অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : সংকটে নিজস্ব খরচের লাগাম টানলো সরকার। গাড়ি, বাড়ি আর জমি কেনা বন্ধ থাকছে আপাতত। রবিবার (২ জুলাই) জারি করা অর্থ বিভাগের এক পরিপত্রে এ কথা জানানো হয়েছে।
পরিপত্রে বলা হয়েছে, আবাসিক এবং অনাবাসিক খাতে কোনও অর্থ ব্যয় করতে পারবে না সরকারি কোনও প্রতিষ্ঠান। গাড়ি কিনতে পারবে না। তবে কোনও গাড়ির আয়ুষ্কাল ১০ বছর অতিক্রান্ত হলে প্রয়োজনে প্রতিস্থাপন করা যাবে। তবে সে ক্ষেত্রেও অর্থ বিভাগের পূর্বানুমোদন প্রয়োজন পড়বে। কোনও রকম ভূমি অধিগ্রহণ করা যাবে না। অর্থাৎ বার্ষিক উন্নয়ন বাজেটে বরাদ্দ থাকলেও নতুন কোনও প্রকল্প হাতে নিতে পারবে না সরকার। কেবলমাত্র পুরনো প্রকল্প শেষ করা সম্ভব হবে। একইভাবে বিদ্যুৎখাতে বরাদ্দ অর্থের অন্তত ২৫ ভাগ সাশ্রয় করতে হবে। সে ক্ষেত্রে সব ঘরে সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সুবিধা প্রাপ্তি শঙ্কার মধ্যেই পড়বে। এমনকি জ্বালানি তেলেও সরকার ২০ ভাগ সাশ্রয় করার নির্দেশনা জারি করেছে।
পরিপত্রে বলা হয়, চলমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে সরকারি ব্যয়ে কৃচ্ছ্র সাধনের লক্ষ্যে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সব মন্ত্রণালয়/বিভাগ/অন্যান্য প্রতিষ্ঠান এবং আওতাধীন অধিদফতর/পরিদফতর/দফতর, স্বায়ত্তশাসিত/আধা-স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, পাবলিক সেক্টর করপোরেশন, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটে বরাদ্দ করা অর্থ ব্যয়ে সরকার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সব ব্যয় করতে হবে।
এতে শুরুতেই বলা হয়, বিদ্যুৎ খাতে বরাদ্দ অর্থের সর্বোচ্চ ৭৫ শতাংশ; পেট্রোল, ওয়েল ও লুব্রিকেন্ট, গ্যাস ও জ্বালানি খাতে বরাদ্দ অর্থের সর্বোচ্চ ৮০ শতাংশ ব্যয় করা যাবে।
আবাসিক ভবন, অনাবাসিক ভবন, এবং অন্যান্য ভবন ও স্থাপনা খাতে বরাদ্দ করা অর্থ ব্যয় বন্ধ থাকবে; অর্থাৎ নতুন কোনও ভবন নির্মাণ করা যাবে না।
মোটরযান, জলযান ও আকাশযান খাতে বরাদ্দ করা অর্থ ব্যয় বন্ধ থাকবে। তবে ১০ বছরের অধিক পুরনো মোটরযান প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে অর্থ বিভাগের অনুমোদনক্রমে টাকা খরচ করা যাবে।
ভূমি অধিগ্রহণ খাতে বরাদ্দকৃত টাকা খরচ বন্ধ থাকবে।