অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : এবারও জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগের সঙ্গে থাকতে পারে বলছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘জাতীয় পার্টি প্রায় ৩০০ আসনে মনোনয়ন দিয়েছে। তারা যেভাবে নির্বাচনযুদ্ধে নেমেছে, সে জন্য তাদের অভিনন্দন জানাই। জাতীয় পার্টির সঙ্গে ২০০৮ সালে আমরা জোটগতভাবে মহাজোট গঠন করেছিলাম, গতবারও তারা আমাদের সঙ্গে ছিল, এবারও সেটি হওয়ার সম্ভাবনা আছে।’
মঙ্গলবার (০৫ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে তথ্য অধিদপ্তরের সম্মেলনকক্ষে একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন করা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের সিদ্ধান্ত ১৪-দলীয় জোটগতভাবেই আমরা নির্বাচন করব। আমাদের কাছে শরিকদের সব সময় গুরুত্ব আছে, সে জন্য জোটগতভাবে আমরা নির্বাচন করছি। আমাদের এককভাবে নির্বাচন করার শক্তি, ক্ষমতা, সমর্থন আছে কিন্তু শরিকদের গুরুত্ব দেওয়া হয় বিধায় আমরা জোটগতভাবে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি।’
বিএনপি চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী দল উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি মানবাধিকারের কথা বলতে পারে না; কারণ, তারা নিজেরাই চরমভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী। তাদের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান নির্বিচার মানুষ হত্যা করেছেন, রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে দল প্রতিষ্ঠা করেছেন। ২০১৩, ’১৪, ’১৫ সালে তারা পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করে জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করে অগ্নিসন্ত্রাস করেছিল, এখনো করছে।’
সাংবাদিকেরা আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশ নিয়ে প্রশ্ন করলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘১০ ডিসেম্বর বিশ্ব মানবাধিকার দিবস। বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা এবং এরপর বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার বন্ধ করা। ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে আইনে রূপান্তর করে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার বন্ধ করা হয়েছিল। সেটি জিয়াউর রহমানের হাত দিয়ে হয়েছিল। এরপর বাংলাদেশে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে ১৯৭৭ সালে নির্বিচার সেনা ও বিমানবাহিনীর অফিসারদের বিনা বিচারে হত্যা করা।’
বিএনপির অবরোধ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির কর্মসূচি বলতে চোরাগোপ্তা হামলা করে গাড়িঘোড়া পোড়ানো আর মানুষের ওপর হামলা পরিচালনা করা। এগুলো দুষ্কৃতকারীদের কাজ। আমরা দুষ্কৃতকারীদের দমন করতে বদ্ধপরিকর।’
Leave a Reply