December 19, 2025, 12:00 am
শিরোনামঃ
ঝিনাইদহ-৩ আসনে বিএনপি প্রার্থীর মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল ইসলাম আটক ঝিনাইদহের মহেশপুরে গলায় ফাঁস দিয়ে নারীর আত্মহত্যা বিজিবির অভিযানে মহেশপুর সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে সীমান্ত পারাপারকারী বাংলাদেশী নাগরিক আটক ও মাদক উদ্ধার মাগুরায় আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ও জাতীয় প্রবাসী দিবস পালিত রাষ্ট্রপতির সঙ্গে প্রধান বিচারপতির বিদায়ী সাক্ষাৎ দক্ষিণ এশিয়ায় দূষিত বাতাসের কারণে বছরে অকালে মারা যাচ্ছে ১০ লাখ মানুষ : বিশ্বব্যাংক আগের মতোই স্থিতিশীল রয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী  খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা এবছর বাংলা একাডেমি পুরস্কার পাচ্ছেন ৮ জন গত নভেম্বরে ৫৩৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৮৩ জন নিহত ; আহত ১ হাজার ৩১৭
এইমাত্রপাওয়াঃ

আগামী ১ অক্টোবর থেকে ভারতের মণিপুরে সেনাশাসন জারি

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ভারতের মণিপুর রাজ্যের আদিবাসী অধ্যুষিত অঞ্চলে আগামী অক্টোবর থেকে সেনাশাসন জারি করা হয়েছে। জঙ্গিবাদ রুখতে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে যে বিশেষ আইন প্রয়োগ করা হয়, সেই আফস্পা আইন (সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন—এএফএসপিএ) ১ অক্টোবর থেকে আদিবাসী অঞ্চলে জারি করা হবে।

তবে এই আইন জারি করা হবে না বলে ‘অব্যাহত রাখা হবে’ বলাই সংগত। কারণ, মণিপুরে আইনটি দীর্ঘদিন ধরে বলবৎ রয়েছে। নিরাপত্তা পরিস্থিতির ‘উল্লেখযোগ্য উন্নতির’ কারণে ২০২২ সাল থেকে আফস্পা ধীরে ধীরে সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতেই অধ্যুষিত উপত্যকার জেলাগুলো থেকে প্রত্যাহার করে শুধু আদিবাসী অঞ্চলে বলবৎ রাখা হয়।

সেনাবাহিনী সরকারের কাছে এক প্রস্তাবে বলেছিল, বর্তমান পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে আফস্পা গোটা মণিপুরে জারি করা প্রয়োজন। কিন্তু মণিপুরের স্বরাষ্ট্র দপ্তর সেই প্রস্তাবে কান না দিয়ে শুধু আদিবাসী অঞ্চলেই আফস্পা অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

মণিপুরের স্বরাষ্ট্র দপ্তর গত বুধবার এক নির্দেশে জানিয়েছে, আফস্পাবিষয়ক ‘স্থিতাবস্থা’ (স্ট্যাটাস কো) বজায় রাখা হবে। স্বরাষ্ট্র দপ্তরের নোটিশে বলা হয়েছে ‘রাজ্যপাল গোটা মণিপুর আফস্পার অধীনে রাখার সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছেন।

তবে ১৯টি পুলিশ থানা ‘অস্থিতিশীল অঞ্চল’ হিসেবে চিহ্নিত হবে না এবং এই আইনের আওতায় আসবে না। আগামী ১ অক্টোবর থেকে ছয় মাসের জন্য আইনটি জারি করা হলো।

রাজধানী ইম্ফলসহ উপত্যকার সাত জেলার ১৯টি পুলিশ থানার নামও সরকারি নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে। এই নির্দেশিকার অর্থ মণিপুরের সরকার ও ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার এটা আনুষ্ঠানিকভাবে বুঝিয়ে দিলেন, মণিপুরে সহিংসতা কুকি-চিন-জোমি প্রভৃতি আদিবাসী সম্প্রদায়ের কারণেই ছড়াচ্ছে।

সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতেইদের এই সংঘর্ষে কোনো প্রত্যক্ষ ভূমিকা নেই। সংখ্যাগরিষ্ঠ সম্প্রদায় বসবাস করে, এমন অঞ্চল স্থিতিশীল রয়েছে বলেই মনে করছেন সরকার। যদিও ভারতের সেনাবাহিনী চেয়েছিল, গোটা মণিপুরেই আফস্পা জারি করা হোক। মেইতেই গোষ্ঠী হচ্ছে হিন্দু সম্প্রদায়ের অনুসারী।

মণিপুর সরকার এই নির্দেশিকায় এমন একটি মন্তব্য করেছে, যা ‘রীতিমতো অবিশ্বাস্য’ বলে মনে করছে আদিবাসী সম্প্রদায়ের দুটি প্রধান সংগঠনের একটি, আদিবাসী ঐক্য কমিটি।

নির্দেশিকার দ্বিতীয় অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘রাজ্য সরকার বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিশ্লেষণের পর মনে করছে, সহযোগী নিরাপত্তা এজেন্সিগুলো মাঠপর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের কাজে ব্যস্ত থাকায় (পরিস্থিতির) বিশদ মূল্যায়ন এখনই সম্ভব নয়। আরও বিশদ মূল্যায়ন ছাড়া এই জাতীয় স্পর্শকাতর বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছানো উচিত হবে না। তাই এই মুহূর্তে রাজ্যের ‘অস্থিতিশীল এলাকা’–সম্পর্কিত অবস্থা পর্যালোচনা করা যাচ্ছে না।’

স্বাভাবিকভাবেই এই নির্দেশ মেনে নিতে পারছে না ঐক্য কমিটি। আদিবাসী ঐক্য কমিটি মনে করছে, উপত্যকার ১৯টি থানা এলাকা ‘অশান্ত এলাকা’ হিসেবে সংজ্ঞায়িত না হওয়ার কারণেই অতীতে সহিংসতা ছড়িয়েছে এবং ভবিষ্যতেও ছড়াবে। রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করে ঐক্য কমিটি এক লিখিত বিবৃতিতে বলেছে, এই সিদ্ধান্ত ‘জাতিগত নির্মূলের জন্য ক্ষেত্র প্রস্তুত করার একটি ইচ্ছাকৃত প্রচেষ্টা।’

 

আজকের বাংলা তারিখ

December ২০২৫
Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
« Nov    
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০৩১  


Our Like Page