অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ইরানে বিক্ষোভের জেরে আরও একজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হলো সোমবার (১২ ডিসেম্বর)। পুলিশ হেফাজতে মাহসা আমিনি নামে এক তরুণীর মৃত্যুর প্রতিবাদে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ করেন তিনি। দেশটির আদালতের নিজস্ব সংবাদ সংস্থা মিজান জানিয়েছে, নিরাপত্তাবাহিনীর দুই সদস্যকে হত্যার দায়ে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সময় সোমবার সকালে মজিদ রেজা রাহনাভার্দকে মাশহাদ শহরে ফাঁসি দেওয়া হয় বলেও জানিয়েছে দেশটির বিচার বিভাগ। নিরাপত্তা বাহিনীর দুই সদস্যকে ছুরিকাঘাত ও হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হন তিনি।
এর আগে বিক্ষোভের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে প্রথম মোহসেন শেকারিকে ফাঁসি দেওয়া হয় গত বৃহস্পতিবার। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, ‘আল্লাহর বিরুদ্ধে শত্রুতার’ অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর বৃহস্পতিবার সকালে মোহসেন শেকারিকে ফাঁসি দেওয়া হয়। একজন ‘দাঙ্গাকারী’ হিসেবে তাকে অভিযুক্ত করে বলা হয়, গত সেপ্টেম্বর মাসে তিনি তেহরানের একটি প্রধান সড়ক অবরোধ করেন এবং আধাসামরিক বাহিনীর একজন সদস্যকে কাটারির আঘাতে আহত করেন।
এই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার ঘটনায় নিন্দার ঝড় উঠে বিশ্বজুড়ে। যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লিভারলি সে সময় সতর্কবার্তা দেন ইরানকে।
ইরানে জনসম্মুখে নারীদের বাধ্যতামূলক হিজাব পরাসহ কঠোর পর্দা পালনের নিয়ম রয়েছে। এই বিধিগুলো তদারক করার জন্য রয়েছে দেশটির ‘নৈতিকতাবিষয়ক’ পুলিশ। এই পুলিশের একটি দল, গত ১৩ সেপ্টেম্বর ২২ বছর বয়সী মাহসা আমিনিকে তেহরান থেকে আটক করে। আমিনি তার পরিবারের সঙ্গে তেহরানে ঘুরতে গিয়েছিলেন। আটকের পর মাহসা আমিনি থানায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত ১৬ সেপ্টেম্বর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় মাহসা আমিনির। এ ঘটনার প্রতিবাদে ব্যাপক আন্দোলন শুরু হয় দেশজুড়ে। দেশটিতে এ পর্যন্ত সহিংসতায় প্রাণ গেছে কয়েকশ জনের। বিক্ষোভে অংশ নেন দেশটির তরুণ-তরুণীরা। তবে ইরান বলছে, এই বিক্ষোভে উসকানি দেয় পশ্চিমারা। সূত্র: বিবিসি
Leave a Reply