21 Feb 2025, 04:52 pm

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সাময়িক মুক্তি দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘সাজাপ্রাপ্ত আসামি হওয়ায় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না খালেদা জিয়া। চিকিৎসার জন্য তাকে সাময়িক মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া তার এখনকার শারীরিক অবস্থা রাজনীতি করার মতো নয়।’

শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার জমশেরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

দুটি দুর্নীতি মামলার আসামি খালেদা জিয়া উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘এর মধ্যে একটি মামলায় সাজা হয়েছে। অপরটির শুনানি চলছে। সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদের ধারা অনুযায়ী তিনি কোনও নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।’

খালেদা জিয়ার ভাইয়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দুটি শর্তে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল বলেও উল্লেখ করেন আইনমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘যে দুটি শর্তে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল, তাতে বলা ছিল ঢাকায় নিজের বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন। ওই সময়ে দেশের বাইরে গমন করতে পারবেন না। তবে রাজনীতি করার বিষয়ে কোনও শর্ত দেওয়া হয়নি।’

আইনমন্ত্রী আরও বলেন, ‘খালেদা জিয়ার ভাই যে আবেদনটা করেছিলেন, তাতে বলা আছে, তিনি গুরুতর অসুস্থ। এ অবস্থায় তাকে মানবিক কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাজা স্থগিত করে মুক্তি দিয়েছিলেন।’

খালেদা জিয়ার সাময়িক মুক্তির সঙ্গে রাজনীতি না করার বিষয়ে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের বক্তব্যের সঙ্গে একমত বলেও জানান আইনমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমার সহকর্মীরা যা বলছেন, বাস্তব অবস্থা বিবেচনা করেই কথা বলছেন তারা। যিনি অসুস্থের কথা বলে কারগার থেকে বের হয়েছেন, তার তো রাজনীতি করার কথা নয়। তাদের কথায় যুক্তি আছে।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আইন সচিব মো. গোলাম সারওয়ার ও কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদুল কায়সার ভূঁইয়া প্রমুখ।

 

 

খালেদা জিয়ার মুক্তি সাময়িক ; নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না : আইনমন্ত্রী

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ড. একে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রায় সকল সূচকে অভুতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে। তিনি এ সফলতা ও অগ্রযাত্রাকে যুক্তরাষ্ট্রে তুলে ধরে বাংলাদেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি আরো বৃদ্ধির জন্য প্রবাসীদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী গতকাল নিউইয়র্কের বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল আয়োজিত ‘বাংলাদেশের উন্নয়নে প্রবাসীদের ভূমিকা’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ আহবান জানান।
যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান, বীর মুক্তিযোদ্ধারা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, রেমিট্যান্স হাউসের প্রতিনিধিবৃন্দ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
আজ শনিবার ঢাকায় প্রাপ্ত এক সরকারি তথ্য বিবরণীতে এ সংবাদ জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, প্রবাসীদের সাথে মতবিনিময়কালে ড. মোমেন ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মহান ভাষা সংগ্রাম ও স্বাধীনতা সংগ্রামে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের অবদানের কথা গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী অবৈধ পথে হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠানোর নেতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরে বৈধ পন্থায় রেমিট্যান্স প্রেরণেরও আহ্বান জানান।

বাংলাদেশ উন্নয়নের সকল সূচকে অভুতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে মোমেন

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : শোক-শ্রদ্ধায় পিলখানা ট্রাজেডিতে শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের স্মরণ করল জাতি। দ্রুত মামলার চূড়ান্ত আপিল শুনানী শুরু এবং ঘটনার পরিকল্পনাকারীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান শহীদদের স্বজনেরা।

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় তৎকালীন বিডিআরের কিছু উগ্র ও বিপথগামী সদস্যদের নারকীয় হত্যাকাণ্ডে শহীদ হন ৫৭ জন সেনাকর্মকর্তাসহ ৭৮ জন।

