22 Feb 2025, 08:26 pm

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হামিদ সেনানিবাসের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টা ২১ মিনিটে তিনি সেনানিবাস উদ্বোধন করেন।

এর আগে বেলা ১১টার দিকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকা থেকে তিনি মিঠামইনে পৌঁছান।

এরপর মিঠামইন সদরের ঘোড়াউত্রা নদীর তীরে ২৭৫ একর জায়গায় নবনির্মিত বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হামিদ সেনানিবাসের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করবেন তিনি। পরে দুপুরে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের আমন্ত্রণে তার পৈত্রিক বাড়িতে যান প্রধানমন্ত্রী। সেখানে জোহরের নামাজ শেষে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীরা।

দুপুর ৩টায় মিঠামইন সদরের হেলিপ্যাড মাঠে আয়োজিত সুধী সমাবেশে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সমাবেশ শেষে প্রধানমন্ত্রী হেলিকপ্টারযোগে ঢাকার উদ্দেশে মিঠামইন ছেড়ে যান।

প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে বর্ণিল সাজে সাজানো হয় হাওরের প্রতিটি প্রবেশপথ ও পয়েন্ট। সাজানো হয় সরকারের হাওরে বিভিন্ন উন্নয়নসহ দেশের বিভিন্ন উন্নয়ন চিত্রের ছবির মাধ্যমে। সর্বত্র শোভা পায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি সম্বলিত সরকারে উন্নয়ন চিত্রের বিভিন্ন ব্যানার-ফেস্টুন। প্রধানমন্ত্রীর আগমন ও জনসভাকে কেন্দ্র করে উৎসবের আমেজ বিরাজ করে হাওড়ের জনপদ।

প্রসঙ্গত, বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শনে ১৯৯৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথমবার মিঠামইন সফর করেন। তখন মো. আবদুল হামিদ কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) আসনের সংসদ সদস্য ও ডেপুটি স্পিকার ছিলেন। দীর্ঘ ২৫ বছর পর প্রধানমন্ত্রী মিঠামইন সফরে এসেছেন।

 

কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হামিদ সেনানিবাস উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের আমন্ত্রণে কিশোরগঞ্জের হাওড় উপজেলা মিঠামইন সদরের কামালপুরে রাষ্ট্রপতির পৈতৃক বাড়িতে আতিথ্য গ্রহণ করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে প্রধানমন্ত্রীকে হাওড়ের ১৫ প্রজাতির মিঠাপানির মাছ দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়। সঙ্গে ছিল গরু-মহিষের দুধ দিয়ে তৈরি ঐতিহ্যবাহী অষ্টগ্রামের পনির।

রাষ্ট্রপতির বড় ছেলে ও কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) আসনের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহমদ তৌফিক এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

দীর্ঘ দুই যুগ পর কিশোরগঞ্জের হাওড় উপজেলা মিঠামইন সফর করেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। দুপুরে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের পৈতৃক বাড়ি মিঠামইন সদরের কামালপুরের মেহমান হন তিনি। সেখানে রাষ্ট্রপতির বাড়িতে প্রধানমন্ত্রী তার সঙ্গে দুপুরের খাবার খান।

রেজওয়ান আহমদ তৌফিক বলেন, ‘হাওরের টাটকা মাছ দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে আপ্যায়ন করা হয়। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী অষ্টগ্রামের পনির অনেক পছন্দ করেন।’

রাষ্ট্রপতির বাড়িতে প্রধানমন্ত্রীর আপ্যায়নে হাওড়ের ১৫ পদের মাছ ; সঙ্গে ছিল ঐতিহ্যবাহী পনির

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : দীর্ঘ ২৫ বছর পর কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলা সফর করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী সকালে মিঠামইনে নবনির্মিত বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবদুল হামিদ সেনানিবাস উদ্বোধন করেন তিনি। বিকাল ৩টায় আওয়ামী লীগের জনসভায় ভাষন দেন। তার এ সফরকে ঘিরে সোমবার রাত থেকে সকাল পর্যন্ত কয়েক হাজার বাস, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, পিকআপ ও মোটরসাইকেলে চড়ে মানুষ প্রধানমন্ত্রীর সভাস্থলে উপস্থিত হন।

