অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : কুমিল্লার মুরাদনগরে মধ্যরাতে দাদির ঘরে চুরি দেখে ফেলায় কুপিয়ে হত্যা করেছে তারই নিজের নাতি। এরপর তার জানাজা ও দাফনেও অংশ নেয় ঘাতক নাতি। পাশাপাশি হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র পুকুরে ফেলে এসে স্বাভাবিকভাবে ঘুমিয়ে পড়ে নাতি।
বুধবার (১৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যেমে কুমিল্লা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) জানান, বৃদ্ধা আমেনা খাতুন হত্যা মামলার রহস্যের উদঘাটন করা হয়েছে। এ ঘটনার একমাত্র ঘাতক নাতি সাগর বাদশা (২২) গ্রেপ্তার ও হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
খুনি সাগর নিহত আমেনা বেগমের তৃতীয় সন্তান আবদুল মতিনের ছেলে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কুমিল্লা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ইন্সপেক্টর মো. হিলাল উদ্দিন বলেন, ‘চার বছর আগে সাগর তার দাদী আমেনা বেগমের স্বর্ণের গহনা ও নগদ অর্থ চুরি করে। সে ঘটনায় সাগর ও তার চাচাত ভাই হাসানকে স্থানীয় সালীশে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও গলায় জুতার মালা দিয়ে এলাকায় ঘোরানোর পর সে চরম অপমানিত হয় এবং ভবিষ্যতে সুযোগ পেলে প্রতিশোধ নেবে বলে পণ করে এলাকা ছেড়ে চলে যায়। দুই মাস আগে সাগর আবারো গ্রামে আসে এবং সুযোগ পেয়ে গত ১২ অক্টোবর তার দাদির ঘরে চুরি করতে যায়। তখন তার দাদি দেখে ফেলায় তাকে কুপিয়ে হত্যা করে। খুনি নাতির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী হত্যাকাণ্ডে ব্যাবহৃত একটি বটি, একটি ছুরি ও একটা লোহার রড পুকুর ঘাট থেকে ও তার দাদির ঘর থেকে চুরি করা ১০ লিটার সয়াবিন তেল তার চাচার ঘরের ড্রাম থেকে উদ্ধার করেছেন পিবিআই।
এর আগে বুধবার মুরাদনগর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের মোচাগড়া গ্রামের পশ্চিম পাড়ায় মৃত তালেব আলীর স্ত্রী আমেনা বেগমকে (৮২) মধ্যরাতে কুপিয়ে হত্যা করে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে আবু ইউসুফ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামী করে মামলা দায়ের করেন।
Leave a Reply