অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : গণতন্ত্রকে দুর্বল করার প্রক্রিয়ায় জড়িত যে কোনো বাংলাদেশিকে ভিসানীতির আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সম্প্রতি একটি টিভি চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাৎকারে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস তার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করার বিষয় দিয়ে বাংলাদেশ প্রসঙ্গের ব্রিফিং শুরু হয়। ‘বাংলাদেশে শুধু তার নিরাপত্তা উদ্বেগই নয়, এমনকি দূতাবাসের কর্মীরাও উদ্বেগে’ বলে উল্লেখ করে সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, ‘তার উদ্বেগ বৈধ, বেশ বৈধ, কারণ আমরা বর্তমান সরকারের অধীনে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের ওপর কয়েকটি হামলা দেখেছি। সচিব কি এই উদ্বেগগুলোকে গুরুত্ব সহকারে নিচ্ছেন?’
মিলার বলেন, ‘আমি নির্দিষ্ট পদক্ষেপগুলো ঘোষণা করতে যাচ্ছি না। আমরা আইন প্রয়োগকারী সদস্যদের, ক্ষমতাসীন দল এবং রাজনৈতিক বিরোধীদের বিরুদ্ধে বিধিনিষেধ আরোপ করার পদক্ষেপ নিয়েছি যাদের আমরা বিশ্বাস করি যে বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নষ্ট করার জন্য দায়ী বা জড়িত। এবং আমরা যখন ২৪ মে এই নীতিটি ঘোষণা করেছিলাম তখন আমরা স্পষ্ট করেছিলাম। তখনই আমরা নীতিটি ঘোষণা করি, নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ নয়। কিন্তু যখন আমরা সেই নীতি ঘোষণা করি যে এটি যে কোনো বাংলাদেশি ব্যক্তির জন্য প্রয়োগ করা যেতে পারে, যাকে আমরা বিশ্বাস করি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে দুর্বল করার জন্য দায়ী বা জড়িত। তাই আমরা অন্যান্য ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার বিকল্পটি ধরে রাখি, যদি এবং যখন আমরা বিশ্বাস করি যে এটি উপযুক্ত।’
গত ২৪ মে বাংলাদেশের জন্য নতুন ভিসানীতি ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র। বলা হয়, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচনি প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।
ভিসানীতি ঘোষণার প্রায় চার মাসে পর তা প্রয়োগের প্রক্রিয়া শুরু কর মার্কিন দেশটি। ২২ সেপ্টেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর এক বিবৃতিতে জানায়, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়া ক্ষুণ্ণ করার জন্য দায়ী বা জড়িত বাংলাদেশি ব্যক্তিদের ওপর ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করার পদক্ষেপ শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এই ব্যক্তিদের মধ্যে আইন প্রয়োগকারী, ক্ষমতাসীন দল এবং রাজনৈতিক বিরোধী দলের সদস্য রয়েছেন।