অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, আগে আমাদের কোনো লক্ষ্য ছিল না। আমরা নিজেদের মনে করতাম ভিক্ষুক। বাজেট নিয়ে সরকার দুর্ভাবনায় থাকত। বাজেটে কে কত টাকা ভিক্ষা দেবে, এ ভিক্ষা আনার পরে, ঠিক করতাম ভিক্ষা কিভাবে খরচ করব।
শনিবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানী আগারগাঁও বিআইসিসিতে ‘নিরাপদ ডিজিটাল সমাজ: রাষ্ট্রের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি।
আনিসুল হক বলেন, ‘আমরা দেখেছি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, যখন সেবামূলক সরকার গঠন করলেন। তিনি একটি নির্দেশনাও দিয়েছিলেন। তিনি লক্ষ্য সেট করেছেন ২০২১, ২০৩১, ২০৪১ সাল পর্যন্ত। এ লক্ষ্যগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে ডিজিটাইজেশন।’
তিনি বলেন, ‘ডিজিটাইজেশনের শুরু থেকে সরকার চেষ্টা করল দেশের উন্নয়ন ও জনগণের জীবনের মান উন্নয়নের জন্য। তখন অনেকে ভাবলেন এটাকে ব্যবহার করে নিজে অপরাধ করে কিভাবে লাভবান হওয়া যায়। তখনই অধিকার সুরক্ষার ও অপব্যবহার বন্ধ করার জন্য আইন প্রণয়নের প্রশ্ন ওঠে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বলা হয়- সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণ করার জন্য ডিজিটাল আইন করা হয়েছে। ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন প্রয়োজনীয় নয় কি? আইন হলে এটার কিন্তু অপব্যবহার হয়, এটাও স্বাভাবিক। চুরি করলে তিন বছরের জেল। ১৮৬০ সালে জেল দেওয়া হয়েছিল। আমরা কি চুরি বন্ধ করতে পেরেছি? তাই বলে কি অপরাধ বন্ধ করার জন্য সরকার সচেষ্ট হবে না?’
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘অপরাধীরা পুলিশের থেকে এক ধাপ এগিয়ে থাকার চেষ্টা করেন। পুলিশ আর আইন যারা তৈরি করেন তারা অপরাধীদের থেকে দুই ধাপ এগিয়ে থাকার চেষ্টা করছেন। এটাই স্বাভাবিক। আগে যখন আইন করা হতো কারও সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করা হতো না। এখন স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়।’
Leave a Reply