামতসহ এটা আবার মন্ত্রিসভায় উপস্থাপিত হবে। তারপরে আরও কিছু যদি সংযোজন হয়, সেটাসহ পাস করা হবে।’

আইনে ছোটখাটো অনেকগুলো বিষয় আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যেমন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার নিয়োগের আগে শুধু ডিস্ট্রিক্ট (জেলা) উল্লেখ করা ছিল। এখন জেলার পরিবর্তে প্রতিটি আসনে হবে। অর্থাৎ ৩০০ আসনে ৩০০ জন রিটার্নিং অফিসার থাকবে- এমন আলোচনা হয়েছে।’

 

নির্বাচনে গণমাধ্যমকর্মীদের বাধা দিলে ২-৭ বছরের জেল ; মন্ত্রীসভায় খসড়া নীতিমালা অনুমোদন

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এই অঞ্চলের সক্ষমতা উন্নয়ন এবং সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি আজ ‘আইওসি রিজিওনাল কমিটি ফর দ্য সেন্ট্রাল ইন্ডিয়ান ওশান (আইসিওআইএনডিও)’এর নবম আন্তঃসরকারি অধিবেশনে এই আহবান জানান।
মঙ্গলবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে এই অধিবেশন শুরু হয়েছে। অধিবেশন চলবে ৩০ মার্চ পর্যন্ত।
ড. আব্দুল মোমেন এক ভিডিও বার্তার মাধ্যমে সেশনের উদ্বোধন করেন।
তিনি এই অঞ্চলের নিরাপত্তা, সংযোগ, শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য ভারত মহাসাগরের গুরুত্ব তুলে ধরেন। এছাড়া আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সামুদ্রিক বৈজ্ঞানিক গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা; প্রকল্প গ্রহণ; এবং সমুদ্র পর্যবেক্ষণ ও তথ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে ভারত মহাসাগরের সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে তাদের সুনির্দিষ্ট স্বার্থ ও অগ্রাধিকার বিবেচনা করে এই অঞ্চলের সক্ষমতা উন্নয়ন এবং সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানোর আহবান জানান।
অধিবেশনে বাংলাদেশসহ ১৪টি দেশের প্রতিনিধি, আইওসি-ইউনেস্কো সচিবালয়, ইন্ডিয়ান ওশান কমিশন এবং বিশ্ব ব্যাংকের স্বতন্ত্র পর্যবেক্ষক ও প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
অংশগ্রহণকারী দেশগুলো হলো- বাংলাদেশ, ফ্রান্স, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, কুয়েত, মালয়েশিয়া, পাকিস্তান, কাতার, শ্রীলঙ্কা, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালদ্বীপ, সৌদি আরব এবং ইয়েমেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারত মহাসাগরীয় আঞ্চলিক কমিটিকে একটি সাব-কমিশনে উন্নীত করতে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক প্রচেষ্টার আশ্বাস দেন।
প্রথম দিনের অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের সচিব রিয়ার এ্যাডমিরাল মো. খুরশেদ আলম এবং ইন্টারগভর্নমেন্টাল ওসিয়ানোগ্রাফিক কমিশন (আইওসি)-এর নির্বাহী সচিব ভ্লাদিমির রিয়াবিনিন।
এছাড়া আইওসি সভাপতি এরিয়েল হার্নান ট্রয়সি, ইন্টারন্যাশনাল সীবেড অথরিটি এর মহাসচিব মাইকেল ডব্লিউ লজ এবং আইওসি আফ্রিকার সভাপতি প্রফেসর আফিয়ান কৌদিও ভিডিও বার্তার মাধ্যমে প্রথম দিনের অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন।
তিনদিনব্যাপী অধিবেশনে সুনীল অর্থনীতি, সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, সমুদ্রের বাস্তুতন্ত্র ও মানবস্বাস্থ্য, জাতিসংঘ ঘোষিত সমুদ্র বিজ্ঞানের জাতিসংঘ দশকসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে।

ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সক্ষমতা বাড়াতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন আহ্বান

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, সুন্দরবনে পর্যটকদের সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক (প্লাস্টিকের পানির বোতল) নিতে দেওয়া হবে না।

তিনি বলেন, সুন্দরবনে গমনকারী পর্যটকদের সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক সামগ্রী নিতে দেওয়া হবে না। কারণ সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক ব্যবহারে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে সোমবার (২৭ মার্চ) পরিবেশ অধিদপ্তরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এছাড়া প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে মন্ত্রণালয়ের সচিবকে নির্দেশনা দেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, দেশের উপকূলীয় ১২টি জেলার ৪০টি উপজেলায় সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করতে বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডক্টর আবদুল হামিদের সভাপতিত্বে আলোচনায় বক্তব্য দেন পরিবেশ উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার ও পরিবেশ সচিব ফারহিনা আহমেদ।