১৯৯৮ সালে প্রধানমন্ত্রী এসেছিলেন হাওড়ে। দীর্ঘদিন পরে আবার তিনি আসছেন। তাকে বরণ করতে সব প্রস্তুতি শেষ করেছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে তোরণ নির্মাণ, ব্যানার, ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে রাস্তাঘাট।

কিশোরগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উপজেলা ছাড়াও পাশের বিভিন্ন জেলা থেকে আওয়ামী লীগ সমর্থিত নেতাকর্মীরা দলে দলে মিঠামইন হ্যালিপেডে মাঠে সভাস্থলে যোগ দেন।

প্রধানমন্ত্রী সফর উপলক্ষে বিভিন্ন স্লোগানে মুখরিত হচ্ছে হাওড়ের চারপাশ। ব্যানার, ফেস্টুন, পোস্টার আর রঙ বেরঙের পোশাকে উচ্ছ্বসিত হাওরবাসী ভোর থেকেই যাত্রা শুরু করেন মঞ্চের দিকে।

স্থানীয়রা বলছেন, ২৫ বছর আগে প্রধানমন্ত্রী যখন মিঠামইনে গিয়েছিলেন, তখন সেখানে কোনও রাস্তাঘাট ছিল না। ছিল না কোনও অবকাঠামো বা উন্নয়ন কর্মকাণ্ড। সব মিলিয়ে চরম অবহেলিত জনপদ ছিল মিঠামইন। তবে আওয়ামী লীগ সরকারের হাত ধরে গত ১৪ বছরে রাস্তাঘাটসহ বিপুল উন্নয়ন হয়েছে হাওরাঞ্চলে। এ কারণে প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ হাওড়বাসী। একই সঙ্গে তিনি মিঠামইনে যাওয়ায় খুব খুশি তারা।

এদিকে আওয়ামী লীগের তরুণ কর্মীরা বলছেন, প্রধানমন্ত্রীকে টিভিতে দেখলেও বাস্তবে দেখার সুযোগ হয়নি। দলে দলে জনসভায় যোগ দিয়ে এ সুযোগটি কাজে লাগান তারা। তবে প্রধানমন্ত্রীর কাছে হাওড়াঞ্চলে উন্নয়নের পাশাপাশি কর্মসংস্থান সৃষ্টির সুযোগ তৈরির দাবি জানিয়েছেন তারা।

প্রধানমন্ত্রীর সফরকে ঘিরে হাওড়ে মানুষের ঢল

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : বাংলাদেশের নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

মঙ্গলবার রুশ দূতাবাস থেকে এ তথ্য জানানো হয়।

অভিনন্দন বার্তায় ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, আমার পক্ষ থেকে আন্তরিক অভিনন্দন গ্রহণ করুন। আমাদের দুদেশ ঐতিহ্যগতভাবে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখছে। আমি আশা করছি, আপনার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে বিভিন্ন খাতে দুদেশের গঠনমূলক সহযোগিতা আরও জোড়ালো হবে।

এছাড়া বাংলাদেশের নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতির সুস্বাস্থ্য, সাফল্য ও সার্বিক মঙ্গল কামনা করেন পুতিন।

উল্লেখ্য, চলতি মাসের ১২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন মো. সাহাবুদ্দিন। আগামী ২৩ এপ্রিল বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের মেয়াদ শেষ হলে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন তিনি।

বাংলাদেশের নতুন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনকে অভিনন্দন জানালেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের আমন্ত্রণে কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার কামালপুরে রাষ্ট্রপতির বাড়িতে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টায় সেখানে পৌঁছেন তিনি। রাষ্ট্রপতি ও তার পরিবারের সদস্যরা তাকে স্বাগত জানান। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপতির বড় ছেলে ও কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) আসনের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহমদ তৌফিক।

সফরসঙ্গীসহ সেখানেই দুপুরের খাবার খাবেন প্রধানমন্ত্রী। মধ্যাহ্নভোজ শেষে হেলিপ্যাড মাঠে প্রধানমন্ত্রী যোগ দেবেন আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায়।