সকালে বনানী সামরিক কবরস্থানে শহীদদের শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতির পক্ষে তাঁর সামরিক সচিব। এরপর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তাঁর সামরিক সচিব। শ্রদ্ধা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।

এরপর তিন বাহিনীর প্রধান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব ও বিজিবি মহাপরিচালক শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

শ্রদ্ধা জানান নিহত সেনা কর্মকর্তাদের স্বজনেরা। এ ছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের পক্ষ থেকেও শ্রদ্ধা জানানো হয়। শহীদ পরিবারের সদস্যরা দ্রুত বিচার শেষ করার দাবি জানান।

আওয়ামী লীগের পক্ষে শ্রদ্ধা জানান দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাবাবুব উল আলম হানিফ। তিনি  বলেন, দেশ ও সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীরাই পিলখানায় হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে।

শ্রদ্ধা জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশের সার্বভৌমত্ব ও সেনাবাহিনীর মনোবলকে ভেঙ্গে দিতেই এই নাশকতা। হত্যাকাণ্ডের কুশীলবদের খুঁজে বের করার দাবি জানায় জাতীয় পার্টি।

দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি করার দাবি জানান রাজনীতিকরা।

শোক-শ্রদ্ধায় পিলখানা ট্রাজেডিতে নিহতদের স্মরণ করলো জাতি

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি তো নিজেরা সন্ত্রাসী দল, সুতরাং দশ ট্রাক অস্ত্র পাচার করে ভারতবর্ষেও তারা অশান্তি সৃষ্টি করার জন্য অপচেষ্টায় লিপ্ত ছিল।

শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে উন্নয়ন সমন্বয় সভার আগে সন্ত্রাসী অনুপ চেটিয়া সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনে তৎকালীন বিএনপি সরকারের সরাসরি পৃষ্ঠপোষকতায় দশ ট্রাক অস্ত্র আনা ও খালাসের ব্যাপারে সহযোগিতা করেছে বলে বক্তব্য দিয়েছেন এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, যে কথাটি আমরা এতদিন বলে আসছিলাম। বিএনপির মন্ত্রী-এমপি, হাওয়া ভবন ও হাওয়া ভবনের বরপুত্র তারেক রহমান যে অস্ত্র চোরাচালানের সঙ্গে যুক্ত ছিল এটি অনুপচেটিয়ার সাম্প্রতিক বক্তব্যে স্পষ্ট হয়েছে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, শনিবার বিএনপি সারাদেশের জেলায় জেলায় বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে। এগুলো করে তারা আসলে দেশে একটা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। আগের কর্মসূচিতে তারা গাড়িঘোড়া পুড়িয়েছে। আমাদের শান্তি সমাবেশের ওপর হামলা চালিয়েছে। সরকারি দল হিসেবে আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে জনগণের পাশে থাকা, দেশে যাতে কেউ শান্তি-শৃঙ্খলা স্থিতি নষ্ট করতে না পারে।

তথ্যমন্ত্রী চট্টগ্রামের উন্নয়ন শীর্ষক সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার ড. আমিনুর রহমান। সমন্বয় সভায় বিভিন্ন সংস্থার প্রধান ও প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, শেখ হাসিনা সরকার গঠন করার পর ঘোষণা করেছিলেন বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করে পার্শ্ববর্তী কোনো দেশে অশান্তি সৃষ্টি করা আমরা সহ্য করব না। সেই কারণে এ ধরনের চোরাচালান এবং অস্ত্র চোরাচালান পরিপূর্ণভাবে বন্ধ করা হয়েছে। গত বছর আমি ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলো সফরে গিয়েছিলাম। বিএনপির সময়ে হাওয়া ভবন এবং তারেক রহমানের পৃষ্ঠপোষকতায় অস্ত্র চোরাচালান হয়েছে, বর্তমানে যে বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করে সেগুলো হচ্ছে না, সেজন্য আসামের মুখ্যমন্ত্রী আমার কাছে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছিলেন।

