অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : টাঙ্গাইলে কোটা বিরোধী আন্দোলনে অনুপ্রবেশকারী দুস্কৃতিকারীদের সহিংসতা দমন করতে গত শুক্রবার (১৯ জুলাই) রাত ১২টা হতে জারি হওয়া কারফিউ বুধবার (২৪ জুলাই) সকাল ৭টা হতে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত প্রত্যাহার করা হয়েছে।
বুধবার (২৪ জুলাই) সন্ধ্যা ৭টা হতে বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) সকাল ৭টা পর্যন্ত টাঙ্গাইল জেলায় পুণরায় কারফিউ বলবৎ থাকবে। টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক কায়ছারুল ইসলাম এ আদেশ জারী করেছেন। এদিকে জেলায় নাশকতা ও সংহিসতার ঘটনায় এ পর্যন্ত ১০টি মামলায় ১৪১জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এদিকে, বুধবার সকাল ৭টা হতে কারফিউ শিথিল করায় জনজীবনে স্বাভাবিকতা ফিরে এসেছে। পাঁচ দিন পর সকলস্তরে কর্মচঞ্চলতা ফিরে এসেছে। মানুষ ঘর থেকে বেরিয়ে নিজ নিজ প্রয়োজনীয় কাজকর্মগুলো করতে পারছেন। সকাল থেকেই সকল প্রকার গণপরিবহন সড়ক মহাসড়কগুলোতে চলাচল করছে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও খোলা রয়েছে যথারীতি। জনগন স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করছেন। অফিস-আদালত, ব্যাংক-বীমাসহ সকল আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সরকারী নিদের্শনা অনুয়ায়ী বেলা ১১টা হতে বিকেল ৩টা পর্যন্ত কার্যক্রম চলেছে। কাউফিউ শিথিলের সময়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি শান্ত রাখতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে বিজিবি টহলে রয়েছে। গুরুত্বপুর্ণ স্থানে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এছাড়াও র্যাবও টহলে আছে। এদিকে কারফিউ থাকাকালীন সময়ে অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি সেনাবাহিনী টহল দিতে দেখা যায়।
অপরদিকে দুস্কৃতিকারীরা গত বৃহস্পতি ও শুক্রবার দুইদিনে টাঙ্গাইল জেলায় ব্যাপক ধংস্বযজ্ঞ চালিয়েছে। তারা আওয়ামী লীগ অফিস, পুলিশ বক্স, প্রধান ডাকঘর, যানবাহন, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ সরকারি-বেসরকারী অনেক স্থাপনায় হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। তারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব, জাতীয় চার নেতার ছবি ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এছাড়াও তারা পুলিশ ও নিরীহ জনগণের উপরও হামলা চালায়। এ হামলায় ২৮জন পুলিশ সদস্যসহ অনেক সাধারণ জনগন আহত হন। পরে শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা হতে কারফিউ জারি করার পর থেকে টাঙ্গাইল জেলায় পরিবেশ পরিস্থিতি শান্ত হতে থাকে।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, জেলার বিভিন্ন স্থানে নাশকতা ও সংহিসতার ঘটনায় এ পর্যন্ত ১০টি মামলা হয়েছে। আর এসব মামলায় ১৪১জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দুস্কৃতিকারীরা ৭টি যানবাহন ভাঙচুর ও তিনটি পুলিশ বক্সে আগুন দেয়া হয়েছে। এতে ২৮ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে।
Leave a Reply