রাষ্ট্রপতির বাসায় প্রধানমন্ত্রীকে হাওরের ২৩ প্রজাতির মাছ দিয়ে আপ্যায়ন করা হবে। সঙ্গে থাকবে মুরগী, খাসি-গরুর মাংস। খাওয়ানো হবে দুধ দিয়ে তৈরি ঐতিহ্যবাহী অষ্টগ্রামের পনির।

মঙ্গলবার সফরের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী সকালে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবদুল হামিদ সেনানিবাসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন।

দীর্ঘ দুই যুগ পর কিশোরগঞ্জের হাওর উপজেলা মিঠামইন সফরে আসছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। ১৯৯৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথমবার মিঠামইন সফর করেন।

 

নিজ বাড়িতে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানালেন রাষ্ট্রপতি ও তার পরিবারের সদস্যরা

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের ফুটবল খেলার উন্নয়নে বর্তমান বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনার সহযোগিতা চেয়েছেন। বাংলাদেশের ফুটবলের উন্নয়নে আর্জেন্টিনা বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে পারে অভিমত ব্যক্ত করে শেখ হাসিনা বলেন, “মেসির নাম এবং আর্জেন্টিনার ফুটবল খেলা বাংলাদেশের ঘরে ঘরে খুবই জনপ্রিয়।” আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিষয়ক মন্ত্রী সান্তিয়াগো আন্দ্রেস ক্যাফিয়েরো আজ সকালে গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। প্রধানমন্ত্রী পারস্পরিক সুবিধার জন্য বাংলাদেশ ও আর্জেন্টিনার মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থনৈতিক, সামাজিক, ক্রীড়া,  সংস্কৃতি ও পর্যটনসহ বিভিন্ন খাতে সহযোগিতা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দেন।
আর্জেন্টিনার সঙ্গে যোগাযোগ জোরদারে তাঁর সরকারের আগ্রহ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঢাকা বুয়েন্স আয়ার্সের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াতে খুবই আগ্রহী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্ধিত সহযোগিতার মাধ্যমে দুই দেশ আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির মাধ্যমে তাদের জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারে।
এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, আর্জেন্টিনা বাংলাদেশ থেকে তৈরী পোশাকের পাশাপাশি উচ্চমানের ফার্মাসিউটিক্যালস, পাট ও পাটজাত পণ্য, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য পণ্য কিনতে পারে।
অন্যদিকে বাংলাদেশ আর্জেন্টিনা থেকে সয়াবিন, এনিমেল ভেজিটেবল ফ্যাটস এন্ড ওয়েল, তৈলবীজ, ফলমূল, দুগ্ধজাত পণ্য এবং প্রাকৃতিক মধু আমদানি করে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং শিল্পায়নের লক্ষ্যে সারা দেশে ১শ’টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন দক্ষিণ এশিয়ায় একটি বিপণন কেন্দ্র। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার শুধু দেশের মধ্যেই নয়, প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গেও শক্তিশালী যোগাযোগ অবকাঠামো গড়ে তুলছে।
সান্তিয়াগো আন্দ্রেস ক্যাফিয়েরো আশা প্রকাশ করেছেন যে ঢাকায় আর্জেন্টিনার দূতাবাস পুনরায় খোলার মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক, বাণিজ্য ও ব্যবসায়িক সহযোগিতা বৃদ্ধি পাবে।
তিনি বলেন, ঢাকায় তাদের দূতাবাস পুনরায় চালু হওয়ায় আর্জেন্টিনা খুবই খুশি এবং এ লক্ষ্যে সহযোগিতা প্রদানের জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
আর্জেন্টিনা প্রথম ১৯৭৪ সালে ঢাকায় তার দূতাবাস খোলে। কিন্তু ১৯৭৮ সালে সামরিক জান্তার শাসনামলে সেটি বন্ধ করে দেয়া হয়। সোমবার ঢাকার বনানীতে আর্জেন্টিনা দূতাবাস পুণরায় খোলা হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, কোভিড-১৯ এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞার প্রভাবে সারা বিশ্ব দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, বিশ্বে খাদ্য দ্রব্যের দাম এবং মূদ্রাস্ফীতি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যাওয়ায় শুধু বাংলাদেশ নয়, অনেক উন্নত দেশও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ প্রেক্ষাপটে বন্ধুপ্রতীম দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা ও সম্পর্ক বৃদ্ধির মাধ্যমে জনগণের দুর্ভোগ লাঘব করা সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে সফররত মন্ত্রী বলেন, যুদ্ধ ও কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে আর্জেন্টিনার জনগণও উচ্চ মূদ্রাস্ফীতিতে ভুগছে।
তিনি  জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় সম্মিলিত ভাবে গ্লোবাল সাউথ ফোরামের সদস্য দেশগুলোর সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূমিকার ও প্রশংসা করেন। বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন দেখে তিনি মুগ্ধ বলেও জানান।
এটি প্রথম সফর উল্লেখ করে আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এত সুন্দর হবে তা কখনোই ভাবিনি।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পশ্চিম) সাব্বির আহমেদ চৌধুরী এবং বাংলাদেশে আর্জেন্টিনার অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত হুগো গোবি এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশের ফুটবল খেলার উন্নয়নে আর্জেন্টিনার সহায়তা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : একসময় হেনরি কিসিঞ্জার বাংলাদেশকে বটমলেস বাস্কেট বলেছিলেন। আজকে সেই হেনরি কিসিঞ্জারই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শান্তির পুরস্কার দিচ্ছেন। এটাকেই বলে প্রকৃতির প্রতিশোধ—এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জাতীয় সংসদের উপনেতা  মতিয়া চৌধুরী।

মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে ‘এলডিসি হতে উত্তরণে বাংলাদেশের কৃষি: অর্জন, চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক বিএসটি নাগরিক সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘একসময় হেনরি কিসিঞ্জার বাংলাদেশকে বটমলেস বাস্কেট বলেছিলেন। আজকে সেই হেনরি কিসিঞ্জারই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শান্তির পুরস্কার দিচ্ছেন। এটাকেই বলে প্রকৃতির প্রতিশোধ। আমি বলি, স্যুটকোট পরেন আর ফটর ফটর ইংরেজি বলেন দেইখা, আমাদের অপমান করার অধিকার আপনাদের দিয়েছে। কেননা, আমরা তখন ছিলাম আপনাদের অন্নদাস। খাবারের জন্য হাত পাততাম তো। কিন্তু এখন আপনাদেরও চলে না, আর আমরাও এখন আর হাত পেতে নেই না। এটাই হচ্ছে এখন বাস্তবতা।’

আজকের বাংলাদেশের উত্তরণের জাদুকর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, এমন মন্তব্য করে মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার আগে খাদ্য আমদানি করতে হতো। আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের আগে দেশের জনসংখ্যা কম ছিল এবং জমির পরিমাণ বেশি ছিল। তখন খাদ্য আমদানি করতে হতো। তখন বাংলাদেশের খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতায় আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ছিল না। এটা এমন না যে দেশের ভেতরে আমরা এই স্বীকৃতি অর্জন করেছি। অনেক চুলচেরা হিসাবের পর আমরা এই স্বীকৃতি অর্জন করেছি। এর পেছনে অবদান আছে আমাদের কৃষক, কৃষি বিজ্ঞানী, জনগণ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। সারা বাংলাদেশে এখন কর্মযজ্ঞ চলছে। গ্রামাঞ্চলে গেলে বসে থাকা পাবলিক আর খুঁজে পাওয়া যায় না।’

দানাদার খাদ্যের পাশাপাশি দেশে শাকসবজি ও ফলের উৎপাদন বেড়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা সাধারণত দানাদার খাদ্যের হিসাব করি। কিন্তু এই দানাদার খাদ্যের পাশাপাশি দেশে শাকসবজি এবং ফলমূলের উৎপাদন আগের থেকে অনেকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে ভুট্টা চাষ হবে, অতীতে তা অকল্পনীয় ছিল। ষাটের দশকে ভুট্টা নিয়ে অনেক রকমের উত্তেজনা ছিল। সে সময় আমরা ভুট্টা নিয়ে অনেক স্লোগানও দিয়েছি। আজকে ভুট্টা দিয়ে তৈরি সাদা আটার যে ব্যাপক ব্যবহার, তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়েই হয়েছে। সাদা আটা ৩৫ ভাগ ভুট্টা এবং ৬৫ ভাগ গম দিয়ে তৈরি হয়। দেশে সরকারি উদ্যোগে গমের সঙ্গে ভুট্টার মিশ্রণে সাদা আটা তৈরি অনেক অবদান রেখেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এটা সত্য বাংলাদেশ তেল উৎপাদনে খুবই পিছিয়ে আছে। তবে আমি মনে করি, আমাদের জায়গা থাকলে আমরা এটা ঠিকই পারতাম।’

