ইলম শব্দের অর্থ জানা, অবগত হওয়া, জ্ঞানার্জন করা। ইসলামী জীবন ব্যবস্থায় ইলমের গুরুত্ব অপরিসীম। আলাহ্ তা‘আলা হযরত আদম (আ) -কে সৃষ্টি করে সকল বিষয়ের জ্ঞান শিক্ষা দিলেন। এ কারণেই তাঁকে ফেরেশতাদেরও ওপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করলেন। সুতরাং জ্ঞানই মর্যাদার মাপকাঠি।
বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (স) এর ওপর সর্বপ্রথম যে বাণীটি অবতীর্ণ হয়েছে তা হলো ‘ইকরা’ Ñপড় । অর্থাৎ জ্ঞানার্জন কর। কোরআন ও হাদীসে জ্ঞানার্জনের ফযিলত সম্পর্কিত বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
১. মহান আলাহ্ তা‘আলা শেষ বিচার দিবসে বলবেন ,“হে আলিম সম্প্রদায়! হে আলিম সমাজ! তোমাদেরকে আমি ইলম দান করেছি আমার পরিচয় দানের জন্য। তোমরা দাঁড়াও, আমি নিশ্চয়ই তোমাদেরকে ক্ষমা করে দিয়েছি।” আলোচ্য হাদীসখান তিবী হযরত জাবির (রা)Ñএর সূত্রে রেওয়ায়েত করেছেন।
২। পূর্ববর্তী গ্রন্থে লেখা আছে, “হে বনী আদম! পারিশ্রমিক গ্রহণ ব্যতীত শিক্ষা দান কর, যেরূপভাবে তুমি পারিশ্রমিক দেয়া ছাড়া শিক্ষা লাভ করেছ।” ইবনু লাল আলোচ্য হাদীষখানা হযরত আব্দুলাহ ইবনে মাসউদ (রা)Ñএর সূত্রে বর্ণনা করেছেন।
[ইসলামের প্রথম যুগে শিক্ষকগণ বিনা পারিশ্রমিকে শিক্ষা দান করতেন। পরবর্তী যুগে শিক্ষকগণকে তাদের সাংসারিক খরচ বাবদ বায়তুল মাল থেকে বেতন দেয়া হতো। ইসলামী বিধান মতে শিক্ষা মানুষের মৌলিক অধিকার, তাই ইসলামী রাষ্ট্রে শিক্ষা সার্বজনীন ও অবৈতনিক হয়।]
Leave a Reply