অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে বন্যায় দ্বিতীয় দফায় ৯৭ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঠদান মূল্যায়ন পরীক্ষা ১০ জুলাই পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বন্যার অবনতির সঙ্গে সঙ্গে এর সংখ্যা এবং সময়কাল আরও বাড়তে পারে।
ভারী বৃষ্টি ও উজানের ঢলে পানি বৃদ্ধির পাশাপাশি বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও বেড়িবাঁধ ভেঙে বন্যায় তলিয়ে গেছে উপজেলার ১৪ ইউনিয়নের মধ্যে ১০ ইউনিয়ন ও পৌর সভার ৩, ৭, ৮, ৯ নম্বর ওয়ার্ড। তলিয়ে গেছে এসব এলাকার ঘর-বাড়ি, রাস্তা-ঘাট। পানি ঢুকে পড়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সামান্য জেগে থাকলেও চারদিকে থইথই পানি। চলাচলের রাস্তায় পানি প্রবাহিত হওয়ায় কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পক্ষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাওয়া কষ্টকর। এ ছাড়া অধিকাংশ শিক্ষার্থীর বাড়িতে পানি উঠায় তারা অবরুদ্ধ। কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফ্লাড সেন্টার হিসেবে বানভাসিদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।
ফলে আগামী ১০ জুলাই পর্যন্ত এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বন্ধ থাকবে নিয়মিত পাঠদান ও ষান্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন পরীক্ষা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে উপজেলা মাধ্যমিক ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিস। বন্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ ২টি, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৩২টি, মাদ্রাসা ৯টি ও ৫৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম জানান, বন্যা আক্রান্ত হওয়ায় বন্যার্ত এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো সাময়িক বন্ধ দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় আগামী ১০ জুলাইয়ের পর স্কুল খুলতে অথবা বন্ধ আরও বাড়তে পারে।
এদিকে অব্যাহত পানি বৃদ্ধিতে বন্যা পরিস্থিতির ক্রমশ অবনতি ঘটছে। বামনডাঙ্গার মিয়াপাড়ায় বেড়িবাঁধ ভেঙে, তেলিয়ানীতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ উপচে ও কেদার ইউনিয়নের বাহের কেদারে এলজিইডি ক্ষুদ্র ব্যাবস্থাপনা প্রকল্পের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম। তলিয়ে যাচ্ছে ঘর-বাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে বন্যা। ধারণা করা হচ্ছে, এতে করে বন্যা আক্রান্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। বৃদ্ধি পেতে পারে বন্ধের সময়কাল।
Leave a Reply