আলোচনা সভাটির আয়োজন করে বাংলাদেশ স্টাডি ট্রাস্ট।

সভায় কি-নোট উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনৈতিক বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সাহাদাত হোসেন সিদ্দিকী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ স্টাডি ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক টি এইচ এম জাহাঙ্গীর। প্রধান আলোচক ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও বাংলাদেশ স্টাডি ট্রাস্টের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক প্রফেসর ড. মাহবুবুর রহমান লিটুর সঞ্চালনায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু গবেষণা সংসদের সভাপতি প্রফেসর ড. উত্তম কুমার বড়ুয়া, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রথম সচিব ড. মো. নেয়ামুল ইসলাম প্রমুখ।

‘তলাবিহীন ঝুড়ি’র সেই কিসিঞ্জারই এখন শেখ হাসিনাকে শান্তির পুরস্কার দিচ্ছেন : মতিয়া চৌধুরী

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘এর আগে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে দুইবার কিশোরগঞ্জে এসেছিলাম। এসে দেখি, কোথায় ইটনা, কোথায় মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম- চারদিকে শুধু পানি আর পানি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে গত ১৪ বছরে কিশোরগঞ্জকে বদলে দিয়েছেন। এই দেশে দুজন মানুষ সৃষ্টি হয়েছেন। একজন বঙ্গবন্ধু দেশের স্বাধীনতার জন্য, আরেকজন শেখ হাসিনা মানুষের মুক্তির জন্য।’

তিনি বলেন, ‘আজকে অষ্টগ্রাম, মিঠামইনের রাস্তা যেন ইউরোপের রাস্তা। বাংলাদেশে এত সুন্দর রাস্তা হয় এবং কিশোরগঞ্জের মানুষ যে অবহেলিত নয় এটা প্রমাণ করতে রাষ্ট্রপতির অনুরোধে এখানে রাস্তা, স্কুল-কলেজ, ব্রিজ করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আগে এখানে এসে ভালো কাপড় পরে আছে এমন মানুষ খুব কম দেখেছি। পিঠের ওপর গামছা, পায়ে জুতা নেই, শীতকালে থরথর করে কাঁপতো, ঘরে অন্ধকার ছিল। কিন্তু আজকে এখানে মহিলারা রঙ বেরঙের পোশাক পরে বসে আছেন। আজকে সবাই স্যান্ডেল ও সুন্দর সুন্দর কাপড় পরেছেন। পেছনে থাকা পুরুষ মানুষের গায়ে ভালো ভালো পোশাক। তার মানে, চেহারা দেখলেই বোঝা যায় পেটে ভাত আছে, মনে শান্তি আছে।’

মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) কিশোরগঞ্জের মিঠামইন সদরের হেলিপ্যাড মাঠে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের, ‘শেখ হাসিনার প্রচেষ্টায় আপনারা শান্তিতে আছেনএটা বিএনপির সহ্য হয় না। মানুষ খুশি কিন্তু অখুশি শুধু একটা দল। বিএনপির ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মন ভালো নেই। মানুষের মন ভালো হলে বিএনপির মন খারাপ হয়ে যায়। তাদের জ্বালা ধরে, জ্বালারে জ্বালা হায়রে জ্বালা। হাওরে উড়াল সেতু- সেটাও শেখ হাসিনা করে দিচ্ছেন। ফখরুল ও তার দল মরে পদ্মা সেতুর জ্বালায়। তাদের অন্তর জ্বালার শেষ নেই। শুধু বাড়ছে আর বাড়ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু দেশকে স্বাধীনতা দিয়েছেন আর মুক্তি কাণ্ডারি স্বয়ং তার কন্যা। আজকে বাংলাদেশের গত ৪৮ বছরের সবচেয়ে সৎ নেতার নাম শেখ হাসিনা। গত ৪৮ বছরে সবচেয়ে দক্ষ প্রশাসক, সাহসী ও জনপ্রিয় নেতার নাম শেখ হাসিনা।’

