অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : বাংলাদেশের গণমাধ্যমের ওপরও মার্কিন ভিসানীতি প্রয়োগ হতে পারে- ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সাম্প্রতিক এমন মন্তব্যে উদ্বেগ প্রকাশ করে তাকে চিঠি দিয়েছে এডিটরস গিল্ড বাংলাদেশ।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর পাঠানো ওই চিঠির জবাবে পিটার হাস সুস্পষ্ট করে বলেছেন, তার দেশ সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতাকে সমর্থন করে। যুক্তরাষ্ট্র সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং সাংবাদিক ও মিডিয়া আউটলেটগুলোর মতপ্রকাশের স্বাধীনতার অধিকার প্রয়োগকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রসহ যে কোনো সরকারের সমালোচনামূলক মতামতের বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
বুধবার (৪ অক্টোবর) এডিটরস গিল্ড, বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট মোজাম্মেল হক (বাবু) স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
গত ২৪ মে বাংলাদেশের জন্য ভিসানীতি ঘোষণা করার সময় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন যেমনটা বলেছিলেন তাকে উদ্ধৃত করে রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ওই চিঠির জবাবে বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের দায়িত্ব ভোটার, রাজনৈতিক দল, সরকার, নিরাপত্তা বাহিনী, নাগরিক সমাজ ও গণমাধ্যমের। এ প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রত্যেককে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়ায় তাদের নিজ নিজ ভূমিকা পালনের সুযোগ দিতে হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন আরো বলেছেন, এই ভিসানীতি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করার জন্য দায়ী বা জড়িত বলে প্রতীয়মান হয় এমন যে কোনো বাংলাদেশির জন্য প্রযোজ্য হবে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ২৪-এর সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে গণমাধ্যমও মার্কিন ভিসানীতির আওতায় আসতে পারে বলে মন্তব্য করেন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। গত ২৪ মে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জন্য ভিসানীতি ঘোষণা করে। এরপর ২২ সেপ্টেম্বর ঘোষণা করা হয়, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বাধাদানকারী ব্যক্তিদের ভিসা প্রদানে বিধিনিষেধ আরোপের পদক্ষেপ নেয়া শুরু হয়েছে।
Leave a Reply