November 12, 2025, 11:16 pm
শিরোনামঃ
ঝিনাইদহে দুইদিন ব্যাপি কৃষক প্রশিক্ষণের উদ্বোধন আগামী বছর হজ করতে পারবেন সাড়ে ৭৮ হাজার বাংলাদেশি বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আর্মি সার্ভিস কোরকে প্রস্তুত থাকতে সেনাপ্রধানের আহ্বান আসন্ন সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে প্রবাসী ভোটার নিবন্ধনে নির্দেশনা দিয়ে পরিপত্র জারি বাংলাদেশে অবস্থিত রোহিঙ্গাদের জন্য ২০ হাজার ২৬৫ মেট্রিক টন চাল সহায়তা দিল দ. কোরিয়া গত অক্টোবরে সারা দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৬৯ জন নিহত সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে মতবিনিময় সভা গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর নাকফুল- আংটি-বদনা ফিরে পেলেন বাগেরহাটের শ্রাবণী বাগেরহাটের চিতলমারী ও মোল্লাহাটে অবাধে চলছে অতিথি পাখি শিকার চাঁদপুরে পাঁচটি পাইপগানসহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার
এইমাত্রপাওয়াঃ

কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পে অনিয়ম ও দুর্নীতি ; অভিযোগ দুদকে

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি সরবরাহ ও ব্যবহার বৃদ্ধি করে ফসলের অপচয় রোধ, চাষাবাদে সময় ও অর্থ সাশ্রয় করার জন্য নেওয়া প্রকল্পে অর্থের অপচয়সহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। প্রকল্প পরিচালনায় কোনো নিয়মনীতিই মানা হয়নি, এখনো হচ্ছে না। নিজের পছন্দ অনুযায়ী বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে কাজ পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে প্রকল্প পরিচালকদের বিরুদ্ধে।

প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ অগ্রাধিকারভিত্তিক ৩ হাজার ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ’ প্রকল্পটি ২০২০ বছরের ১৪ জুলাই অনুমোদন দেয় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে ২০২৫ সালে।

তবে প্রকল্পের শুরু থেকেই নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি ঘিরে রেখেছে। ধীরে ধীরে দুর্নীতি ডালপালা বিস্তার করে। পরে আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতির নানা অভিযোগ জমা পড়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে। আর কমিশন এই অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্ত করার জন্য কৃষি মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। আর কৃষি মন্ত্রণালয় অনিয়ম ও দুর্নীতি তদন্তের জন্য দুই সদস্যবিশিষ্ট কমিটিও গঠন করেছে। কমিটির সদস্যরা হলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (পরিকল্পনা) এ টি এম সাইফুল ইসলাম ও উপসচিব সুজয় চৌধুরী।

প্রকল্পের শুরুতে এর পরিচালক ছিলেন বেনজির আলম, যাকে অন্য একটি প্রকল্পের পরিচালক পদ থেকে সরিয়ে বড় এই প্রকল্পে দায়িত্ব দেওয়া হয়। পরে পদোন্নতি পেয়ে বেনজির আলম মহাপরিচালক হন। বর্তমানে তিনি অবসরে গেছেন। আর নতুন প্রকল্প পরিচালক হয়েছেন কৃষিবিদ তারিক মাহমুদুল ইসলাম, যিনি উপপরিচালক পর্যায়ের কর্মকর্তা।

প্রকল্পের অনিয়ম, দুদকে অভিযোগ ও তদন্ত বিষয়ে প্রকল্পের বেনজির আলম বলেন, ‘আমার সময়ে কোনো অনিয়ম হয়নি। কিছু হয়ে থাকলে তা আমার পরে হয়েছে।’ এর বেশি কিছু বলতে তিনি রাজি হননি।

তবে বর্তমান প্রকল্প পরিচালক তারিক মাহমুুদুল ইসলাম বলেন, ‘আমি এখন পর্যন্ত কোনো কেনাকাটা করিনি, অনিয়ম করব কীভাবে! কয়েকটি ডকুমেন্টারি তৈরি করেছি।’ তবে এই ডকুমেন্টারির ক্ষেত্রেও নিয়ম ভাঙার অভিযোগ রয়েছে। পছন্দের ব্যক্তিকে দিয়ে তিনি এই কাজ করিয়েছেন।