বিএনপির সাম্প্রতিক কর্মসূচি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা কোনো পাল্টা কর্মসূচি দিচ্ছি না, কিন্তু যারা রাজনীতির নামে মানুষ পুড়িয়েছে, জীবন্ত মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছে, জনগণের সহায় সম্পত্তিতে আগুন দিয়েছে তারা যে আবার কখন একই কাজ করবে সেটি বলা যায় না। তাই সমগ্র বাংলাদেশে আমরা আগামীকাল শনিবার প্রত্যেকটি জেলায় শান্তি সমাবেশ করব এবং সতর্ক দৃষ্টি রাখব যাতে কেউ বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে না পারে। কারণ বিএনপির মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে একটি বিশৃঙ্খলা তৈরি করা।

হাছান মাহমুদ বলেন, এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠী যখন মাঠে নামে, তখন জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধান করার জন্য বাধ্য হয়ে আমাদেরও মাঠে থাকতে হচ্ছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মাঠের রাজনীতির দল, আমরা বিরোধী দলে যখন ছিলাম তখন যেমন মাঠে ছিলাম, সরকারি দল হলেও মাঠের রাজনীতির দল হিসেবে সব সময় মাঠে আছি এবং থাকবো।

বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম খান বলেছেন সংবিধানের দোহাই দিয়ে বিরোধী দলের রাজনীতির দমনের চেষ্টা করছে সরকার- এমন বক্তব্যের বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি বা কোনো দলকে দমানোর চেষ্টা করছি না। সেটি হলে তো বিএনপি কোনো অনুষ্ঠান করতে পারত না। আমরা যখন বিরোধী দলে ছিলাম তখন আমাদের বঙ্গবন্ধু এভিনিউ’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের দুই পাশে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে আমাদের সেখান থেকে বের হতে দিত না। এমনকি আমাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তারা তালা ঝুলিয়ে দিয়েছিল, সেখানে অভিযান চালিয়েছিল। কাউকে বের হতে দেয়নি।

তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সেখানে ছুটে যেতে হয়েছে। আমাদের কর্মীদের তাদের পেটুয়া বাহিনী ও পুলিশ দিয়ে যে হামলা করেছিল সেখান থেকে উদ্ধারের জন্য, আমিও সেদিন সাথে ছিলাম। সেই ধরনের ঘটনা তো এখন ঘটে না, বলেন তথ্যমন্ত্রী।

বিএনপি ভারতবর্ষে অশান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টায় লিপ্ত ছিল : তথ্যমন্ত্রী

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : আওয়ামী লীগ দেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে শান্তিশৃঙ্খলা বিনষ্টের যে কোনো অপচেষ্টাকে প্রতিহত করবে বলে মন্তব্য করেছেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। বলেন, আজকে যে শান্তি সমাবেশ এটি বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবার প্রচেষ্টারই অংশ। কারণ চিহ্নিত একটি অপশক্তি নির্বাচনকে সামনে রেখে তারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়।

শনিবার দুপুরে চাঁদপুর স্টেডিয়াম মাঠে চাঁদপুর সরকারি কলেজের ৭৫ বছর পূর্তি উৎসব ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, আমাদের শান্তিশৃঙ্খলা যেন কোনোভাবে বিনষ্ট না হয়, আমরা যেন শান্তি বজায় রেখে আমাদের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে এগিয়ে নিতে পরি, আমরা যে কাঙিক্ষত লক্ষ্যে আমাদের দেশকে সোনার বাংলা, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে পারি, সে লক্ষ্যে বাংলাদেশের আওয়ামী লীগের কর্মসূচি। এর মধ্যে পাল্টাপাল্টি কিছু নেই। আমরা মাঠে আছি এবং থাকব। আমরা সরকারে যেমন আছি, জনগণের সঙ্গে মাঠেও তেমনি আছি। শন্তি, শৃঙ্খলা, জনগণের জানমাল রক্ষায় চিরদিন ছিলাম, আজও আছি, আগামীতেও থাকব।

