অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : দিনাজপুরে ডিভাইস ব্যবহার করে খাদ্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের “উপ-খাদ্য পরিদর্শক” পদে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার অভিযোগে এক পরীক্ষার্থী ও ডিভাইস জালিয়াত চক্রের দুই সদস্যসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে দিনাজপুর শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন— পরীক্ষার্থী কৃষ্ণকান্ত রায়, বিরল উপজেলার পূর্ব রাজারামপুর গ্রামের আশুতোষ রায়ের ছেলে। ডিভাইস চক্রের সদস্য মো. মামুন (৩৫), চিরিরবন্দর উপজেলার বিন্যাকুড়ি এলাকার মতিউর রহমানের ছেলে। অপর সদস্য হরসুন্দর রায় ওরফে সবুজ (৩৮), চিরিরবন্দর উপজেলার পশ্চিম সাইতাড়া চড়কডাঙ্গা বাজার এলাকার করুণা কান্ত রায়ের ছেলে।
শনিবার সকাল থেকে দিনাজপুরের বিভিন্ন কেন্দ্রে খাদ্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের “উপ-খাদ্য পরিদর্শক” পদে নিয়োগ পরীক্ষা চলছিল। পরীক্ষা চলাকালীন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) আনোয়ার হোসেন ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) এস.এম. হাবিবুল হাসান শহরের মিশনরোড এলাকার কেরী মেমোরিয়াল হাই স্কুল কেন্দ্রের ১০১ নম্বর কক্ষ পরিদর্শনে যান।
সেখানে পরীক্ষার্থী কৃষ্ণকান্ত রায়ের শরীর তল্লাশি করে একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস উদ্ধার করা হয়। পুলিশ জানায়, এই ডিভাইসের মাধ্যমে পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের উত্তর বাইরের একটি চক্র সরবরাহ করছিল।
পরবর্তীতে কৃষ্ণকান্ত রায়ের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ শহরের ফকিরপাড়া এলাকার ‘স্বপ্নচুড়া’ ছাত্রাবাসে অভিযান চালিয়ে মামুন ও সবুজকে আটক করে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) আনোয়ার হোসেন বলেন, “আটক মামুন ও সবুজের কাছ থেকে পাঁচটি ডিভাইস এবং কয়েকজন পরীক্ষার্থীর সঙ্গে করা চুক্তিপত্র উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এর পেছনে একটি সংঘবদ্ধ চক্র সক্রিয় রয়েছে।”
তিনি আরও জানান, চক্রের অন্য সদস্যদের সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার প্রক্রিয়া চলছে।