অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ১১ দিন পর খুলে দেওয়া হয়েছে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবন। নয়তলা ভবনের পুড়ে যাওয়া চারটি ফ্লোর বাদে বাকি পাঁচটি ফ্লোরে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অফিস শুরু করেছেন।
রোববার (৫ জানুয়ারি) থেকে ওই ভবনে দাপ্তরিক কার্যক্রম হয়। এর মধ্যদিয়ে প্রশাসনিক কেন্দ্র সচিবালয়ের পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে।
আগুনের ঘটনার পর থেকেই সচিবালয়ে প্রবেশে ছিল কঠোর বিধিনিষেধ। উপদেষ্টা এবং সচিব ছাড়া অন্য কারও গাড়ি প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ছিল। তবে আজ থেকে অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গাড়িও সচিবালয়ে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
সরাসরি পরিদর্শনে দেখা গেছে, আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ৭ নম্বর ভবনের ফ্লোরগুলোতে এখন সবাই প্রবেশ করতে পারছেন। তবে ভবনের পঞ্চম তলার ওপরে, যেখানে গণপূর্ত বিভাগের কাজ চলছে, সেখানে তাদের কর্মকর্তাদের ছাড়া অন্য কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।
ভবনের বিভিন্ন অংশে এখনো ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের চিহ্ন রয়ে গেছে। দ্বিতীয় তলার মেঝেতে ছাইয়ের কালো দাগ স্পষ্ট। লিফট এখনো চালু হয়নি, তবে বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল রয়েছে। পানি সরবরাহ বন্ধ থাকায় কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত ২৫ ডিসেম্বর, সরকারি ছুটির দিন রাতের বেলায় সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এটি সচিবালয়ের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অগ্নিকাণ্ড বলে ধরা হচ্ছে।
আগুনে ভবনের চারটি তলা সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। এসব ফ্লোরে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, স্থানীয় সরকার বিভাগ, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ, এবং সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অফিস ছিল।
অগ্নিকাণ্ডের পরপরই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ভবনের প্রবেশ সীমিত করে দেয়, যেখানে শুধু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা প্রবেশের অনুমতি পেতেন। তবে এখন পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক।
Leave a Reply