তবে প্রকল্পের সাফল্য ও ধীরগতি এবং অনিয়ম ও দুর্নীতি ঢাকতে ব্যতিক্রম উদ্যোগ নিয়েছেন এই কর্মকর্তা। ‘দুর্নীতি’ ঢাকতে প্রকল্পের সাফল্য ব্যাপক প্রচারের উদ্যোগ নিয়েছেন। এ বিষয়ে তিনি নিজেও একশ্রেণির গণমাধ্যমকর্মীকে টাকা দিয়েছেন বলে প্রচার করে বেড়াচ্ছেন।

অভিযোগ রয়েছে, শুরু থেকে প্রকল্পে বিভিন্ন সময়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু প্রশিক্ষাণার্থীদের নিম্নমানের খাবার দেওয়া হয়েছে। অথচ এ ক্ষেত্রে বেশি টাকা তোলা হয়েছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ বিল বানিয়ে টাকা তুলে নিয়েছেন।

অভিযোগে জানা যায়, প্রকল্পে ভর্তুকির যন্ত্রপাতি সরবরাহকারীকে কোম্পানিগুলোকেও অর্থের বিনিময়ে তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল। তার চাহিদা পূরণ না করায় অনেক ভালো কোম্পানিকে তালিকাভুক্ত করা হয়নি। যন্ত্র বিতরণে রয়েছে নানা অনিয়মের অভিযোগ। বিভিন্ন এলাকায় নির্ধারিত দরের চেয়ে বেশি দাম নেওয়া হয়। আবার কোথাও কোথাও প্রকৃত চাষির হাতে যাচ্ছে না যন্ত্র। অধিকাংশ যাচ্ছে প্রভাবশালীদের কাছে। প্রভাবশালীরা যন্ত্র কিনে বেশি অর্থে কৃষকদের কাছে ভাড়া দিচ্ছেন। এতে কৃষকদের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে।

অভিযোগে জানা যায়, কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন কিনে বিপাকে অনেক কৃষক। কেনার কয়েক মাসের মধ্যেই  অনেক যন্ত্র ব্যবহারের অনুপোযোগী হয়ে পড়ে। যন্ত্র কিনে কৃষকেরা যন্ত্রাংশও কিনতে পারছেন না। আবার কৃষকের যন্ত্রপাতি দেওয়ার নামে অর্থ লোপাটের অভিযোগ উঠেছে।  কোথাও কোথাও কৃষকপ্রতি একটি করে মেশিন দেওয়ার কথা থাকলেও দুই জনের জন্য একটি দেওয়া হয়েছে।

কৃষির বিভিন্ন তথ্য ভিডিও চিত্রের মাধ্যমে দেখানোর জন্য প্রতিটি ‘তথ্যচিত্রে’ ৩ থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ব্যয় করেছেন। এ ক্ষেত্রে তিনি নিজের পছন্দের ব্যক্তিকে দিয়ে করিয়েছেন।  যে তথ্যচিত্র তৈরিতে ৫০ হাজার টাকা ব্যয় হয়, সেই তথ্যচিত্রে তিনি ৩ থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ব্যয় করছেন। বর্তমান প্রকল্প পরিচালকও একই পথে হাঁটছেন।

তদন্ত শুরু :দুর্নীতি দমন কমিশন গত বছরের ৮ আগস্ট কৃষি মন্ত্রণালয়ে এই অভিযোগের কপি পাঠায়। আর ৬ নভেম্বর দুই সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করে। কয়েক দিন আগে তদন্তের অগ্রগতির বিষয়ে কমিটির সদস্য এ টি এম সাইফুল ইসলাম জানান, কমিটির অপর সদস্য দেশের বাইরে ছিলেন। এ কারণে তদন্ত শুরু করা যায়নি। তবে গতকাল তিনি জানান, তদন্ত শুরু করেছেন।

কমিটির অপর সদস্য সুজয় চৌধুরীর মোবাইল ফোনে জানান, বিভিন্ন কাজের ফাঁকে এই তদন্ত করতে হচ্ছে। এ কারণে একটু বিলম্ব হচ্ছে। তবে এ কাজ দ্রুত শেষ হবে।

আজকের বাংলা তারিখ

November ২০২৫
Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
« Oct    
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০


Our Like Page