October 23, 2025, 7:10 pm
শিরোনামঃ
ভোট হবে ব্যালটে-ইভিএম বাতিল-ফিরল ‘না ভোট’ ; প্রার্থীর দেশি-বিদেশি আয়ের তথ্য প্রকাশ বাধ্যতামূলক দেশজুড়ে ভূমি অফিসের নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ বাংলাদেশ থেকে কাঁঠাল ও পেয়ারা আমদানিতে আগ্রহী চীন দেশে ২৪ ঘন্টায় ডেঙ্গুতে আরও ৪ জনের মৃত্যু ; হাসপাতালে ভর্তি ৮০৩ অবাক কাণ্ড ঘটিয়ে কিশোরগঞ্জের সাবেক বিএনপি নেতা যোগ দিলেন আওয়ামী লীগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রাতে টর্চ লাইট জ্বালিয়ে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে ৩০ জন আহত ফেসবুকে পরিচয় ; বন্ধুত্বের টানে নাটোরে মার্কিন ব্যবসায়ী তেরি পারসন গাজায় মানবিক সহায়তা বাড়াতে ইসরাইলকে জাতিসংঘ আদালতের নির্দেশ শত্রুর হামলা থেকে বাঁচতে নতুন প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পরীক্ষা করল উত্তর কোরিয়া এআই বিভাগে ৬০০ কর্মী ছাঁটাই করছে ফেসবুক-এর মালিকানা প্রতিষ্ঠান মেটা
এইমাত্রপাওয়াঃ

অ্যান্টার্কটিকার উদ্ভিদে ফুল ফোটায় বিজ্ঞানীদের উদ্বেগ প্রকাশ

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : অ্যান্টার্কটিকায় ফুল ফুটেছে। খবরটি আনন্দের মনে হলেও বাস্তবে ভয়ংকর উদ্বেগের। এই ঘটনা প্রমাণ করছে যে, বরফে ঢাকা অ্যান্টার্কটিকা জলবায়ু পরিবর্তনের কবলে পড়েছে। অ্যান্টার্কটিকার এই ঘটনায় বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, জলবায়ুর পরিবর্তনে সারা বিশ্ব কতটা ভয়ংকর হয়ে উঠছে তাই বলে দিচ্ছে এই ঘটনা।

গত ২০ বছর ধরে অ্যান্টার্কটিকায় খুব ধীরে ধীরে উদ্ভিদের প্রসার লক্ষ্য করছেন বিজ্ঞানীরা। আগে ঠান্ডার কারণে এই উদ্ভিদ খুব বেশি দিন বাঁচত না। কিন্তু সম্প্রতি এগুলো আয়ুষ্কালও বেড়েছে। ফুটেছে ফুল। বরফের চাদর সরিয়ে উঁকি দিচ্ছে কচি পাতা ও ফুল। তবে কি বসন্ত এসে গেল? আনন্দের বদলে কিন্তু আশঙ্কার মেঘই দেখছেন বিজ্ঞানীরা। কারণ এই ফুল ফুটেছে অ্যান্টার্কটিকায়। এর আগে এই তীব্র শীতল অঞ্চলে এত দ্রুত কখনো কোনো উদ্ভিদের বৃদ্ধি হয়নি। শুধু বৃদ্ধি নয়, ঐ চরম শীতল আবহাওয়ায় ফুলও ফুটতে শুরু করেছে। অ্যান্টার্কটিকার বুকে ফুল ফোটা আদতে জলবায়ুর পরিবর্তনেরই ইঙ্গিত দেয়। বরফে ঢাকা এই মহাদেশে ফুল ফোটা একপ্রকার অসম্ভব। সে কারণে বিজ্ঞানীরা বিপদই বেশি দেখছেন।

বিজ্ঞানীদের রিপোর্ট বলছে, সিগনি দ্বীপে মূলত দুই ধরনের উদ্ভিদ জন্মাতে দেখা গেছে। তাতে ফুল ফুটেছে। ১৯৬০ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত এই অঞ্চলে যে হারে এই উদ্ভিদের জন্ম হয়েছে, ২০০৯ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত তার ১০ গুণ উদ্ভিদ জন্মেছে। অ্যান্টার্কটিকায় অন্য ধরনের উদ্ভিদের জন্মের হারও বৃদ্ধি হয়েছে। রিপোর্ট বলছে, আগের তুলনায় এখন ঐ অঞ্চলে বিভিন্ন উদ্ভিদের বৃদ্ধি বেড়েছে পাঁচ গুণ। সারা বছর হিমাঙ্কের অনেক নিচে তাপমাত্রা থাকে আন্টার্কটিকায়। সে কারণে মস, লিচেন জাতীয় শৈবালেরই জন্ম হয়। তারাই ঐ অঞ্চলের আদি বাসিন্দা।

এবার অ্যান্টার্কটিকায় নতুন ধরনের উদ্ভিদের দেখা মিলছে। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, জলবায়ুর পরিবর্তনের সুযোগ নিয়ে সেখানে নতুন ধরনের উদ্ভিদের জন্ম হচ্ছে। এর ফলে ক্ষতির মুখে পড়তে পারে সেখানকার আদি বাসিন্দা মস ও লিচেন। এর ফলে অ্যান্টার্কটিকার বাস্তুতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা, নতুন এই উদ্ভিদের বৃদ্ধির কারণে চিরতরে সেখান থেকে অবলুপ্ত হতে পারে আদি বাসিন্দারা। এমনকি মাটির চরিত্রও বদলে যেতে পারে বলে মনে করেন গবেষকরা। এই ধরনের উদ্ভিদ পচে মাটির সঙ্গে মিশলে মাটির অম্লত্বের পরিমাণ বদলে যেতে পারে। তাতে নতুন ধরনের ব্যাকটিরিয়া জন্মাতে পারে। তার প্রভাব পড়তে পারে পরিবেশে, বাস্তুতন্ত্রে।

অ্যান্টার্কটিকার বুকে এই ফুল প্রথম লক্ষ করেন অস্ট্রেলিয়ার ওলংগং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা। তারা দেখেন, অ্যান্টার্কটিকায় মূলত দুই ধরনের উদ্ভিদের বৃদ্ধি হচ্ছে আগের তুলনায় বেশি হারে। প্রথম দিকে নির্দিষ্ট একটি অঞ্চলে দেখা যেত এই উদ্ভিদ। এখন তার বাইরেও বিভিন্ন অঞ্চলে দেখা যাচ্ছে এই উদ্ভিদ। বিজ্ঞানীরা বিশ্ব উষ্ণায়নের পাশাপাশি মানুষকেও দায়ী করেন। তাদের মতে, অ্যান্টার্কটিকায় গবেষকদের সঙ্গে অভিযাত্রীদের আনাগোনাও বেড়েছে। তাদের পায়ে পায়েই এই উদ্ভিদের বীজ ছড়িয়ে পড়েছে বহু দূর। সে কারণে এর বংশবৃদ্ধি হচ্ছে। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা

আজকের বাংলা তারিখ

October ২০২৫
Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
« Sep    
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  


Our Like Page