সোমবার (৯ জানিয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
আহসান হাবিব খান বলেন, আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে বিশ্বে পরিচিত। এখন নিজেদের স্মার্ট বাংলাদেশ দাবি করি। এখন স্কুল-কলেজ থেকে শুরু করে সবকিছুর আবেদনই অনলাইনে সাবমিশন হচ্ছে। অনলাইনে সাবমিশন দিলে সুবিধা আছে। জনপ্রতিনিধিরা শোডাউন দিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন। অভিযোগ আছে, যারা সাবমিশন করতে চান তাদের অনেকে বাধাগ্রস্ত হন। খেলার মাঠে খেলোয়াড় নেই তাহলে জিতে লাভ কি? এ চিন্তা-ভাবনা কীভাবে বাস্তবায়ন করবো, সেই বিষয়ে আমায় আইসিটি বিভাগকে একটি প্রেজেন্টেশন দিয়েছে। মনোনয়নপত্র জমায় যেন অসুবিধা না হয়-সেটি বিবেচনা করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আগামী কমিশন সভায় অনলাইনে মনোনয়নপত্র সাবমিশন বাস্তবায়ন করা যায় কি-না তা নিয়ে আলোচনা করবো। কমিশনে সিদ্ধান্ত হলে এটিকে বাস্তবায়ন করবো। প্রথমে এটির পাইলট প্রজেক্ট নেবো। চ্যালেঞ্জ কি ধরনের তা দেখবো। আমরা চিন্তা করি, সুন্দর জিনিস সবাই একসেপ্ট করবে।
প্ল্যার্টফর্ম রেডি হওয়ার পর প্রথমে ছোট ছোট নির্বাচনে পাইলট হিসেবে শুরু করা হবে। প্রথমে ইউনিয়ন পরিষদ, তারপর উপজেলা, সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও ব্যবহার করা হবে। এগুলোতে সফল হলে জাতীয় নির্বাচনেও অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
অনলাইনের পাশাপাশি কেউ চাইলে সশরীরে গিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার বিধান রাখা হবে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, সব কিছুই বিবেচনা করেই অনলাইনে করা হবে। দুইটা অপশন থাকবে না।
ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) প্রকল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর ৫০০ এর বেশি নির্বাচন ইভিএমে করেছি। সেখানে কোনো সমস্যা হয়নি। স্বচ্ছতা-আন্তরিকতা নিয়ে কথা বলেন। কমিশনের সিদ্ধান্ত ছিল ১৫০ আসনে ইভিএমে ভোট হবে। কিন্তু আমার ইচ্ছে শতভাগ কেন্দ্রে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটের ব্যবস্থা করা। আমরা এখন পর্যন্ত ইভিএমে ভোটের ব্যাপারে অনড়। আর্থিক বিষয়টি বিবেচনা করে প্ল্যানিং কমিশন মূল্যায়নের পর সিদ্ধান্ত জানাবে।
Leave a Reply