অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিস ‘অবৈধ বাংলাদেশিদের’ জন্য ডিটেনশন সেন্টার বা আটক কেন্দ্র তৈরির ঘোষণা দিয়েছেন।
ভারতীয় বার্তাসংস্থা এএনআই-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিস বলেছেন, ‘অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীদের’ আটক রাখার জন্য মুম্বাইয়ে একটি ভালো ডিটেনশন সেন্টার বা আটক কেন্দ্র তৈরি করা হবে, কারণ তাদের সরাসরি কারাগারে রাখা যাবে না।
দেবেন্দ্র ফড়নবিস বলেছেন, “সাম্প্রতিক সময়ে আমরা দেখেছি যে— সাম্প্রতিক সময়ে অনেকে মাদকের মামলায়, অনেকে অবৈধ প্রবেশের মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পাশাপাশি অবৈধ বাংলাদেশিরাও গ্রেফতার হচ্ছেন, তারা সকলেই বিদেশি নাগরিক এবং তাদের সরাসরি আমাদের জেলে রাখা যায় না। তাদের ডিটেনশন ক্যাম্পে রাখতে হয়, তাই বৃহনমুম্বাই মিউনিসিপ্যাল করপোরেশনের (বিএমসি) আমাদের ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরির জন্য জমি দিয়েছে। কিন্তু সেই জমি ডিটেনশন ক্যাম্পের নিয়ম মেনে চলে না। তাই আমরা বিএমসি’র কাছে অন্য জমি চেয়েছি। যেন মুম্বাইয়ে একটি ভালো ডিটেনশন সেন্টার তৈরি করা যায়।”
এর আগে থানে পুলিশের মানবপাচারবিরোধী সেল রাজ্যটির কল্যাণে অবৈধভাবে বসবাসকারী এক বাংলাদেশি দম্পতিকে গ্রেফতার করেছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
থানে পুলিশ জানিয়েছে, সবুজ সানোয়ার শেখ এবং বিশতি সবুজ শেখ নামে এই দম্পতি অবৈধভাবে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত অতিক্রম করেছিলেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, এই দম্পতির বিরুদ্ধে পাসপোর্ট আইন এবং ফরেনার্স অ্যাক্টের বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করেছে থানে পুলিশের অপরাধ শাখা। এছাড়া তাদের আশ্রয় দেওয়া বাড়ির মালিক মোস্তফা মুন্সির বিরুদ্ধেও একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, স্বামী ও স্ত্রী উভয়েই অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছেন তা অবগত থাকা সত্ত্বেও তিনি তাদের বাড়ি ভাড়া দিয়েছিলেন।
Leave a Reply