 

সুন্দরবনে প্লাস্টিকের পানির বোতল নেওয়া যাবে না : পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : সংলাপের জন্য নয়, বিএনপিকে অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় অংশ নিতে চিঠি দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল।

মঙ্গলবার নির্বাচন ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, অনেকেই এটাকে সরকারের কূটকৌশল হিসেবে মনে করেছেন। এই চিঠির সাথে সরকারের কোনো সংযোগ নাই। কূটকৌশল যদি হয়ে থাকে সেটা ইসির, সরকারের নয়।

নির্বাচন কমিশন সবসময় চায় দলীয় চর্চা ও সদিচ্ছার মাধ্যমে সুষ্ঠু নির্বাচন হোক। সরকারের আজ্ঞাবহ হয়ে কমিশন কোনো কাজ করে না। বিএনপির মতো রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনে আনতে পারলে কমিশনের জন্য ভালো বলেও উল্লেখ করেন সিইসি।

বিএনপিকে অনানুষ্ঠানিক আলোচনার জন্য ডাকা হয়েছে : সিইসি

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : র‌্যাবের হেফাজতে নারীর মৃত্যু এবং ঢাকা শিশু হাসপাতাল চত্বরে চোর সন্দেহে যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় প্রতিবেদন চেয়েছে মানবাধিকার কমিশন। মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় কমিশন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়-গত ২৬ মার্চ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত ‘র‌্যাবের হেফাজতে নারীর মৃত্যুর অভিযোগ স্বজনদের’ সংক্রান্ত সংবাদ প্রতিবেদনের প্রতি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। কমিশন মনে করে, হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনা একটি মারাত্মক অপরাধ ও মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক এফ এম শামীম আহাম্মদের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয় যে, ‘র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদের সময় ওই নারী পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পান’।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়-কমিশন মনে করে, এ ধরনের বক্তব্য দায়িত্বজ্ঞানহীন অনভিপ্রেত। তিনি প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন না এবং কীভাবে মৃত ব্যক্তির মাথায় আঘাত লেগেছে তা তার জানার কথাও নয়। র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে পড়ে গিয়ে আঘাত পাওয়া এবং মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে মৃত্যুর ঘটনা কমিশনের কাছে অস্বাভাবিকভাবে প্রতীয়মান।

এ অবস্থায় হেফাজতে মৃত্যু সংক্রান্ত অভিযোগের বিষয়টি র‌্যাব বাদে পুলিশের অন্য কোনো ইউনিটের মাধ্যমে তদন্ত করে একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন করার জন্য সিনিয়র সচিব, জন নিরাপত্তা বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বলা হয়েছে।

এছাড়া গত ২৬ মার্চ গণমাধ্যমে ‘ঢাকা শিশু হাসপাতাল চত্বরে চোর সন্দেহে যুবককে পিটিয়ে হত্যা’ শিরোনামে একটি সংবাদও কমিশন দেখেছে। নিহত মামুনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পাঠানো হয়েছে জানিয়ে এতে বলা হয়, হাসপাতালের মতো জায়গায় চোর সন্দেহে পিটিয়ে
হত্যার ঘটনা সুষ্ঠুভাবে তদন্তপূর্বক কমিশনে প্রতিবেদন পাঠাতে পুলিশ কমিশনার, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি), ঢাকা-কে বলা হয়েছে।

 

দুটি বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের প্রতিবেদন চেয়েছে মানবাধিকার কমিশন

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বায়ুর ১০টি শহরের মধ্যে ৯টিই দক্ষিণ এশিয়ায়। এরমধ্যে ঢাকা অন্যতম। বাংলাদেশে মোট অকাল মৃত্যুর প্রায় ২০ শতাংশের জন্য দায়ী বায়ুদূষণ। বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই অঞ্চলে পরিষ্কার বায়ু অর্জনের জন্য সমাধান রয়েছে। তবে এজন্য দেশগুলোকে নীতি এবং বিনিয়োগের সমন্বয় করতে হবে।

মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিস থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় এ তথ্য।