দীপু মনি বলেন, দেশে যত অধিকার আছে, সব অধিকার প্রতিষ্ঠা ও আদায়ে নেতৃত্ব দিয়েছে আওয়ামী লীগে। আমরা যে ভাষা পেয়েছি, তার অধিকার, স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, উন্নয়ন পেয়েছি এসবকিছুসহ দেশগড়ার কাজে নেতৃত্ব দিয়েছে আওয়ামী লীগ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব হাসানুজ্জামান কল্লোল, নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান, সাবেক সচিব ও শিশু সাহিত্যিক ফারুক হোসেন, জেলা প্রশাসক (ডিসি) কামরুল হাসান, স্বাধীনতা পদক প্রাপ্ত নারী মুক্তিযোদ্ধা ডা. সৈয়দা বদরুন্নাহার চৌধুরী, একুশে পদকপ্রাপ্ত অনুজ বিজ্ঞানি ড. সমীর কুমার সাহা, চাঁদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর অসিত বরণ দাশ, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মো. জিল্লুর রহমানসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা।

আওয়ামী লীগ শান্তিশৃঙ্খলা বিনষ্টের যেকোনো অপচেষ্টাকে প্রতিহত করবে : শিক্ষামন্ত্রী

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : পবিত্র রমযান মাসে কোনোভাবেই চার পণ্যের দাম বাড়বে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

আজ সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র সংলগ্ন মাঠে এক অনুষ্ঠান শেষে তিনি এ কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, পবিত্র রমযানে মাছ, মাংস, দুধ ও ডিমের দাম কোনোভাবেই বাড়বে না। বরং এসব পণ্যের দাম কীভাবে কমানো যায়, সেই প্রক্রিয়া নিয়ে কাজ করছেন।

রেজাউল করিম বলেন, রমযানে ভ্রাম্যমাণ বিক্রয়কেন্দ্র বসাবে সরকার। বর্তমানে মাছ, মাংস, দুধ ও ডিমের যে দাম, বাজার ব্যবস্থাপনাকে আরও সংহত ও মনিটরিং করা হলে দাম আরও কমে আসবে। তিনি বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে পোলট্রি অ্যানিমেল ফিডের উপকরণ বিদেশ থেকে আনতে অনেক প্রতিকূল অবস্থা মোকাবিলা করতে হচ্ছে। খাদ্য উৎপাদনের ব্যয়ও বেড়েছে। এসবের কারণে খাদ্যের দাম বেড়েছে। মন্ত্রী বলেন, দেশের ভেতরে যাতে বিকল্প খাদ্য তৈরি করা যায়, সে জন্য সাভারে নতুন একটা কারখানা স্থাপন করা হয়েছে। বিদেশমুখী না হতেই বাংলাদেশেই মিশ্র খাদ্য তৈরি হবে।

