অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি বলেছেন, ইরানি জনগণ কাউকে তাদের ভাগ্য নির্ধারণ করতে দেবে না। তারা রক্তের শেষ বিন্দু পর্যন্ত এই পথে অবিচল থাকবে।
ইসরায়েলি আগ্রাসনে নিহত ৬০ জনের স্মরণে রাজধানী তেহরানে লাখ লাখ শোকাহত জনতা জড়ো হওয়ার একদিন পর রোববার (২৯ জুন) সকালে আরাঘচি এ মন্তব্য করেন।
তিনি এক্স-পোস্টে লিখেছেন, ‘ইরানের রাস্তায় নেমে আসা দেশপ্রেমিকদের একের পর এক ঢেউ, যারা কাপুরুষ ইসরায়েলি শাসনব্যবস্থার হাতে ঠাণ্ডা মাথায় নিহত নারী ও শিশুসহ সামরিক কমান্ডার, বিজ্ঞানী, গবেষক এবং বেসামরিক নাগরিকদের সম্মান জানাতে নেমেছিলেন, তাদের সকলেরই একটিই বার্তা : দুর্বল ইসরায়েলি শাসনব্যবস্থার বিপরীতে আমরা আমাদের ক্ষতি গোপন করি না; আমরা আমাদের শহীদদের জন্য গর্বিত, যারা আমাদের আদর্শ।’
তিনি উল্লেখ করেন, ‘প্রতিটি নিহত কর্মকর্তা বা বিজ্ঞানীর জন্য, নিশ্চিত থাকুন আরও ১০০ জন তাদের জায়গা গ্রহণের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন।’
আরাকচি তার পোস্টে আরও বলেছেন, ‘রক্তের শেষ বিন্দু পর্যন্ত, শক্তিশালী এবং স্থিতিস্থাপক ইরানি জাতি আমাদের ভাগ্য নির্ধারণের চেষ্টাকারীদের প্রতিহত করবে।’
আইআরএনএ নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, ১৩ জুন ইসরায়েলি সরকার ইরানের বিরুদ্ধে বিনা উস্কানিতে আগ্রাসন শুরু করে। এই হামলায় শীর্ষ সামরিক কমান্ডার, বিজ্ঞানী এবং বেসামরিক নাগরিকসহ ৬০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়।
ইরানের সশস্ত্র বাহিনী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে শক্তিশালীভাবে প্রতিক্রিয়া জানায়, অধিকৃত অঞ্চলজুড়ে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে।
আইআরএনএ জানিয়েছে, ২২ জুন যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের সঙ্গে যোগ দেয় এবং নেতানিয়াহু সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে তিনটি ইরানি পারমাণবিক স্থাপনায় আক্রমণ করে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড় ওঠে। মার্কিন-ইসরায়েলি আগ্রাসন ১২ দিন স্থায়ী হয়েছিল এবং যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে এর সমাপ্তি ঘটে।