প্রতিবেদনে বলা হয়, দক্ষিণ এশিয়ায় বায়ুদূষণ বেড়েই চলেছে। ফলে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে জনস্বাস্থ্যে। এই অঞ্চল সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ এবং দরিদ্র। কিছু সূক্ষ্ম কণা বায়ুতে মিশে আছে। যেমন কাঁচ এবং ছোট ধূলিকণা। এর ঘনত্ব বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মান থেকে ২০ গুণ বেশি। এর ফলে দক্ষিণ এশিয়ায় প্রতি বছর আনুমানিক ২০ লাখ মানুষের অকাল মৃত্যু ঘটে। এ ধরনের চরম বায়ুদূষণের সংস্পর্শে শিশুদের মধ্যে স্টান্টিং এবং জ্ঞানীয় বিকাশ কম হয়।

বাংলাদেশ ও ভুটানে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলায়ে সেক বলেন, বায়ুদূষণ জনস্বাস্থ্যের জন্য একটি গুরুতর হুমকি সৃষ্টি করে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ওপর প্রভাব ফেলে। সঠিক পদক্ষেপ এবং নীতির মাধ্যমে বায়ুদূষণ মোকাবিলা করা সম্ভব। বাংলাদেশ এরই মধ্যে বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালার অনুমোদনসহ বায়ুর মান ব্যবস্থাপনার উন্নতির জন্য পদক্ষেপ নিয়েছে। শক্তিশালী জাতীয় পদক্ষেপের পাশাপাশি, বায়ুদূষণ রোধে আন্তঃসীমান্ত সমাধান গুরুত্বপূর্ণ হবে।

বিশ্বব্যাংকের পরিচালক সিসিলি ফ্রুম্যান বলেন, বায়ুদূষণ একটি শহর, রাজ্য বা জাতীয় সীমানার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এটি প্রকৃতির আন্তঃসীমান্ত। দক্ষিণ এশীয় দেশগুলো যদি সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ করে তবেই বায়ুদূষণ রোধ সম্ভব।

 

বাংলাদেশে অকাল মৃত্যুর ২০ শতাংশই বায়ুদূষণের কারণে : বিশ্বব্যাংক

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, শেখ হাসিনার সরকারের পতন ঘটানোর ক্ষমতা বিএনপি-জামায়াতের নেই।
আজ মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি অডিটোরিয়ামে সরকারি অনুদানে নির্মিত ‘মাইক’ চলচ্চিত্রের বিশেষ প্রদর্শনীতে অংশ নিয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ সরকারের অনুদানে নির্মিতব্য পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রথম শিশুতোষ চলচ্চিত্র ‘মাইক’ চলচ্চিত্রের যাত্রা শুরু হয়েছে। তরুণ লেখক, কলামিস্ট ও সংগঠক এফ এম শাহীনের প্রযোজনায় চলচ্চিত্রটি যৌথভাবে পরিচালনা করছেন এফ এম শাহীন ও হাসান জাফরুল (বিপুল)।
মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া দল। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা ক্ষমতায় আছি। এই সরকারের পতন ঘটানোর শক্তি বিএনপি জামায়াত বা একাত্তরের পরাজিত শক্তি, তাদের দোসর কারো নেই। তাদের আন্দোলন আগেও বিফলে গেছে, আবারো বিফলে যাবে।
‘গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হবে’ বিএনপি নেতা খন্দকার মোশরফ হোসেনের এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এখন অনেক সচেতন। তারা ইতিহাস জানে। তারা জানে এই বিএনপি একাত্তরের পরাজিত শক্তি পাকিস্তানের দোসর হিসেবে কাজ করছে। এরা স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাস করে না, দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতির বিরুদ্ধে। আন্দোলন, গণঅভ্যুত্থান করে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটানো যাবে না। তারা সরকারের পতন ঘটানোর ক্ষমতা রাখে না।
মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, জাতির পিতার ৭ মার্চের ভাষণই মূলত স্বাধীনতার ঘোষণা। কারণ ভাষণের পরই গোটা বাঙালি জাতি যুদ্ধের প্রস্তুতি নেয়া শুরু করেছিল।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ছিল জাতি, দেশ সৃষ্টি করার ভাষণ। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের অনুপেরণা। বিশ্বখ্যাত এ ভাষণের সাথে অন্য ভাষণের তুলনা হতে পারে না। এই ভাষণ পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ ভাষণগুলোর মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ভাষণ হিসেবে বিবেচিত হবে।
এসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক আবদুস সবুর, শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপা, কার্যনির্বাহী সদস্য অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ এবং কবি অসীম সাহা উপস্থিত ছিলেন।

 

সরকারের পতন ঘটানোর ক্ষমতা বিএনপি-জামায়াতের নেই : হানিফ