অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : মূল্যস্ফীতি আর অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব পড়তে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচনে। নতুন জরিপ বলছে চার-পঞ্চমাংশ মার্কিনী অর্থনৈতিক দুরবস্থার কথা মাথায় রেখে ভোট দেবেন। এছাড়া রাশিয়া- ইউক্রেন যুদ্ধ, ক্রমবর্ধমান অপরাধের হার, গর্ভপাত আইন ও অভিবাসী সংকট কঠিন পরীক্ষায় ফেলবে বাইডেন প্রশাসনকে।
সময় ঘনিয়ে আসছে মধ্যবর্তী নির্বাচনের। শেষ মুহূর্তের প্রচারে ব্যস্ত ক্ষমতাসীন ডেমোক্র্যাট ও বিরোধী রিপাবলিকান নেতারা। আগামী ৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন।
এ নির্বাচনেই যাচাই হবে বাইডেন সরকারের জনপ্রিয়তা।
কয়েক মাসের আগেও ক্ষমতাসীন ডেমোক্র্যাটরাই ফেভারিট ছিল। কিন্তু ভোটের দিন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে পাল্টে যাচ্ছে সমীকরণ। সম্প্রতি একাধিক জরিপ বলছে, এ মুহূর্তে বিরোধী রিপাবলিকানদের দিকেই ঝুঁকছেন ভোটাররা।
এর পেছনে আছে দেশটির অস্থির অর্থনীতি। যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যস্ফীতি এখন ৮ শতাংশ। যা গত ৪০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এছাড়া উচ্চ কর ও জ্বালানির বাজারে অস্থিরতা চিন্তা বাড়িয়েছে নাগরিকদের। জরিপ বলছে, ৭৫ শতাংশ নাগরিকই খাদ্য এবং নিত্যপণ্যের দাম নিয়ে উদ্বিগ্ন।
এছাড়া রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ, যুক্তরাষ্ট্রে বাড়তে থাকা অপরাধ ও বন্দুক সহিংসতা, বিতর্কিত গর্ভপাতের নতুন আইনও ভোটে প্রভাব ফেলবে। পাশাপাশি বাইডেনের সুরক্ষাবাদনীতি ও মেক্সিকো সীমান্ত খুলে দেওয়া নিয়ে ক্ষোভ দানা বেধেছে মার্কিনীদের মনে।
এএফপি বলছে, এক রাজ্যে ১২ থেকে ২৫টি আসনে পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী রিপাবলিকানরা। এরকমটি হলে নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভসে মাত্র ৮টি আসন এগিয়ে থাকা ডেমোক্র্যাটদের সহজেই পেছনে ফেলতে পারবে তারা।
কংগ্রেসের দুই কক্ষই নিজেদের নিয়ন্ত্রণে থাকায় সহজেই যেকোনো আইন পাস করে ফেলতে পারেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। মধ্যবর্তী নির্বাচনে কংগ্রেসের যেকোনো একটি কক্ষে তাঁর দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারালে যেকোনো কিছুই আটকে দিতে পারবে বিরোধীরা। দুই কক্ষেই সংখ্যাগরিষ্টতা হারালে দেশ পরিচালনায় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।
Leave a Reply