অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল লরেন্স উইলকর্সন ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র শক্তির প্রতি ইঙ্গিত করে বলেছেন, সাম্প্রতিক যুদ্ধে ইরান যে সামরিক সক্ষমতা দেখিয়েছে তাতে হতভম্ব হয়ে গেছে ইসরায়েল।
মার্কিন সশস্ত্র বাহিনীর এই সাবেক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা আরও বলেন, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ধরণ দেখে ইসরায়েল বিস্মিত হয়ে গেছে। ইরান নিজেদের তৈরি ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইসরায়েলের ওপর আঘাত করেছে এবং থ্যাড ও প্যাট্রিয়টের মতো আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাগুলোও সেই ক্ষেপণাস্ত্রগুলোকে ঠেকাতে পারেনি।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে- উইলকর্সন জানিয়েছেন, ইরানের এমন ক্ষেপণাস্ত্র আছে যা ইসরায়েলকে অচল করে দিতে পারে; যদি তেহরান বারো দিনের যুদ্ধে ধৈর্যের পরিচয় না দিত, তাহলে ইসরায়েলে হতাহতের সংখ্যা অনেক বেশি হত।
উইলকর্সন আরও বলেন, ইরান ইসরায়েলকে মানচিত্র থেকে মুছে দিতে সক্ষম এবং সংঘাত হলে আমেরিকার যুদ্ধজাহাজগুলোরও ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রের নিশানায় পরিণত হওয়ার আশঙ্কা থাকবে।
এই মার্কিন কর্নেলের মতে, ইরান ইসরায়েলের জন্য বিস্ময় সৃষ্টি করেছে। ইরানিরা খুবই বুদ্ধিমান এবং প্রতিভাবান, তারা দুর্দান্ত ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করতে পারে।
এই প্রতিরক্ষা-নিরাপত্তা বিশ্লেষক ব্যাখ্যা করে বলেন, ১২ দিনের যুদ্ধে ইরায়েল ইরানের কাছে হার মেনেছে; তারা তাদের হিসাব-নিকাশ বুঝে ফেলেছিল এবং তাই যুদ্ধ খুব দ্রুত শেষ হয়েছে। তারা কঠোরভাবে পরাস্ত হয়েছে এবং তাদের অবস্থান ভেঙে পড়েছে।
ইরান ও ইরাকের মধ্যকার আট বছরের যুদ্ধের অভিজ্ঞতার প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ইরান দীর্ঘস্থায়ী ও শহুরে যুদ্ধের ক্ষেত্রে উচ্চ সক্ষমতা রাখে এবং ভবিষ্যতেও প্রয়োজনে এ ধরনের লড়াই চালাতে পারবে।
তিনি ভবিষ্যতের ইরান-ইসরায়েল সংঘাত নিয়ে বলেন, আমার মনে হয় বেনিয়ামিন নেতান্যাহু ভালোভাবেই জানেন যে, কেবল আমেরিকাকে সংঘাতে টেনে আনতে পারলেই কেবল তাঁর লক্ষ্য পূরণ হতে পারে, অন্যথায় ইরান ইসরায়েলকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করতে সক্ষম।