অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : দুদিন বাদেই ঈদুল আজহা। এরই মধ্যে পরিবার পরিজনের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করতে ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছেন মানুষ। প্রথম দুদিন (শনি ও রবিবার) কমলাপুর স্টেশনে যাত্রীদের তেমন ভিড় দেখা না গেলেও আজ ভোর থেকেই যাত্রীর চাপ চোখে পড়ার মতো।
টিকিটবিহীন যাত্রীদের ক্ষেত্রে এবার কড়াকড়ি করা হয়েছে। কোনো যাত্রী বিনা টিকিটে স্টেশন এলাকায় প্রবেশ করতে পারছেন না।
সোমবার রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
এদিকে রেল কর্তৃপক্ষ বলছেন, দিনের প্রথম আন্তঃনগর ধূমকেতু এক্সপ্রেসের মাধ্যমে ঈদুল আজহায় ঈদযাত্রা শুরু হয়। এদিন ৫০ হাজারের বেশি মানুষ ট্রেনযোগে বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়বেন।
এদিকে সরজমিনে দেখা গেছে, স্টেশনে ঢুকতে তিনটি তল্লাশি চৌকি পার হতে হচ্ছে যাত্রীদের। স্টেশনের ভেতরে নেই হট্টগোল। টিকিটধারীরা নির্ধারিত ট্রেন এলেই উঠছেন। সেই সঙ্গে সকাল থেকে ছেড়ে যাওয়া ট্রেনগুলোতে শিডিউল বিপর্যয় ঘটেনি। যথাসময়েই ট্রেন ছেড়ে যাচ্ছে স্ব স্ব গন্তব্যের উদ্দেশ্যে।
তিস্তা এক্সপ্রেসের যাত্রী রাহুল শিকদার বলেন, ‘স্টেশনে কোনো ধরনের ভোগান্তিতে পড়তে হয়নি। বিগত দিনগুলোতে স্টেশনে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হলেও এবার কোনো সমস্যাই ফেস করতে হয়নি এখন পর্যন্ত।’
মামুন শেখ বলেন, ‘স্টেশন এলাকায় এবার শৃঙ্খলা রয়েছে। যাত্রী ছাড়া কেউ স্টেশনে প্রবেশ করতে পারছেন না। আবার ট্রেনও যথাসময়ে ছেড়ে যাচ্ছে।’
এদিকে এবার ঈদযাত্রায় আসনবিহীন বা স্ট্যান্ডিং টিকিট বিক্রি হচ্ছে মোট আসনের ২৫ শতাংশ। ঢাকা, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট, বিমানবন্দর ও জয়দেবপুর স্টেশন থেকে এসব টিকিট পাওয়া যাচ্ছে। যাত্রার দিন আসনবিহীন টিকিট স্টেশনের কাউন্টার থেকে কেনা যায়।
টিকিট না পেয়ে স্ট্যান্ডিং টিকিটে মহানগর প্রভাতী ট্রেনের যাত্রী আহসান হাবিব বলেন, ‘অনলাইন থেকে টিকিট কাটতে পারি নাই। ভাবছিলাম স্টেশনে গেলে একটা ব্যবস্থা হবে। টিকিট না পেলেও স্ট্যান্ডিং টিকিট কেটে চলে যাব। পরে স্ট্যান্ডিং টিকিট কেটেছি। ট্রেনে কোনো সিটও ফাঁকা নেই। দীর্ঘ পথ ট্রেনে দাঁড়িয়ে যেতে হবে। তবে সব কষ্ট সার্থক হবে যদি ঠিকমতো বাড়ি পৌঁছাতে পারি।
এদিকে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার বলেন, গত কয়েক দিনের তুলনায় আজকে যাত্রীর চাপ বেড়েছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীর চাপ আরও বাড়বে। সকাল থেকে সবগুলো ট্রেন যথাসময়ে ছেড়ে গেছে। অনলাইনে আগেই সব টিকিট বিক্রি হয়েছে। মোট আসনের ২৫ শতাংশ স্ট্যান্ডিং টিকিট বিক্রি হচ্ছে কাউন্টার থেকে।’
তিনি বলেন, ‘যাত্রীদের ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে স্টেশনে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। টিকিট ছাড়া কাউকে প্ল্যাটফর্মে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।’
এর আগে গত ১৪ জুন থেকে আন্তঃনগর ট্রেনের ঈদযাত্রার অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়।
আর ঈদযাত্রার ট্রেনের ফিরতি অগ্রিম টিকিট দেওয়া শুরু হয় ২২ জুন থেকে।
এবার ট্রেনের অগ্রিম টিকিট শতভাগ অনলাইনে দেওয়া হলেও টিকিট বিক্রিতে কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়। অনলাইনে দুই ভাগে দেওয়া হয় অগ্রিম টিকিট। ঈদযাত্রায় পশ্চিমাঞ্চলে চলাচল করা সব আন্তঃনগর ট্রেনের অগ্রিম টিকিট অনলাইনে পাওয়া যায় সকাল ৮টা থেকে। আর দুপুর ১২টা থেকে পূর্বাঞ্চলে চলাচল করা ট্রেনের টিকিট বিক্রি হয়।
Leave a Reply