অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল কোস্টগার্ডের জন্য দুটি নবনির্মিত ইনশোর প্যাট্রোল ভেসেল, দুটি টাগ বোট এবং একটি ভাসমান ক্রেন উদ্বোধন করবেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল আজ বাসসকে বলেন, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডকে (বিসিজি) একটি আধুনিক ও সক্ষম বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য নতুন নির্মিত আধুনিক টহল জাহাজ, টাগ বোট এবং ভাসমান ক্রেন দেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের ব্লু ইকোনমিকে সুরক্ষিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড সফলভাবে নিজেকে সমুদ্রের প্রকৃত অভিভাবক হিসেবে প্রমাণ করেছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাস্তবমুখী নির্দেশনায় এখন উপকূলীয় অঞ্চলে যেকোনো ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে কোস্টগার্ড আরও বেশি সক্ষম। বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড সামুদ্রিক জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা সম্পর্কে আমাদের বিস্তৃত ধারণা দিয়েছে।’ তিনি বলেন, দেশের স্বার্থে পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য প্রধানমন্ত্রী ২০১৫ সালে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডকে ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত করেছেন। এছাড়া মৎস্য সম্পদ রক্ষায় বিশেষ অবদানের জন্য কোস্টগার্ড জাতীয় মৎস্য পুরস্কার-২০১৮ অর্জন করেছে।
মন্ত্রী বলেন, ‘বাহিনীর আধুনিকীকরণ একটি চলমান প্রক্রিয়া। আধুনিকীকরণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে, গত ১৪ বছরে বাহিনীতে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন ধরনের আধুনিক জাহাজ যুক্ত করা হয়েছে। এর অংশ হিসাবে, সরকার পাঁচটি নতুন জলযান তৈরি করেছে।’ ভবিষ্যতে কোস্টগার্ড বহরে আরও জাহাজ ও অন্যান্য সরঞ্জাম যুক্ত করা হবে জানিয়ে কামাল বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুসরণ করে সরকার কোস্টগার্ডের জন্য বিমান ও নজরদারি ব্যবস্থার ব্যবস্থা করার কথা ভাবছে। তিনি বলেন, ওইসব আধুনিক জাহাজ এবং উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার সমন্বয়ে কোস্টগার্ড চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে পারবে। তিনি বলেন, সরকার কোস্ট গার্ডকে একটি আধুনিক ও যুগোপযোগী বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলছে যাতে ভবিষ্যতে আরো নতুন দায়িত্ব পালন করা যায়। কামাল বলেন, বিস্তীর্ণ উপকূলীয় ও সামুদ্রিক জলসীমায় সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখা, মৎস্য সম্পদ রক্ষা, দেশের সমুদ্র বন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, চোরাচালান ও মাদক বিরোধী অভিযানের পাশাপাশি প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় উপকূলীয় মানুষের জীবন এবং সম্পদ রক্ষায় কোস্টগার্ডের ভূমিকা বাড়ছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদ্যোগের কথা স্মরণ করে বলেন, সমুদ্র এলাকায় আইনি অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য বঙ্গবন্ধু ১৯৭৪ সালে ‘টেরিটোরিয়াল ওয়াটারস অ্যান্ড মেরিটাইম জোন অ্যাক্ট’ প্রণয়ন করেন। তিনি বলেন, কোস্ট গার্ড (বিসিজি) এর কার্যক্রম আরও জোরদার করতে অত্যাধুনিক টহল জাহাজ, হোভারক্রাফ্ট এবং অন্যান্য আধুনিক জাহাজে সজ্জিত করা হবে। মন্ত্রী বলেন, আমাদের (তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতার) আন্তরিক প্রচেষ্টায় জাতীয় সংসদে একটি বেসরকারী সদস্য বিলের মাধ্যমে ১৯৯৪ সালে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড প্রতিষ্ঠিত হয়।
Leave a Reply