এটি মুত্তাকীদের জন্য পথ প্রদর্শনকারী। যারা অদৃশ্য বিষয়ের ওপর বিশ্বাস স্থাপন করে এবং নামায প্রতিষ্ঠা করে, আর আমি আদেরকে যে সম্পদ বা উপজীবিকা দান করেছি তা থেকে কল্যাণের পথে ব্যয় করে। যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছে সেসব বিষয়ের ওপর, যা আপনার প্রতি অবতীর্ণ করা হয়েছে এবং আপনার পূর্বে যা অবতীর্ণ করা হয়েছে। আর আখেরাতকে যারা নিশ্চিত বিশ্বাস করে। তারাই নিজেদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে সুপথ প্রাপ্ত। আর তারাই যথার্থ সফলকাম। (সূরা বাকারা ঃ আয়াত ২-৪)
মহান আল্লাহ তা’আলা বলেন- যারা আন্তরিকভাবে অঙ্গীকার করে যে, মহান আল্লাহ আমাদের রব এবং তারা এ কথার উপর অবিচল থাকে, তাদের কাছে ফেরেশতা নাযিল হয়ে বলতে থাকে ভয় করো না । দুশ্চিন্তা করো না । আর সেই বেহেশ্তের সু-খবর গ্রহণ কর, যা ওয়াদা তোমাদের কাছে করা হয়েছে। আমরা এই দুনিয়ার জীবনেও তোমাদের বন্ধু এবং পরকালেও। সেখানে (বেহেশ্তে) তোমাদের মন যা আশা-আকাঙ্খা করবে এবং যা কিছু চাইবে তা সবই পাবে। এসব সেই মহান আল্লাহর তরফ হতে মেহমানদারী হিসেবে পাবে যিনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল ও দয়ালু। (সূরা ঃ হা-মীম সাজদাহ ঃ আয়াত ঃ ৩০-৩২)
মহান আল্লাহ তা’আলা আরো বলেন- যারা বলে মহান আল্লাহ আমাদের রব এবং তারা এ কথার উপর অবিচল থাকে, তাদের কোন ভয় নেই এবং তারা দুশ্চিন্তাও করবে না। তারাই ইহকালে যে কাজ করেছিল তার পরিণামে পরকালে বেহেশ্তবাসী হয়ে চিরকাল সেখানে থাকবে। (সুরা ঃ আহ্কাফ ঃ আয়াত ঃ ১৩-১৪
১. হযরত ইব্নে উমার রাদিয়ালাহু আনহু হতে বর্ণিত। রাসুলুলাহ সালালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, পাঁচটি বস্তুর ওপর ইসলামের ভিত্তি স্থাপিত। ১। এ কথায় সাক্ষ্য দেয়া যে, মহান আল্লাহ ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই এবং মুহাম্মদ সালালাহু আলাইহি ওয়া সালাম তাঁর বান্দা ও রাসূল, ২। নামায কায়েম করা, ৩। যাকাত আদায় করা, ৪। বাইতুলাহ হজ্জ করা, ৫। রমযানের রোযা রাখা। (বোখারী ও মুসলিম শরীফ)
২. হযরত সুফিয়ান ইবনে আবদুলাহ রাদিয়ালাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন- আমি বললাম ঃ ইয়া রাসুলুল্লাহ! আপনি আমাকে ইসলামের ব্যাপারে এমন কথা বলে দিন, যেন আপনি ব্যতীত অন্য কাউকে আর সে বিষয়ে জিজ্ঞাসা করতে না হয়। তিনি বললেন, বল! আমি মহান আল্লাহর প্রতি ঈমান এনেছি। তারপর এর উপর অবিচল থাক। (মুসলিম শরীফ)
Leave a Reply