রমযান মাসে মাছ মাংশ দুধ ডিমের দাম কমবে : প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এম.পি বলেছেন, দেশের মেরিটাইম খাতকে পুরোপুরিভাবে কাজে লাগাতে পারলে রিজার্ভের পরিমাণ দুইশ’ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হতো।
তিনি আজ জেলার ছোটজয়নগরে ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম একাডেমি পরিদর্শনকালে এ কথা বলেন।
এ সময় মেহের আফরোজ চুমকী এমপি, ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম একাডেমীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমদাদুল হক চৌধুরী, একাডেমীর কমান্ডেন্ট জাকী আহাদসহ ফ্যাকাল্টি মেম্বার্স ও ক্যাডেটরা উপস্থিত ছিলেন।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, দেশের বৈদেশিক মুদ্রার অনেকটা মেরিটাইম সেক্টর থেকে আসে। মেরিন ক্যাডেট ও রেটিংসরা দেশি বিদেশি জাহাজে চাকুরি করে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে থাকে।
তিনি বলেন, ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরিতে অর্থনীতির প্রধান হাতিয়ার হতে পারে মেরিটাইম সেক্টর।
তিনি আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মেরিটাইম ভিশনকে অনুসরণ করেই আমরা কাজ করে করছি। বঙ্গবন্ধুই টেরিটোরিয়াল জোন এবং মেরিটাইম বাউন্ডরি এ্যাক্ট প্রণয়ন করেন। আমরা যা অর্জন করেছি, তা আমাদের মহান নেতার হাত ধরে এসেছে।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে মেরিটাইম সেক্টর অগ্রনী ভূমিকা পালন করতে পারে। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সবচেয়ে বেশি আঘাত আসে এই মেরিটাইম সেক্টরে। তাই এই সেক্টর তেমন আগায়নি।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, মেরিন ক্যাডেট তৈরির জন্য চট্টগ্রামে আমাদের মাত্র একটি মেরিন একাডমী ছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঠিক নির্দেশনায় রংপুর, পাবনা, সিলেট  এবং বরিশালে আরো চারটি নতুন মেরিন একাডেমী নির্মিত হয়েছে। এতে বেশি সংখ্যক ক্যাডেট প্রতিবছর মেরিন বহরকে সমৃদ্ধ করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে, যা আমাদের অর্থনীতিতে অবদান রাখছে।
তিনি বলেন, জাহাজের রেটিং তৈরির জন্য চট্টগ্রামে একটি মাত্র মেরটিাইম ইন্সটিটিউট ছিল। ইতিমধ্যে  মাদারীপুরে একটি মেরিটাইম ইন্সটিটিউট নির্মাণ করা হয়েছে। কুড়িগ্রামে আরো একটি মেরিটাইম ইন্সটিটিউট নির্মাণের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এতে দেশি-বিদেশি জাহাজে রেটিংদের চাকুরির ক্ষেত্র আরো বৃদ্ধি পাবে এবং বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে আরো সহায়ক হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক অর্থনীতির চলমান টালমাটাল অবস্থার মধ্যেও আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ যথেষ্ট শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। করোনাভাইরাসের মহামারীর সময়কাল ও বৈশ্বিক অস্থিরতার মধ্যেও আমাদের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা অব্যাহত রয়েছে, যা বিশ্বের বিভিন্ন গবেষণা সংস্থার প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ভিশন অনুযায়ী ২০৪১ সালে বাংলাদেশ উন্নত দেশের কাতারে প্রবেশ করবে। ২০৪১ সালে বাংলাদেশ উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ হবে।
পরে প্রতিমন্ত্রী একাডেমীতে ‘স্মৃতিস্তম্ভ’ উদ্বোধন করেন।

 

মেরিটাইম খাতকে কাজে লাগাতে পারলে দেশের রিজার্ভ দুইশ’ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হতো : নৌপ্রতিমন্ত্রী

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার অলিগলি ও মূল সড়ক দাপিয়ে বেড়াচ্ছে প্রায় ১২ লাখ ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও ইজিবাইক। হাইকোর্টের তিন দফা নির্দেশনা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নিষেধাজ্ঞার পরও এগুলো বন্ধ হচ্ছে না। স্থানীয় কতিপয় নেতা এবং কিছু অসাধু পুলিশ ও চাঁদাবাজচক্রের যোগসাজশে এগুলো চলছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

শুধু রাজধানী নয়, সারা দেশেই চলছে এ ধরনের রিকশা। সরকারি সঠিক কোন হিসেব না থাকলেও বিভিন্ন সংস্থা তথ্যে বলা হয়, ঢাকাসহ সারা দেশে ৫৫ থেকে ৬০ লাখের বেশি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা আছে।

জানা যায়, ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইককে কেন্দ্র করে চাঁদাবাজিসহ অবৈধ আয়ের পথ তৈরি হয়েছে। এসবের চালক ও মালিকদের কাছ থেকে আদায় করা চাঁদার টাকায় অনেকেই ফুলেফেঁপে উঠেছে। মূলত এদের সহযোগিতায় নগরীর বিভিন্ন অলিগলিতে গড়ে উঠেছে শত শত অবৈধ গ্যারেজ। ৯০ শতাংশ গ্যারেজেই ব্যবহার হচ্ছে অবৈধ বিদ্যুৎ। অধিকাংশ গ্যারেজ মালিক একটি রিকশার ব্যাটারি চার্জ করতে ১২০ টাকা করে আদায় করছে। এখান থেকে তারা চাঁদা পরিশোধ করছে। এজন্য তাদের কোনো বিল দিতে হচ্ছে না।

বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের জরিপে দেখা যায়, এসব রিকশার ব্যাটারি চার্জে দিনে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ব্যয় হচ্ছে। যার অধিকাংশই মূল লাইন থেকে অবৈধ সংযোগের মাধ্যমে নেওয়া হচ্ছে। ফলে এর অর্থ সরকার পাচ্ছে না। বর্তমান সংকটের মধ্যেও এ পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদনের পর কোথায় যাচ্ছে তার কোনো হিসাবও মিলছে না।

রিকশা, ব্যাটারিচালিত রিকশা, ইজিবাইকচালক সংগ্রাম পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, ঢাকায় এই সংখ্যা ১২ লাখের বেশি। এর মধ্যে ১০ লাখ ব্যাটারিচালিত রিকশা, বাকি ২ লাখ ইজিবাইক। সরকার ব্যাটারি তৈরি, আমদানি ও বিক্রির অনুমতি দিয়েছে। এতে সরকার ট্যাক্স পেয়েছে, ব্যবসায়ীরা পেয়েছেন মুনাফা। কিন্তু সমস্যায় ভুগছেন শ্রমজীবী চালকরা। এ যানবাহনের যন্ত্রাংশ বৈধভাবে বিক্রি হচ্ছে। তাহলে ব্যাটারিচালিত যানবাহন রাস্তায় চললে তা অবৈধ হবে কেন, এ প্রশ্ন অটোরিক্সা চালকদের।

বিশ্লেষকদের মতে, একটি রিকশা প্রতিদিন চার্জ বাবদ খরচ করছে পাঁচ ইউনিট বিদ্যুৎ। এই বিদ্যুৎ দিয়ে লম্বা সময় চলতে পারত একটি ছোট পরিবার।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের তথ্য বলছে,সারা দেশে ৬০ লাখের বেশি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা আছে। রাজধানীতে আছে প্রায় ১২ লাখ। প্রতিটি রিকশায় বৈধভাবে চার্জ দেওয়ার জন্য মাসে বড় অঙ্কের টাকা ব্যয় হয়। তিনি বলেন, এসব রিকশা অলিগলিতে চলে। তবে মূল সড়কে উঠলেই ডাম্পিং করা হয়। তাছাড়া ডিএমপি একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে অবৈধ গ্যারেজ বন্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

এবিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলছেন, আদালতের নিয়ম মেনে এদেরকে উচ্ছেদে পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছেন তারা। তবে বিকল্প কোন উপায়ে ভিন্ন কোথাও তাদের কাজের সুযোগ দেয়া যায় কিনা সেটিও বিবেচনার কথা জানান সিটি মেয়র।

 

 

সারা দেশে চলছে ৬০ লাখ অবৈধ অটোরিক্সা ; দিনে ক্ষতি হচ্ছে ৫শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : এতদিন বিভিন্ন জনের কাছে পদ্মা সেতুর গল্প শুনেছেন। কেউ কেউ সংবাদপত্র ও টেলিভিশনে পদ্মা সেতুর ছবি দেখেছেন। তবে সবারই ইচ্ছে ছিল, স্বপ্নের সেতু দেখার। কিন্তু যাতায়াত ও অর্থের অভাবে কাছ থেকে পদ্মা সেতু দেখা হয়নি। অবশেষে তাদের সেই ইচ্ছে পূরণ হলো।

শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে একসঙ্গে পদ্মা সেতু দেখতে এলেন বরিশাল নগরীর ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের ৩০০ নারী-পুরুষ। পর্যায়ক্রমে প্রতিদিন একেক ওয়ার্ডের ৩০০ নারী-পুরুষ পদ্মা সেতু দেখতে আসবেন। ৩০টি ওয়ার্ডের সর্বমোট ১০ হাজার নারী-পুরুষ পদ্মা সেতু দেখার সুযোগ পাচ্ছেন।

তাদেরকে পদ্মা সেতু দেখানোর উদ্যোগ নিয়েছেন বরিশাল-৫ আসনের সংসদ সদস্য পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীম। সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের খবর অসহায় ও দরিদ্র মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিতে এমন উদ্যোগ নিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।

প্রথমদিন সকাল ৯টায় নগরীর গড়িয়ার পাড় থেকে ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের ৩০০ নারী-পুরুষ এবং শিশু-কিশোরকে নিয়ে ছয়টি বাস পদ্মা সেতুর উদ্দেশে ছেড়ে যায়। পদ্মা সেতু দেখার পর দুপুরের খাবার খেয়ে বিকালে নগরীতে ফেরার কথা তাদের।

পদ্মা সেতু দেখতে যাওয়া নারী-পুরুষের উদ্দেশে গড়িয়ার পাড় এলাকায় সংক্ষিপ্ত বক্তৃতা করেন প্রতিমন্ত্রী। বক্তব্য শেষে ফিতা কেটে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। প্রতিদিন একটি ওয়ার্ডের ৩০০ নারী-পুরুষ ছয়টি বাসে পদ্মা সেতু দেখতে যাবেন। এরপর আগ্রহী বাড়লে বাস বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।

শুধু নগরী নয়, সদর উপজেলার ১০ ইউনিয়নের মানুষজনকেও পদ্মা সেতু দেখতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহামুদুল হক খান মামুন।

প্রথমবার পদ্মা সেতু দেখতে যাওয়া ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ফরিদা বেগম বলেন, ‘আমার পরিবারের পক্ষে টাকা খরচ করে পদ্মা সেতু দেখতে যাওয়া সম্ভব নয়। প্রতিমন্ত্রী সুযোগ করে দেওয়ায় কাছ থেকে পদ্মা সেতু দেখবো। বাসে উঠেই খুব ভালো লাগছে। এতদিন বিভিন্ন জনের কাছে পদ্মা সেতুর গল্প শুনেছি। মাঝেমধ্যে টেলিভিশনে সেতুর ছবি দেখেছি। কিন্তু পদ্মা সেতু কাছ থেকে দেখতে পাবো, কখনও ভাবিনি। আমার স্বপ্নপূরণ হলো।’

একই ওয়ার্ডের বাসিন্দা আছমা বেগম বলেন, ‘অসুস্থ স্বামীকে নিয়ে ফেরিতে করে বরিশাল থেকে ঢাকায় যাচ্ছিলাম। ওপারে যেতে সময় বেশি লাগায় ফেরিতেই স্বামী মারা গেছেন। ওই সময় পদ্মা সেতু থাকলে স্বামীকে কম সময়ে ঢাকায় নিয়ে চিকিৎসা করানো যেতো। হয়তো বেঁচে যেতেন।’

তিনি বলেন, ‘আমার ছেলেরা ঢাকায় লেখাপড়া করে। ফেরির যুগে তাদের আসতে-যেতে অনেক সময় লাগতো। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর প্রতি সপ্তাহে ছেলেরা আমাকে দেখতে আসে। তিন ঘণ্টায় ঢাকা থেকে বরিশালে আসে তারা। একদিন থেকে পরদিন ঢাকায় চলে যায়। এমন সুযোগ করে দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য আজীবন দোয়া করবো।’

ওই ওয়ার্ডের বাসিন্দা ৭০ বছরের হামিদ আলী বলেন, ‘এতদিনেও পদ্মা সেতু দেখা হয়নি। তবে দেখার খুব ইচ্ছে ছিল। কিছুদিন আগে প্রতিমন্ত্রী এক জনসভায় পদ্মা সেতু দেখাতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেছিলেন। কিন্তু তা এত দ্রুত বাস্তবায়ন করবেন, আশা করিনি। কারণ অনেক জনপ্রতিনিধি প্রতিশ্রুতি দিলে ভুলে যান। তবে আমাদের প্রতিমন্ত্রী কথা রেখেছেন। এজন্য ধন্যবাদ। একইসঙ্গে পদ্মা সেতু করে দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমরা কৃতজ্ঞ।’

