November 12, 2025, 11:19 pm
শিরোনামঃ
ঝিনাইদহে দুইদিন ব্যাপি কৃষক প্রশিক্ষণের উদ্বোধন আগামী বছর হজ করতে পারবেন সাড়ে ৭৮ হাজার বাংলাদেশি বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আর্মি সার্ভিস কোরকে প্রস্তুত থাকতে সেনাপ্রধানের আহ্বান আসন্ন সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে প্রবাসী ভোটার নিবন্ধনে নির্দেশনা দিয়ে পরিপত্র জারি বাংলাদেশে অবস্থিত রোহিঙ্গাদের জন্য ২০ হাজার ২৬৫ মেট্রিক টন চাল সহায়তা দিল দ. কোরিয়া গত অক্টোবরে সারা দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৬৯ জন নিহত সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে মতবিনিময় সভা গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর নাকফুল- আংটি-বদনা ফিরে পেলেন বাগেরহাটের শ্রাবণী বাগেরহাটের চিতলমারী ও মোল্লাহাটে অবাধে চলছে অতিথি পাখি শিকার চাঁদপুরে পাঁচটি পাইপগানসহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার
এইমাত্রপাওয়াঃ

করোনা ও পরবর্তি মূল্যস্ফীতিতে এশিয়ায় চরম দরিদ্রের সংখ্যা বেড়েছে ৬ কোটি ৭৮ লাখ : এডিবি

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ২০২০ সালের করোনা মহামারি এবং তার প্রাথমিক ধাক্কা কেটে যাওয়ার পর শুরু হওয়া মূল্যস্ফীতি এশিয়ায় চরম দারিদ্রের শিকার লোকজনের সংখ্যা বাড়িয়েছে ৬ কোটি ৮০ লাখ। বর্তমানে এশিয়ার স্বল্পোন্নত-উন্নয়নশীল দেশগুলোতে চরম দারিদ্রের মধ্যে বসবাস করছেন অন্তত ১৫ কোটি ৫২ লাখ মনুষ।

বৃহস্পতিবার বিশ্বের বৃহত্তম আঞ্চলিক ঋণদাতা সংস্থা এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে। ২০২২ সালের তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে প্রস্তুত করা হয়েছে সেই প্রতিবেদনটি।

এডিবির তথ্য অনসারে, বর্তমানে এশিয়ার বিভিন্ন দেশে চরম দারিদ্রের শিকার লোকজনের সংখ্যা করোনা মহামারির পূর্ববর্তী বছর ২০১৯ সালের চেয়ে এই সংখ্যা ৬ কোটি ৭৮ লাখ বেশি।

২০১৭ সালে চরম দারিদ্র সম্পর্কিত একটি সংজ্ঞা দিয়েছিল বিশ্বব্যাংক। সেই সংজ্ঞা অনুযায়ী, কারো দৈনিক জীবনযাত্রার ব্যয় যদি ২ দশমিক ১৫ ডলারের (২৩৪ টাকা) কম হয়, সেক্ষেত্রে ওই ব্যক্তি চরম দারিদ্রের শিকার।

প্রতিবেদনটির প্রকাশ উপলক্ষে ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলায় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছিল এডিবি। সংস্থাটির শীর্ষ অর্থনীতিবিদ অ্যালবার্ট পার্ক সেই সংবাবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

এই অর্থনীতিবিদের মতে, মহামারির ধাক্কা কেটে যাওয়ার পর অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে তৎপরতা শুরু করেছে এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল। এই পরিস্থিতিতে জনজীবনে দারিদ্র উচ্চহারে বাড়তে থাকলে অদূর ভভিষ্যতে তা অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা সংক্রান্ত বিভিন্ন তৎপরতার পথে প্রধান প্রতিবন্ধক হয়ে উঠবে।

‘এশিয়ার দেশগুলোর এখন উচিত দরিদ্র লোকজনের জন্য সামাজিক-অর্থনৈতিক নিরাপত্তা সংক্রান্ত কর্মসূচিগুলোতে বিনিয়োগ এবং মনযোগ— উভয়ই বৃদ্ধি করা। দারিদ্রকে যদি ঠেকানো না যায়, সেক্ষেত্রে কোনো প্রবৃদ্ধিই টেকসই হবে না,’ সংবাদ সম্মেলনে বলেন পার্ক

এডিবির হিসেব অনুযায়ী অবশ্য করোনা মহামারির প্রথম বছরের তুলনায় দ্বিতীয় বছরে দারিদ্রের সংখ্যা খানিকটা হ্রাস পেয়েছে। সংস্থাটির ২০২১ সালের প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২০ সালে মহামারি শুরু হওয়ার পর এশিয়ায় চরম দরিদ্র লোকজনের সংখ্যা ২০১৯ সালের তুলনায় বেড়েছিল ৮ কোটি।

কিন্তু ২০২২ সালে চরম দারিদ্রের সংখ্যা এক কোটিরও বেশি সংখ্যক কমলেও উন্নয়নশীল এশিয়ার জন্য তা তেমন স্বস্তিকর হয়নি। কারণ বিশ্বের বৃহত্তম এই মহাদেশের দেশে দেশে গত বছর থেকে লাগামহীনভাবে বাড়ছে খাদ্য, জ্বালানি ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম।

‘প্রায় নিয়ন্ত্রণহীন মূল্যস্ফীতির কারণে দরিদ্র লোকজনের দৈনিক উপার্জনের একটি বড় অংশই ব্যয় হয়ে যাচ্ছে খাদ্য ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে গিয়ে। এ কারণে চিকিৎসা, শিক্ষা প্রভৃতি মৌলিক খাতগুলোতে ব্যয় করার মতো অর্থ তাদের হাতে থাকছে না। পুরুষদের তুলনায় নারীদের ভোগান্তি এক্ষেত্রে আরও বেশি। কারণ এশিয়ার অনেক দেশে পুরুষ কর্মীদের তুলনায় নারী কর্মীদের কম বেতন দেওয়া হয়,’ বৃহস্পতিবারের প্রতিবেদনে জানিয়েছে এডিবি।

 

আজকের বাংলা তারিখ

November ২০২৫
Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
« Oct    
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০


Our Like Page