অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : সাইবার স্পেস বা অনলাইনে জুয়ার সঙ্গে জড়িত থাকলে সর্বোচ্চ দুই বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড অথবা এক কোটি টাকা জরিমানা, অথবা উভয় দণ্ড হতে পারে। সদ্য প্রণীত ‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এ এ ধরনের অপরাধের জন্য কঠোর শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে।
শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এক সরকারি তথ্যবিবরণীতে বিষয়টি জানানো হয়।
তথ্যবিবরণীতে বলা হয়েছে, ‘অনলাইন জুয়া, জালিয়াতি ও প্রতারণার ক্ষেত্রে অপরাধী ব্যক্তি দুই বছরের কারাদণ্ড বা এককোটি টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। সদ্য জারি হওয়া “সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫”-এ এ ধরনের শাস্তির বিধান রয়েছে।’
‘অধ্যাদেশ অনুযায়ী যদি কোন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, কোম্পানি বা অন্য কোন সংস্থা সাইবার স্পেসে জুয়া খেলার নিমিত্ত কোন পোর্টাল বা অ্যাপস্ বা ডিভাইস তৈরি করেন বা পরিচালনা করেন বা জুয়া খেলায় অংশগ্রহণ করেন বা খেলায় সহায়তা বা উৎসাহ প্রদান করেন বা উৎসাহ প্রদানের জন্য বিজ্ঞাপনে, অনলাইনে, ফেসবুক, গুগল, ইউটিউব, হোয়াটসঅ্যাপ, টুইটার টিকটকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অংশগ্রহণ এবং প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে প্রচার বা বিজ্ঞাপিত করেন তাহলে তা দণ্ডনীয় অপরাধ বলে গণ্য হবে,’ জানানো হয় তথ্য বিবরণীতে।
এতে বলা হয়, “সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫”-এর ২০ ধারা অনুযায়ী বর্ণিত অপরাধ সংঘটনের ক্ষেত্রে অনধিক দুই বৎসর কারাদণ্ড বা অনধিক এক কোটি টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে। এছাড়া, অনলাইন জুয়া বন্ধে প্রয়োজনীয় কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য হাইকোর্ট বিভাগের নির্দেশনা রয়েছে।’
তথ্য বিবরণীতে বলা হয়, ‘জুয়া খেলায় সহায়তা বা উৎসাহ প্রদান বা উৎসাহ প্রদানের জন্য বিজ্ঞাপনে অংশগ্রহণ এবং প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রচার বা বিজ্ঞাপিত করা থেকে সংশ্লিষ্ট সকলকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে এবং অপরাধ দমন ও সাইবার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে অনলাইন জুয়ার সকল গেটওয়ে, অ্যাপ্লিকেশন, লিংক, ওয়েবসাইট এবং বিজ্ঞাপন জনস্বার্থে জরুরি ভিত্তিতে বন্ধ, ব্লক বা অপসারণের জন্য সংশ্লিষ্ট সকল ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে অবহিত করা হচ্ছে।’