অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : পশ্চিমা দেশগুলোর কাছ থেকে ইউক্রেন যে সমস্ত অস্ত্র পাচ্ছে তার জন্য শেষ পর্যন্ত কিয়েভকে কিছু অর্থ পরিশোধ করতে হবে। আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিষয়ক মার্কিন সহকারী প্রতিরক্ষামন্ত্রী সেলেস্টে ওয়ালান্ডার গত মঙ্গলবার মার্কিন কংগ্রেসে এ কথা বলেছেন।
মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের অ্যাপ্রোপ্রিয়েশন্স কমিটির শুনানিতে ক্যালিফোর্নিয়ার রিপাবলিকান পার্টি থেকে নির্বাচিত কংগ্রেসম্যান মাইকেল গার্সিয়া বলেন, ইউক্রেনকে বিনামূল্যে অস্ত্র না দিয়ে বরং তার জন্য কিছু অর্থ নেয়া ভালো হবে। তা না হলে মার্কিন করদাতাদের জন্য সেটি অনেক বড় বোঝা হয়ে দাঁড়াবে।
রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যানের এই বক্তব্যের জবাবে ওয়ালান্ডার বলেন, ইউক্রেন প্রকৃতপক্ষে প্রথম দিকে কিছু অস্ত্র নিজেরা কিনেছিল তবে তা মার্কিন অস্ত্র নির্মাণ কোম্পানিগুলোর জন্য অনেক বড় কিছু ছিল না। আসলে ইউক্রেনের এই মুহূর্তে বিশাল অর্থ খরচ করে অস্ত্র কেনার সামর্থ্য নেই তবে এটি ভালো প্রশ্ন যে, তাদের কাছে অর্থের বিনিময়ে অস্ত্র পাঠানো উচিত এবং তাদের নিজেদের সামরিক ব্যয় করার পরিকল্পনা নিতে হবে। এর পাশাপাশি আমেরিকা তার সাধ্যমত ইউক্রেনকে সমর্থন দিয়ে যাবে। গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে রাশিয়া ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালানোর পর থেকে আমেরিকা এ পর্যন্ত ইউক্রেনকে প্রায় ৩২০০ কোটি ডলারের সামরিক সহায়তা দিয়েছে যার মধ্যে রয়েছে হাইমার্স ক্ষেপণাস্ত্র এবং এম-ওয়ান আব্রামস ট্যাং সহ বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম রয়েছে। রাশিয়া বারবার সামরিক সহায়তা দেয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিমা বিশ্বকে হুঁশিয়ার করেছে কিন্তু আমেরিকা তাতে কান দেয়নি। খুব সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেছেন- ইউক্রেনের যতদিন প্রয়োজন ততদিন সামরিক সহায়তা দেয়া অব্যহত রাখবে আমেরিকা।
Leave a Reply