গড়িয়ার পাড় এলাকার বাসিন্দা ৫০ বছর বয়সী তাসলিমা বেগম বলেন, ‘তিন বেলায় খাবার জোগাতেই হিমশিম খাই। এর মধ্যে পদ্মা সেতু দেখতে যাওয়া আমার কাছে স্বপ্নের মতো ছিল। কোনও দিন চিন্তাও করি নাই, দেখতে যাবো। কিছুদিন আগে প্রতিমন্ত্রীর লোকজন এসে জানতে চাইলেন, পদ্মা সেতু দেখতে যাবো কিনা। সঙ্গে সঙ্গে বলেছিলাম যাবো। আজ পদ্মা সেতু দেখতে যাচ্ছি। আমার কাছে এখনও অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছে।’

এমন উদ্যোগের বিষয়ে জানতে চাইলে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীম বলেন, ‘বরিশাল সদর উপজেলার ১০ ইউনিয়নে বিভিন্ন সময় সভা-সমাবেশ করেছি। এসব সভা-সমাবেশে সবার কাছে জানতে চেয়েছি, বাস্তবে পদ্মা সেতু দেখেছেন কিনা? বেশিরভাগ লোকজন বলেছিলেন, আর্থিক সংকট ও যাতায়াতের ব্যবস্থা না থাকায় দেখতে যেতে পারেননি। এরপর বিভিন্ন সভা-সমাবেশে তাদের পদ্মা সেতু দেখাতে নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। প্রতিশ্রুতি পূরণ ও সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড দরিদ্র মানুষের কাছে তুলে ধরার জন্য এই উদ্যোগ নিই। পর্যায়ক্রমে সদর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের ১০ হাজার মানুষকে পদ্মা সেতু দেখাতে নিয়ে যাওয়া হবে। যেতে আগ্রহী বাড়লে পরে বাস বাড়ানো হবে।’

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘শুধু পদ্মা সেতু নয়, সরকারের বড় বড় উন্নয়ন প্রকল্পগুলো এখন পর্যন্ত আমার এলাকার যেসব লোকজন দেখেনি, তাদের বাস্তবে দেখানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে।’

পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী উদ্যোগে পদ্মা সেতু দেখতে পাবেন বরিশালের ১০ হাজার মানুষ

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : কক্সবাজারে পর পর দুই বার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ৪.১ মাত্রার এই ভূকম্পনটি অনুভুত হয়। এর প্রায় দুই ঘণ্টা আগে দুপুরে একই এলাকায় আরও একবার ভূমিকম্প অনুভূত হয়।

বাংলাদেশ আবহাওয়া অফিসের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র জানায়,  শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টা ৩৯ মিনিটে ৪.১ মাত্রার ভূকম্পনটি সংঘটিত হয়। এই ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল কক্সবাজার-মিয়ানমানমার সীমান্তের মিয়ানমারের অভ্যন্তরে। ঢাকার ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র থেকে ভূকম্পনেটির কেন্দ্র ৩৭৮ কিলোমিটার দূরে ছিলো।

তবে কক্সবাজারসহ আশপাশের এলাকায় ভূমিকম্পটি অনুভূত হলেও এর প্রভাবে কোনো ক্ষয় ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

এর আগে মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন প্রদেশের বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে ৪.২ মাত্রার একটি ভূকম্পন হয়। এই ভূমিকম্পটি মাটির ১০৯ কিলোমিটার গভীরে সংঘটিত হয়েছে। এতে কক্সবাজারে ভূকম্পন অনুভুত হয়।

দুই দফা ভূমিকম্পে কাপলো কক্সবাজার