সবার গায়ে ভালো পোশাক দেখলেই বোঝা যায় পেটে ভাত আছে : ওবায়দুল কাদের

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : চীন এখন বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে কাজ করছে। ভবিষ্যতেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশকে ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত দেশে রূপান্তরের স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে থাকতে চায় দেশটি। চীন কখনো বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে মাথা ঘামায়নি, ভবিষ্যতেও ঘামাতে চায় না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

মঙ্গলবার সচিবালয়ে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

ড. হাছান জানান, ‘চীনের রাষ্ট্রদূত সৌজন্য সাক্ষাতের জন্য এসেছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই আমাদের উন্নয়ন ভাবনায় চীন সরকারের যে ভূমিকা সেগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। দেশের অনেক বড় বড় প্রকল্প, বঙ্গবন্ধু টানেল, বিভিন্ন ব্রিজ এবং মেগা প্রকল্পের সঙ্গে চীন কাজ করেছে। চট্টগ্রামে এখন বহিসমুদ্র থেকে যেন সরাসরি পতেঙ্গার ইস্টার্ন রিফাইনারিতে আমাদের তেল আসতে পারে সেজন্য তারা পাইপলাইন নির্মাণ করছে এবং একটি ইপিজেডের কাজ চলছে, সেগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’ সম্প্রচারমন্ত্রী জানান, ‘আমাদের ‘সিক্স টিভি’ একটা প্রজেক্ট আছে, এর মাধ্যমে বিভাগীয় শহরগুলোতে টেলিভিশন কেন্দ্র স্থাপনের জন্য আমরা একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি, সেটি চীন সরকারের অর্থায়নে হওয়ার কথা ‘কনসেশনাল লোনে’, সেটি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। যেহেতু পৃথিবীতে অর্থনৈতিক মন্দা চলছে, সে কারণে আমরা এ বিষয়ে আপাতত ধীরগতিতে এগুচ্ছি।

বৈঠক শেষে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন সাংবাদিকদের জানান, ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে চীন এ দেশের অর্থনৈতিক, অবকাঠামোগত ও সামাজিক উন্নয়ন কাজে অংশীজন হিসেবে সহায়তা করে আসছে। এসব ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পেরে আমরা আনন্দিত। আমরা কখনো এ দেশের রাজনীতি নিয়ে মাথা ঘামাইনি, ভবিষ্যতেও চাই না।’

 

চীন বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী; রাজনীতিতে মাথা ঘামায় না : তথ্যমন্ত্রী

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে সমঝোতা স্মারক সই করেছে বাংলাদেশ ও আর্জেন্টিনা। মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এবং আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমন্ত্রী সান্তিয়াগো ক্যাফিয়েরো এ সমঝোতা স্মারক সই করেন।

স্বাক্ষর শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশী জানান, দক্ষিণ আমেরিকার বাণিজ্যজোট মারকোসুরের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্যচুক্তির প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ। দেশটিতে বাংলাদেশের রফতানি বাড়ানোর সুযোগ আছে। এটা কাজে লাগাতে চায় সরকার।

তিনি জানান, বাংলাদেশ গার্মেন্ট পণ্য রফতানি করবে আর্জেন্টিনায়। দেশটির জনসংখ্যা প্রায় সাড়ে চার কোটি। সেই বাজারটা ধরতে চায় সরকার। আর আর্জেন্টিনা থেকে গম, চিনি, সানফ্লাওয়ার আর সয়াবিন তেল আমদানি করবে বাংলাদেশ।

টিপু মুনশি বলেন, ফুটবল নিয়ে দু-জাতির আগ্রহ অপরিসীম। এই আগ্রহই সম্পর্কের সবচেয়ে বড় মাধ্যম।

আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাণিজ্যের ক্ষেত্রে দুই দেশ অনেক চুক্তি করেছে, যা দুই দেশের সম্পর্ক আরও মজবুত করবে।

দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য-বিনিয়োগ সমঝোতা ; আর্জেন্টিনা দেবে তেল ও চিনি ; বাংলাদেশ পাঠাবে গার্মেন্ট পণ্য